Dirty Poultry Eggs: ডিমে লেগে রয়েছে মুরগির শুকনো বিষ্ঠার দাগ বা পালক? খাবেন নাকি খাবেন না?
- Published by:Madhurima Dutta
Last Updated:
Egg Myths: আমাদের শরীরে প্রতদিন ৫৬ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে ৬ গ্রাম পূরণ করতে পারে একটা ডিম।
advertisement
1/6

‘সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে’। এক সময় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল এই বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন। শুধু জনপ্রিয় নয়, বাস্তবেও এই কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে আমজনতা। এ দেশে জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ প্রতিদিন সকালের জলখাবারে ডিম খায়। সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে মাথাপিছু ৮১টি ডিম খায় ভারতের মানুষ।
advertisement
2/6
ডিম হল সুষম খাদ্য। পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, বি১২, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সহ বহু পুষ্টিকর উপাদান। কিন্তু এহেন উপকারী ডিম নিয়েই সাধারণ মানুষের মনে বহু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যেগুলিকে মিথ বা কল্পকাহিনি বললেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ এগুলোর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
advertisement
3/6
কাঁচা ডিম খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা: সাধারণত গমের রুটির সঙ্গে একটা ডিম প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য যথেষ্ট। সে কাঁচা হোক কিংবা রান্না করা। যারা নিয়মিত জিম বা বডি বিল্ডিং করেন, তাঁদের অনেকেরই প্রাতরাশে কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। তবে কাঁচা ডিমের স্বাদ-গন্ধ অনেকেরই সহ্য হয় না। আবার অনেকে বলেন, ডিম রান্না করলে প্রোটিন গুণ নষ্ট হয়ে যায়। দুটোই ভুল ধারণা। রান্না করলে ডিমের প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়, এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আজ পর্যন্ত মেলেনি। কাঁচা ডিম খেলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। যদি না স্বাদ-গন্ধে খারাপ লাগে।
advertisement
4/6
তাজা নাকি বাসি ডিম: প্রশ্ন হল, ডিম টাটকা না কি বাসি সেটা বোঝার উপায় কী? একটি ডিমে অসম্পৃক্ত চর্বি এবং উচ্চ প্রোটিন থাকে। যা আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে প্রভাবিত করে না। আমাদের শরীরে প্রতদিন ৫৬ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে ৬ গ্রাম পূরণ করতে পারে একটা ডিম। বর্তমানে বাজারে অনেক আধুনিক মানের পোলট্রি রয়েছে। সেখানে নিয়ম অনুযায়ী ডিমের পরিচর্যা করা হয়। বাজারে পাঠানোর আগে সেগুলো ভালো করে স্যানিটাইজ এবং পরিষ্কার করা হয়। তাই নিশ্চিন্তে থাকাই যায়।
advertisement
5/6
ডিমে পাখির বিষ্ঠা: অনেক সময় ডিমে পাখির পালক বা বিষ্ঠা লেগে থাকে। অনেকে ভাবেন পরিষ্কার করে নিলেই হল। কিন্তু ব্যাপারটা এত সহজ নয়। ডিমের আবরণে সালমোনেলার মতো জীবাণু থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যা শরীরে গেলে রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডিমের আবরণ ছিদ্রযুক্ত। সেই ছিদ্র দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। কেনার সময় আমরা সাধারণত ডিমের ট্রে নিই। অনেক সময় সেগুলো কয়েক সপ্তাহ ফ্রিজে রাখা থাকে। এখন কেউ যদি ভাবেন, ডিম তো ফ্রিজে আছে, নষ্ট হবে না। সেটাও ভুল ধারণা। রান্নার আগে ডিমের গন্ধ পরীক্ষা করা উচিত। যদি দুর্গন্ধ ছাড়ে এবং ভিতরে জলের মতো নড়ে তাহলে ডিমটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পুষ্টিগুণও হারিয়েছে।
advertisement
6/6
চিকিৎসকের পরামর্শ: ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমায়। এটি মস্তিষ্কের বিকাশ, হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই কিছু ভুল ধারণার জন্য ডিমের পুষ্টিগুণ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না। বরং ডায়েট প্ল্যান নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভালো। তাহলে সপ্তাহে কতগুলো ডিম শরীরের জন্য উপকারী, সেই সিদ্ধান্তে আসতে সুবিধা হবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Dirty Poultry Eggs: ডিমে লেগে রয়েছে মুরগির শুকনো বিষ্ঠার দাগ বা পালক? খাবেন নাকি খাবেন না?