Dark Circles Reason: চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল কেন হয়? ৯৯% মানুষ ভুল জানেন, ডাক্তার জানালেন ৬টি আশ্চর্য কারণ

সাধারণত চোখের নিচের কালো দাগকে ক্লান্তি ও ঘুমের অভাবের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আসলে, পরিশ্রম করার পরও রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মুখে ক্লান্তি আসে। এই ক্লান্তির কারণে মুখের ছোট ছোট শিরা কালো হতে শুরু করে এবং চোখের নিচে বেগুনি নীল বৃত্ত দেখা দিতে শুরু করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)

শরীরে আয়রনের অভাবেও ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়, যা রক্তস্বল্পতার প্রথম লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। আসলে, আয়রনের ঘাটতি শরীরে অক্সিজেনের অভাব ঘটাতে পারে, যা ডার্ক সার্কেল এবং বলিরেখা বাড়ায়। তবে স্বাস্থ্যগত অবস্থা বা পুষ্টির অভাবে অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই জরুরি।

অনেক সময় UV রশ্মিও ডার্ক সার্কেলের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরি হয়। ধীরে ধীরে এটি চোখের চারপাশে কালো বৃত্তের আকারে দেখা দিতে শুরু করে। আসলে, চোখের চারপাশে প্রচুর মেলানিন থাকে এবং এটি ট্যানিং সৃষ্টি করে। এছাড়া হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা হতে পারে। এই অবস্থায়, নীল এবং গাঢ় বাদামি রঙের কালো বৃত্তগুলি দৃশ্যমান হয়।

অনেক সময় চোখে ধুলো বা যে কোনও ধরনের অ্যালার্জির কারণেও ডার্ক সার্কেল হতে পারে। আসলে চোখে ঘন ঘন চুলকানির কারণে আমরা চোখের নিচের ত্বকেরও ক্ষতি করে থাকি। এটি শিশুদের মধ্যে ডার্ক সার্কেলের সবচেয়ে বড় কারণ। তবে অনেক সময় জেনেটিক্স বা বার্ধক্যজনিত কারণেও চোখের নিচে কালো দাগের সমস্যা দেখা দেয়।

আজকের ব্যস্ত জীবনের কারণে শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে। এমন অবস্থায় শরীরে যখন আয়রন, ভিটামিন এ, সি, কে, ই ইত্যাদি পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় তখন চোখের নিচে কালো দাগ পড়তে পারে। অতএব, আপনি যদি এই ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন তবে আপনি ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।

অনেক সময় আমাদের ভুল অভ্যাসও চোখের নিচে কালো দাগের কারণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে এর মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপান। হ্যাঁ, ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসের কারণে শরীরে জলের অভাব হয় এবং সেই কারণে ডার্ক সার্কেল তৈরি হতে থাকে। এই কারণেই অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)