Plane Crash: মাঝ আকাশেই গুলিতে ধ্বংস বিমান! মৃত্যু ২৯০ জনের! পৃথিবীতে এমন একটিই ঘটনা, কোন দেশের বিমান কোন দেশ ধ্বংস করে জানেন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Plane Crash: বন্দর আব্বাস থেকে দুবাইগামী একটি নিয়মিত ফ্লাইটের ওই বিমানটি পারস্য উপসাগরের ওপরে উড়ছিল। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি ভুল করে ওই যাত্রীবাহী বিমানটিকে শত্রু বিমান বলে চিহ্নিত করে এবং তার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
advertisement
1/8

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের ঠিক বাইরে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী ফ্লাইট। আহমেদাবাদে বিমান ভেঙে পড়ার আগে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে বিপদাবার্তা পাঠিয়েছিল (মে ডে কল)। ফ্লাইটরাডা২৪-এর তথ্য অনুযায়ী, পাইলটের কাছ থেকে বিপদবার্তা পেয়ে এটিসি যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু আর যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরই বিমান ভেঙে পড়ার খবর জানা যায়। এই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত আড়াইশো জনের।
advertisement
2/8
ইতিহাসে বিমান দুর্ঘটনার নজির কম নেই। কিন্তু এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল বিশ্ব ইতিহাসে, যেখানে ইরানের এক যাত্রীবাহী বিমানকে ধ্বংস করে দিয়েছিল আমেরিকা। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। নিহত হয় বিমানটির ৬৬টি শিশু সহ ২৯০ জন আরোহীর সবাই।
advertisement
3/8
বন্দর আব্বাস থেকে দুবাইগামী একটি নিয়মিত ফ্লাইটের ওই বিমানটি পারস্য উপসাগরের ওপরে উড়ছিল। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি ভুল করে ওই যাত্রীবাহী বিমানটিকে শত্রু বিমান বলে চিহ্নিত করে এবং তার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
advertisement
4/8
১৯৮৮ সালের এই দিনে ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস করে দেয় মার্কিন নৌবাহিনী। পারস্য উপসাগরে ইরান উপকূলের সমুদ্রসীমায় ঢুকে ‘ভিনসেন্স’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ওই সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ফলে বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। বিমানটিতে ছিল ৬৬টি শিশু ও ৫৩ জন মহিলা । বিদেশি নাগরিক ছিল ৪৬ জন।
advertisement
5/8
পশ্চিমা মদদে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তখন পরাজিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল সাদ্দাম বাহিনী। সাদ্দাম বাহিনীকে রক্ষা করতেই ইরানি ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করা হয়। সেদিন ইরানের বন্দর নগরী ‘বন্দর আব্বাস’ থেকে ইরান এয়ারের ৬৫৫ নম্বর ফ্লাইটের মাধ্যমে মাত্র ত্রিশ মিনিটের এক নিয়মিত যাত্রায় দুবাই যাওয়ার জন্য ওই বিমানে আরোহন করেন ২৯৮ জন নিরপরাধ মানুষ। বিমানটি আকাশে উড়ার কিছু সময় পরই মার্কিন ভিনসেন্সের ক্যাপ্টেন ইরানের ওই যাত্রীবাহী বিমানের ওপর মিসাইল ছোঁড়ার আদেশ দেন।
advertisement
6/8
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি আকাশেই বিধ্বস্ত হয়। ইরান এয়ারের বহু মূল্যবান এয়ার বাস এ-৩০০ বিমানটি যখন ধ্বংস হয় তখন তার ভেতরে ৫৩ জন মহিলার কোলে ছিল তাদের মাসুম বাচ্চারা। বিশ্ববিবেক যুক্তরাষ্ট্রের এই অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু ওই হামলার বিষয়ে মার্কিন নেতারা কখনও কোনো দুঃখ প্রকাশতো করেইনি বরং অমানবিক অবস্থান নিয়ে তারা ওই অপরাধের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। মার্কিন নেতারা একটা দায়সারা গোছের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন যে, ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তারা যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভুল করে ইরানের বিমান বাহিনীর এফ-১৪ জঙ্গিবিমান ভেবেছিল।
advertisement
7/8
এই দাবি যে কতখানি মিথ্যা তা আমেরিকার অত্যাধুনক রাডার ব্যবস্থা এবং তাদের যুদ্ধজাহাজে স্থাপিত অতি উন্নত যান্ত্রিক যুদ্ধসরঞ্জামের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমান করা যায়। খালি চোখেও যেখানে জঙ্গিবিমান এবং যাত্রীবাহী বিমানে পার্থক্য বোঝা যায়, সেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক রাডার ব্যবস্থা ভুল করবে- এটা হতেই পারে না।
advertisement
8/8
পরবর্তীতে এটা জানা গেছে যে, মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের যেই সেনাকে যাত্রীবাহী ইরানি বিমান টার্গেট করে ক্ষেপণা্স্ত্র ছুঁড়তে বলা হয়েছিল সে প্রথমে ওই অমানবিক নির্দেশ শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল কারণ, জাহাজের সবার কাছেই এটা স্পষ্ট ছিল যে, ইরানি বিমানটি ছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান এবং তাই সে ওই নির্দেশ মানতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর যখন তাকে সামরিক আদালতে বিচার করার হুমকি দেয়া হয় তখন সে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নির্দেশ পালন করে।