Kasba Law College: ‘পুরোটাই প্ল্যান করা ছিল’, ২৫ জুন ঠিক কী ঘটেছিল কসবা ল কলেজে? গণধর্ষণ কাণ্ডে মনোজিতের সব পর্দা ফাঁস করল সিসিটিভি
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
- Reported by:Amit Sarkar
Last Updated:
Kasba Law College: রাত নটা বেজে দশ নাগাদ মনোজিত্ জইব ও প্রমিত তারা জোর করে বা বলপূর্বক নির্যাতিতাকে নিয়ে আসছে সেটাও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে ধরা পড়েছে।
advertisement
1/10

সিসিটিভি ক্যামেরায় কী কী উঠে এল? তদন্তের চার্জশিটে লালবাজার জানিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কী জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ঘটনার দিন অর্থাত্‍ ২৫ জুন সন্ধ্যে ৭. ৩০ টার সময় দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারীনি এবং অভিযুক্ত উপস্থিত ছিল কলেজে। Photo- File
advertisement
2/10
ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে যে জইব আহমেদ, প্রমিত ইউনিয়ন রুম থেকে বেরোচ্ছেন। জানালা ও এক্সহস্ট হোলের মাধ্যমে তারা ভেতরের দিকে উঁকি মারছে অর্থাৎ ঘরের ভেতরে। সিকিউরিটি গার্ডকে দেখা গিয়েছে মেনগেট লক করে দিচ্ছে। এরপর ইউনিয়নের রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে গার্ড। অথচ তার ঘরেই রয়েছে অভিযুক্তরা।
advertisement
3/10
রাত নটা বেজে দশ নাগাদ মনোজিত্‍ জইব ও প্রমিত তারা জোর করে বা বলপূর্বক নির্যাতিতাকে নিয়ে আসছে সেটাও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেছে ধরা পড়েছে। গার্ডের রুম এবং ইউনিয়ন রুমের মাঝামাঝি তাদের মুভমেন্ট ধরা পড়েছে। এরপর অভিযোগকারিনী কলেজ চত্বর ছেড়ে বেরোচ্ছেন সেটাও সিসিটিভি ক্যামেরায় পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
4/10
নির্যাতিতা বিপদে আছে জেনেও সাহায্য না করে ভিডিও করেছিলেন দু'জন। জইব আহমেদ এবং প্রমিত। যেটা মনোজিতের মতোই ‘কমন ইনটেনশন’ বা একই মানসিকতার প্রকাশ বলেই তদন্তে উঠে এসেছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ।
advertisement
5/10
কী বলছে চার্জশিট? সেখানে কী উল্লেখ‍্য রয়েছে? তদন্তকারী অফিসারদের চার্জশিট অনুযায়ী, ২৫ জুন। দুপুর বারোটা বেজে দশ নাগাদ ফর্ম ফিলাপ করতে ওই ছাত্রী ইউনিয়নের রুমে যান। অন্যান্য স্টুডেন্টদের মত তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় সন্ধ‍্যা পর্যন্ত। সেখানে তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
advertisement
6/10
মনোজিৎ মিশ্র অভিযোগকারিণীকে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের গার্লস সেক্রেটারি ঘোষণা করে বলে আনুগত্যের প্রমাণ দিতে। দেয় বিয়ের প্রস্তাবও। বিয়ের প্রস্তাব নাকোজ করেন অভিযোগকারিণী । চলে যাবার চেষ্টা করছিলেন যখন তাকে বাধা দেওয়া হয়। অন্যান্য স্টুডেন্টরাও চলে গেলেও অভিযোগকারিণীকে আটকায় মনোজিৎ।
advertisement
7/10
দিনের বেলা যিনি ডিউটি করছিলেন সিকিউরিটি গার্ড তাকে জইব জানান মেনগেট যেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে ওই অভিযোগকারীনি পালিয়ে না যেতে পারেন -এই বিষয় থেকে প্রমাণ হচ্ছে যে অভিযুক্তদের নির্দিষ্ট প্ল্যানিং ছিল এই অপরাধ ঘটানোর জন্য। যা চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
8/10
প্রমিত এবং জইব ইউনিয়ন রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। এবং বাইরে থেকে আটকে দেন দরজা। আর ভেতরে মনোজিৎ অভিযোগকারিণীকে ভয় দেখাতে থাকে হুমকি দিতে থাকেন এবং জানান তার বয়ফ্রেন্ডকে খুন করে দেবে এবং তার মা-বাবাকে গ্রেফতার করিয়ে দেবে। কারণ কলেজে মনোজিতের ব্যাপক প্রভাব। ফাইল ছবি
advertisement
9/10
এরপরই মনোজিৎ ধর্ষণের চেষ্টা করে কিন্তু নির্যাতিতা তাকে আটকান। চার্জশিটে উল্লেখ‍্য সেই সময় ওই নির্যাতিতা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বদলে একটি ওষুধের দোকান থেকে নিয়ে আসা হয় ইনহেলার ।প্ল‍্যানিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকেও, জানাচ্ছে চার্জশিট।
advertisement
10/10
ওই তরুণী বেড়িয়ে যাবার চেষ্টা করলেও দেখতে পান যে মেইনগেট লক করা রয়েছে। এবং তাকে এক প্রকার বলপূর্বক ভেতরে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে গার্ড রুমে। গার্ড রুমের দায়িত্বে থাকা অর্থাৎ যার নিজেরই ঘর সেই সিকিউরিটি গার্ড পিনাকী বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, তিনি অপরাধের সময় বাধা দেননি। অথচ তার ডিউটি ছিল এই ধরনের পরিস্থিতিতে বাধা দেওয়া বা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। যেটা তিনি নেননি। অপরাধে ইন্ধন দিয়েছেন।