Israel Iran War: ইজরায়েলের সবচেয়ে বড় ভরসা 'আয়রন ডোম'ও সুপার ফ্লপ! কী এই আয়রন ডোম জানেন? কীভাবে কাজ করে, কত দাম? শুনে চোখ কপালে উঠবে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Israel Iran War: ইজরায়েলের বহু চর্চিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোমকে চুরমার করে দিয়ে সরাসরি তেল আভিভে আছড়ে পড়ল ইরানের মিসাইল৷ বিস্ফোরণ-আগুনে ছারখার শহরের একটা বড় অংশ৷
advertisement
1/10

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যে৷ আরও গুরুতর হয়েছে ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ গত শুক্রবার ভোরে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা এবং শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের লক্ষ্য করে ফাইটার জেট অ্যাটাক করেছিল ইজরায়েল৷ ইজরায়েল তাদের এই মিশনের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন৷’
advertisement
2/10
ইজরায়েলি আক্রমণে ইরান প্রশাসনের ৬ পরমাণু বিজ্ঞানী ছাড়াও খতম হয়েছে সর্বোচ্চ সামরিক পদাধিকারী মেজর জেনারেল হোসেন সালামি৷ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মহম্মদ বাঘেরি এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান আলি শামখানি৷ সেই ইজরায়েলি হামলারও প্রতিশোধ নিল ইরান৷
advertisement
3/10
ইজরায়েলের বহু চর্চিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আয়রন ডোমকে চুরমার করে দিয়ে সরাসরি তেল আভিভে আছড়ে পড়ল ইরানের মিসাইল৷ বিস্ফোরণ-আগুনে ছারখার শহরের একটা বড় অংশ৷
advertisement
4/10
আকাশের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে সাদা ধোঁয়া। তারপরই বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলকানি। শত্রুপক্ষের মিসাইল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আকাশেই। হ্যাঁ, এটাই আয়রন ডোম। হিব্রুতে বলে ‘কিপ্পাত বারজেল’। ইজরায়েলের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। গত বছর গ্রীষ্মে ইজরায়েলে রকেট হামলা চালায় পিআইজে গোষ্ঠী। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, হামলায় ৯৭ শতাংশ মিসাইলই সফলভাবে ধ্বংস করে আয়রন ডোম। হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইতেও আয়রন ডোমের উপরেই ভরসা করছে ইজরায়েল।
advertisement
5/10
আয়রন ডোম আসলে ঠিক কী: কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়রন ডোম হল অ্যান্টি-রকেট, অ্যান্টি-মর্টার এবং অ্যান্টি আর্টিলারি সিস্টেম। এটা ২.৫ থেকে ৪৩ মাইল বা ৪ থেকে ৭০ কিমি দূর থেকে রকেট বা মিসাইল আটকে দিতে পারে। তারপর কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে রকেটের পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায়।
advertisement
6/10
অন্যভাবে বললে আয়রন ডোম হল ব্যাটারির সিরিজ যা র‍্যাডারের মাধ্যমে শর্ট-রেঞ্জের রকেট সনাক্ত করে আটকে দেয়। প্রতিটি ব্যাটারিতে তিনটি বা চারটি লঞ্চার, ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি র‍্যাডার থাকে। রেথিয়ানের মতে, ইজরায়েলের রাফায়েল ডিফেন্স সিস্টেমের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা জায়ান্ট যৌথভাবে এই সিস্টেম তৈরি করেছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত, ইজরায়েলের অন্তত দশটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সারা দেশ জুড়ে মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিটি ব্যাটারি ৬০ বর্গমাইল জনবহুল এলাকাকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
advertisement
7/10
আয়রন ডোম কবে প্রথম ব্যবহার করা হয়: আয়রন ডোমের কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এবং ২০০৯ সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০১১ সালে এগুলি প্রথম মোতায়েন করা হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে ইজরায়েল প্রথমবার আয়রন ডোমকে অ্যাক্টিভেট করে।
advertisement
8/10
আয়রন ডোম কীভাবে কাজ করে: আয়রন ডোম তার রেঞ্জের মধ্যে আসা রকেটকে প্রথমে সনাক্ত করে, তারপর তার পথ সম্পর্কে তথ্য পাঠায় কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারে। সেখানে দেখা হয় রকেটটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানবে কি না। যদি তাই হয় তখন আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে রকেটটাকে ধ্বংস করে। আর যদি দেখা যায় রকেট খোলা অঞ্চলে বা সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে, তাহলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আয়রন ডোমের ক্ষেপণাস্ত্র বেঁচে যায়।
advertisement
9/10
আয়রন ডোমের দাম: তেল আভিভের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ অনুসারে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য আনুমানিক ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আয়রন ডোমে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।
advertisement
10/10
আয়রন ডোম কে তৈরি করেছে: আয়রন ডোম তৈরি করেছে ইজরায়েলের রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম। সাহায্য করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের থেকে আয়রন ডোম কোথায় আলাদা: ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের বিপরীতে, আয়রন ডোম কম উচ্চতায় থাকা ওয়ারহেড রকেট আটকানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। গাজার জঙ্গি গোষ্ঠী এই ধরনের হামলাই চালায়।