SIR in West Bengal: বাংলায় মঙ্গলবার থেকেই শুরু SIR, আজ রাত ১২টায় কী হবে জানেন? নতুন ভোটারদের কী করতে হবে! যারা বাইরে থাকেন, তারাই বা কী করবেন?

কলকাতা: দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে এসআইআর বা ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধী ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। এসআইআর ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে একসঙ্গে এসআইআর শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, গোয়া, গুজরাত, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান নিকোবরে শুরু হচ্ছে এসআইআর।

এ প্রসঙ্গে জ্ঞানেশ কুমার জানান, আজ রাত ১২টা থেকে যে সব রাজ‍্যে এসআইআর হচ্ছে, সেই সব রাজ‍্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। যাঁদের নাম পুরনো ভোটার তালিকায় ছিল, সেই ম‍্যাচিং হয়ে গেলে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের কোনও নথি দিতে হবে না।

এছাড়াও, বিএলও-রা ভেরিফিকেশনের সময় নতুন কোনও ভোটারকে পেলে তাঁর নামও যুক্ত করে নেবেন। ⁠বিএলওরা তিনবার করে প্রতি বাড়িতে যাবেন। ⁠প্রবাসীদের সমস‍্যার সমাধানে অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করতে পারেন। আরবান ভোটাররাও অনলাইনে ফর্ম জমা দিতে পারেন।

আর এ প্রসঙ্গেই বাংলায় এসআইআর নিয়ে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, বাংলায় কোনও মতবিরোধ নেই। সংবিধানের অধীনে থেকে কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করেছে। সেখানে নির্বাচিত সরকারও তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করবে।

কমিশন জানিয়েছে, ইআরও এবং এইআরওদের দায়িত্ব থাকবে কোনও যোগ‍্য ভোটারের নাম যেন বাদ না যায় এবং কোনও অযোগ‍্য ভোটার যেন তালিকায় না থাকে। আগামিকাল থেকে বিএলও সহ কর্মীদের ট্রেনিং শুরু হবে

কমিশন আরও জানিয়েছে, কোনও বুথে ১২০০-র বেশি ভোটার থাকবে না। তাই র‍্যাশনালাইজেশন অফ বুথ-ও হবে। ড্রাফট তালিকা বিএলএদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে। ড্রাফট তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই হিয়ারিং এবং ক্লেইমস এবং অবজেকশন গ্রহণ করা হবে। ⁠তারপর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে। ⁠তারপর ১৫ দিন জেলাশাসকের কাছে এবং তারপরও সিইওর কাছে দ্বিতীয় আপিল করার সুযোগ থাকবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার।

বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) বাড়ি বাড়ি ফর্ম নিয়ে যাবেন বলে কমিশন সূত্রে খবর। প্রথমেই দিল্লি থেকে এনুমারেশন ফর্মের সফ্টকপি নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিকদের (ইআরও) পোর্টালে পাঠিয়ে দেবে কমিশন। তার পরে সেগুলি পাঠানো হবে ছাপার জন্য। এক জন ভোটারের জন্য দুটো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপবে কমিশন। এখন বাংলার ভোটার সংখ্যা প্রায় ৭.৬৫ কোটি। অর্থাৎ, তার দ্বিগুণ ফর্ম ছাপা হবে। ওই ফর্মগুলি প্রত্যেক ভোটারের বাড়িতে পোঁছে দেবেন বিএলও-রা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। একটি ফর্ম সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে থাকবে। অন্যটি বিএলও নিয়ে যাবেন।