তখন বনাম এখন, করোনার উপসর্গ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে দেখে নিন, সজাগ থাকুন!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- trending desk
Last Updated:
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ততটা মারাত্মক নয়। সামান্য অসুস্থতা ছাড়া বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
advertisement
1/7

২০২০-র শুরুতে ছড়িয়ে পড়ে কোভিড-১৯ ভাইরাস। নাকানি-চোবানি খায় গোটা বিশ্ব। তারপর ২ বছর কেটে গিয়েছে। সংক্রমণ আপাতত নিয়ন্ত্রণে। ভাইরাস নিজেও বারবার পাল্টেছে তার রূপ। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে অর্থাৎ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণে মৃত্যুমিছিল শুরু হয় ভারতে। তবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ততটা মারাত্মক নয়। সামান্য অসুস্থতা ছাড়া বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
advertisement
2/7
এমনটা কেন? এর সুনির্দিষ্ট কারণ বলা এখনই সম্ভব নয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ভ্যাকসিন থেকে অর্জিত অনাক্রম্যতা উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে হালকা সংক্রমণও মারাত্মক দিকে মোড় নিতে পারে। তাছাড়া কোভিডের লক্ষণগুলোও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে।
advertisement
3/7
স্বাদ এবং গন্ধ চলে যাওয়া আর সাধারণ লক্ষণ নয়: কোভিড ভাইরাস যেহেতু রূপ বদলাচ্ছে তাই এর লক্ষণগুলোও বদলে যাচ্ছে। চলতি বছরের শুরুতে আমেরিকায় ১৭,৫০০ রোগীর উপর একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া আর কোভিডের প্রধান লক্ষণ নয়। শুধু তাই নয়, আলফা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তরা খুব কমই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। অতিমারী শুরুর সময়, এগুলোই ছিল প্রাথমিক লক্ষণ।
advertisement
4/7
এখন করোনার যে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে: জো হেলথ স্টাডি অনুসারে, গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ, ক্রমাগত কাশি এবং মাথাব্যথা বর্তমানে কোভিডের প্রধান লক্ষণ। ক্রমাগত কাশি, গন্ধ না পাওয়া, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের থেকে একেবারেই আলাদা। প্রায় ৬২,০০২ জনের উপর করা সমীক্ষায় এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সমীক্ষায় আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে ওমিক্রনে নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা অনেক কম।
advertisement
5/7
উপরের শ্বাসযন্ত্র বনাম নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: কোভিড উপসর্গগুলো কেন বদলে যাচ্ছে তার কারণ এখনও ধরতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে দেখা যাচ্ছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তির উপরের শ্বাসযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে উপরের শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হচ্ছে। উপরের শ্বাসযন্ত্র নাক, অনুনাসিক গহ্বর এবং গলবিল নিয়ে গঠিত।
advertisement
6/7
নিচের শ্বাসনালীটি স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালী, ব্রঙ্কি এবং ফুসফুসের সঙ্গে যুক্ত। এই কারণেই ডেল্টা আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর নিউমোনিয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেও ওমিক্রন রোগীরা সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন।
advertisement
7/7
টিকার অবস্থা নির্ধারণ করে দেবে উপসর্গের ধরন: যাঁদের টিকার দুটো ডোজই নেওয়া হয়েছে তাঁদের গলা ব্যথা, সর্দি, নাক বন্ধ, ক্রমাগত কাশি এবং মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাঁরা একটা ভ্যাকসিনের একটা ডোজ নিয়েছেন তাঁদের মাথাব্যথা, সর্দি, গলা ব্যথা, হাঁচি এবং ক্রমাগত কাশি হতে পারে। ভ্যাকসিন না নিলে ব্যক্তিদের মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি, জ্বর এবং ক্রমাগত কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
তখন বনাম এখন, করোনার উপসর্গ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে দেখে নিন, সজাগ থাকুন!