Viral Fever|| ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ, এই ৬ ধরনের জ্বর থেকে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা, কীভাবে বুঝবেন?
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
6 types of fever that can affect you in Monsoon: এই নানা ধরনের জ্বরের উপসর্গগুলোও একে অপরের থেকে একেবারেই আলাদা- অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
advertisement
1/12

*গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে খানিক স্বস্তি দিতে আসে বর্ষা (Monsoon)। আসলে সূর্যের খরতাপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য হাঁসফাঁস করে মানুষ। অবশেষে বৃষ্টি এলেই মনটা শান্ত হয়। তবে মুশকিল হল, মরসুম বদলের কারণে হানা দেয় নানা রকম ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস। ফলে বর্ষার দিনে ঘরে ঘরে জ্বরের (Fever) প্রকোপ বাড়তে থাকে। আর এখানেই সমস্যা। প্রতীকী ছবি।
advertisement
2/12
*অনেকে ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাসজনিত জ্বর ভেবে সে-রকম পাত্তা দেন না। জ্বরের ওষুধ খেয়ে কাটিয়ে দেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এমনটা করতে বারণ করছে। আসলে এই ভাইরাসজনিত জ্বর অনেক রকম হতে পারে। যেমন - কোভিড, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া তো হতেই পারে, এমনকী সেই জ্বর টাইফয়েড পর্যন্ত হতে পারে। ফলে এ-ক্ষেত্রে সঠিক রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা না-হলে তা কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, সেই বিষয়ে নিশ্চয়ই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। আর সঠিক ওষুধ না-পড়লে অসুস্থতা বহু দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং যার প্রভাবে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
3/12
*তাই এই মরসুমে জ্বর হলে তা অবহেলা না-করে এর উপসর্গের উপর নজরদারি চালাতে হবে। কারণ এই নানা ধরনের জ্বরের উপসর্গগুলোও একে অপরের থেকে একেবারেই আলাদা। সেই সঙ্গে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
4/12
*এখানেই শেষ নয়, বর্ষার মরসুমে (Rainy Season) তাল মিলিয়ে মশার উৎপাতও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আর মশার কামড়ের কারণে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং চিকনগুনিয়ার মতো রোগের ঝুঁকিও কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে প্রবল জ্বর এবং গাঁটের ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা যায়। প্রতীকী ছবি।
advertisement
5/12
*আবার ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ চোখে পড়ে। আর চিকনগুনিয়ার ক্ষেত্রে শরীরের একাধিক গাঁটে যন্ত্রণা হয়। আবার টাইফয়েডে প্রথম দিকে জ্বরটা খুব কমই থাকে, পরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। এ-ছাড়াও শরীর দুর্বল থাকে। সেই সঙ্গে মাথা ও পেট ব্যথা এবং শুকনো কাশির মতো উপসর্গও দেখা যায়। প্রতীকী ছবি।
advertisement
6/12
*মুম্বইয়ের পারেলের গ্লোবাল হসপিটালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মঞ্জুষা আগরওয়াল বর্ষার মরসুমে কোভিড-১৯ ছাড়াও ছয় ধরনের জ্বরের বিষয়ে কথা বলেছেন। প্রতীকী ছবি।
advertisement
7/12
*ডেঙ্গি (Dengue): মশাবাহিত এই রোগের মারাত্মক আকার ধারণ করলে প্রবল জ্বরের পাশাপাশি গাঁটের তীব্র যন্ত্রণা, পিঠে ব্যথা, মাথা ঘোরানো, জ্ঞান হারানো এবং কাঁপুনির মতো উপসর্গ দেখা যায়। আর এই রোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা কিংবা ওষুধ নেই। তাই এই রোগের ক্ষেত্রে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে অর্থাৎ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। আবার ডেঙ্গির জ্বরও কিন্তু বিভিন্ন প্রকারের হয়। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা প্রাণঘাতীও হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই যত দ্রুত এই রোগ শনাক্ত করা যাবে, চিকিৎসাও তত সহজ হয়ে উঠবে এবং রোগীর প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হবে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
8/12
*ম্যালেরিয়া জ্বর (Malaria Fever): ম্যালেরিয়া সাধারণত পরজীবী বা প্যারাসাইটের কারণে হতে পারে। আসলে সংক্রমিত কোনও মশার কামড়ের ফলে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। এর উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল তীব্র কাঁপুনি, মাথা ব্যথা, সারা শরীরে ব্যথা ইত্যাদি। কোভিডের মতোই ম্যালেরিয়া কিন্তু প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। আর ম্যালেরিয়া জটিল আকার ধারণ করলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে তো পারেই। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, লো ব্লাড সুগার এমনকী অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পর্যন্ত বিকল হয়ে যেতে পারে। প্রতীকী ছবি।
advertisement
9/12
*চিকনগুনিয়া জ্বর (Chikungunya Fever): ম্যালেরিয়ার মতোই সংক্রমিত কোনও মশার কামড়ে চিকনগুনিয়া মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগের ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য জ্বর আসে, সেই সঙ্গে থাকে সারা দেহের গাঁটে তীব্র যন্ত্রণা। যদিও এই রোগের প্রকোপ প্রতিরোধ করতে তেমন কোনও ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিন এখনও বাজারে আসেনি। প্রতীকী ছবি।
advertisement
10/12
*টাইফয়েড জ্বর (Typhoid Fever): সাধারণত খাবারের বিষক্রিয়া থেকে কিংবা সংক্রমিত খাবার খেলে টাইফয়েড হয়। আর এর উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল জ্বর, গা-বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়েরিয়া। আসলে টাইফয়েড হল ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ। যা আমাদের দেহের অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই রোগের উপসর্গ দেখা দিলে জটিলতা এড়াতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা উচিত। ওষুধ খেয়েও টাইফয়েডের জ্বর না-কমলে সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হয়েই চিকিৎসা করাতে হয়। প্রতীকী ছবি।
advertisement
11/12
*ভাইরাসঘটিত জ্বর (Viral Fever): বর্ষার মরসুমে নন-কোভিড জ্বর বা ভাইরাসঘটিত মরসুমী জ্বরের প্রকোপও বেড়ে যায়। সাধারণত এই জ্বরের সঙ্গে কাশি, সর্দির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এ-ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যান্টিভাইরাল খেলেই জ্বর কমে যায়। প্রতীকী ছবি।
advertisement
12/12
*লেপটোস্পাইরোসিস (Leptospirosis): ব্যাকটেরিয়াঘটিত এই রোগে মানুষ এবং জন্তু উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে। আর এই রোগে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে প্রবল জ্বর, মাথা ব্যথা, কাঁপুনি, বমি, জন্ডিস, তলপেটে ব্যথা এবং ত্বকে র্যাশের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে প্রবল বৃষ্টি হয়ে জল জমে যায়, সেই সব জায়গায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকে। আসলে জমে থাকা বৃষ্টির জল থেকেই ছড়ায় এই রোগ। যদি ডাক্তারের পরামর্শ মেনে প্রোফাইল্যাক্সিসের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যায়, তা-হলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতীকী ছবি।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Viral Fever|| ঘরে ঘরে জ্বরের প্রকোপ, এই ৬ ধরনের জ্বর থেকে সাবধান করছেন চিকিৎসকরা, কীভাবে বুঝবেন?