অফিস পাড়ার ঐতিহ্যবাহী স্ট্রিট ফুড নিয়ে অভিনব খাদ্যমেলা 'আপিস পাড়ার খাবার'
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
ডালহৌসির সঙ্গে জড়িয়ে পুরোন কলকাতার কত ইতিহাস। কত ঐতিহ্য।
advertisement
1/5

*বসন্তের বিকেল,, ঝিরিঝিরি হাওয়া...বাংলা গানের আসর... আর সঙ্গে লোভনীয় সব খানাপিনা... এমন একটা সন্ধ্যে পেলে আর কী চাই! অনুষ্ঠানের নাম ‘আপিস পাড়ার খাবার’.. তাই ক্লান্তি থাকলেও অফিস ফেরত ঢুঁ মারতে ভুললেন না কেউ। নামেই বোঝা যাচ্ছে অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ অফিস পাড়ার খাবার। লুচি-আলুরদম, ইডলি-সাম্বার, দইবড়া, পোলাও-মাংস থেকে শুরু করে জিভে জল আনা শাহী বিরিয়ানি... কী নেই...বাদ গেল না এগরোল, পাপড়িচাট কিংবা ফ্রুট জুসও।
advertisement
2/5
*ডালহৌসি সর্বদাই বাণিজ্যিক অঞ্চল বা অফিস পাড়া হিসাবে সুপরিচিত। অন্তত আজ থেকে এক দশক আগেও সবাই অফিস পাড়া বললে এক কথায় এই জায়গাই বুঝতেন। চাইনিজ, সাউথ ইন্ডিয়ান, টিবেটান কিংবা ভরপুর বাঙালি খাবার। অফিস পাড়ায় পাওয়া যায় না এমন কোনও খাবার বোধহয় নেই। সেসব খাবারের পরিবেশন, গুনমান উন্নত করতে এবার নয়া উদ্যোগ। ডালহৌসিতে একদিনের ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করল বিসিসিআই। সঙ্গে ছিল স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের জন্য কর্মশালা।
advertisement
3/5
*ফুড ফেস্টিভ্যালে আসা সোনালী সরকারের কথায়, " মাঝেমধ্যেই এই পাড়াতে আসতে হয় । কাজে এলে সেদিন আর বাড়ির খাবার জোটে না। তখন আমাদের ভরসা অফিস পাড়া। সব ধরনের খাবারই এখানে পাওয়া যায়। তাই এখানে এসে খাওয়া-দাওয়ার পরে মনে হয় না আমরা বাইরে কোথাও খেলাম। মনে হয় একেবারে ঘরের খাবারই খেলাম। ডালহৌসি অফিস পাড়ায় এসব খাবারই তো ভরসা।" তাই খাবারের গুণমান বাড়াতে ফুড ফেস্টিভালের আয়োজন বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাসট্রিজের।
advertisement
4/5
*উদ্যোক্তাদের পক্ষে অরিন্দম শীল বললেন, অফিস পাড়া বললে এখনও সবার মনে ভেসে ওঠে সেই ডালহৌসি। তাই আমাদের এই অভিনব উদ্যোগ। এই ডালহৌসির সঙ্গে জড়িয়ে পুরোন কলকাতার কত ইতিহাস। কত ঐতিহ্য। অনুষ্ঠানে আসা সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীও বলেন, আমার এই অফিসপাড়ার খাবারের ওপর একটা অনেকদিনের টান রয়েছে। এখানকার খাবার যেমন সুস্বাদু। তেমনি মনপসন্দও। অফিস পাড়ায় খাবার নিয়ে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
advertisement
5/5
*শুধু কি হরেক রকম খাওয়া দাওয়া? না খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও.. পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ, বাংলার বাউল গান... আর সব শেষে রূপঙ্করের গলায় আধুনিক গান... সবমিলিয়ে জমজমাট ডালহৌসির 'আপিস পাড়ার খাবার'। সল্টলেক এবং রাজারহাট অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে স্ট্রীট ফুড। তবুও ডালহৌসিকে এখনও প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল সংরক্ষণ, প্রচার ও আর বিকাশের প্রয়াসে বেঙ্গল চেম্বার অ্যান্ড এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে। পরিচ্ছন্নতা, অগ্নি নিরাপত্তা, পরিবেশ, খাদ্য সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, বিপণন দক্ষতা, উদ্যোক্তা এবং নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত একটি কর্মশালাও আয়োজন করা হয়। এই অনন্য প্রয়াসে যেখানে ১৫০ জন বিক্রেতাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই চারটি কর্মশালা করা হয়েছে।