Donald Trump Secret Weapon: ট্রাম্প এটা ফেললেই ইরান শেষ...পেরেকের মতো গেঁথে যাবে বাঙ্কারে লুকনো পরমাণু কেন্দ্রে! সঙ্গে সঙ্গে ব্লাস্ট..চিনুন আমেরিকার সেই ‘সিক্রেট ওয়েপন’
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে আমেরিকার এই বাঙ্কার বাস্টার৷ কিন্তু, আমেরিকা সেটা ব্যবহার করবে কি না সেই প্রশ্ন৷ কারণ, এই অস্ত্র ব্যবহার করার অর্থ, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ডেকে এনে বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে ফেলা৷ কারণ, এই হামলায় যুদ্ধের ‘রেডিয়েশন’ ছড়িয়ে যাবে বহুদূর পর্যন্ত৷
advertisement
1/8

ইজরায়েল ইরান যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই ছিল, এবার পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, যে কোনও দিন সরাসরি এই যুদ্ধে ঢুকে পড়তে পারে আমেরিকা৷ বা আরও ভাল করে বললে, ঢুকে পড়তে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কারণ, গতকালই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছে, তার মনে কী আছে, সেটা কেউ জানে না৷ শোনা যাচ্ছে, ইরানে হামলা চালানোর ব্লু প্রিন্ট ইতিমধ্যেই দেখেশুনে রেখেছে ট্রাম্প৷ অপেক্ষা শুধু একটা নির্দেশের৷ বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ইরানকে শায়েস্তা করার জন্য ট্রাম্প এমন এক গোপন হাতিয়ার বেছে রেখেছে, যা পাশা বদলে দিতে পারে ইজরায়েল ইরান যুদ্ধের৷ সেই গোপন হাতিয়ারের নাম বাঙ্কার-বাস্টার বম্ব৷ বিষয়টা কী, কেমন করে কাজ করে, শুনলে শিউরে উঠবেন৷
advertisement
2/8
কে না জানে, ওসামা বিন লাদেন লুকিয়ে ছিল পাক সীমান্ত সংলগ্ন পূর্ব আফগানিস্তানের তোরা বোরা কেভ-এ৷ আর ইরানের পরমাণু অস্ত্র লুকিয়ে রাখা রয়েছে মাটির অনেক গভীরে তৈরি করা পাকাপোক্ত বাঙ্কারে৷ যার গায়ে কোনও মিসাইল তো কোন ছাড় পরমাণু বোমাও আঁচড় কাটতে পারে না৷ জানা যায়,এই যুদ্ধে ইরানের অন্যতম প্রধান অস্ত্র হল এই বাঙ্কারগুলো৷ এরকমই এক বাঙ্কারে সম্ভবত লুকিয়ে থাকতে পারেন সে দেশের সর্বশক্তিমান নেতা আয়াতোল্লা খামেইনি৷ মনে করা হচ্ছে, ইরানের এই বাঙ্কার নেটওয়ার্ক শেষ করে দিতেই বিশেষ হাতিয়ার নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামতে পারে ট্রাম্প৷
advertisement
3/8
এই ব্রহ্মাস্ত্রের নাম GBU-57/B৷ আমেরিকার সেনা ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে তৈরি এই বিশেষ বোমা মাটির গভীরে থাকা চওড়া কংক্রিটের দেওয়াল ওয়ালা বাঙ্কারকেও উড়িয়ে দিতে পারে৷ তবে পাথুরে জমির ৮০ মিটার গভীরে তৈরি ইরানের পরমাণু বোমা প্রুফ বাঙ্কারে কি পৌঁছতে পারবে ট্রাম্পের এই অস্ত্র? কী বলছেন বিশেষজ্ঞেরা?
advertisement
4/8
ডাক নাম বাঙ্কার বাস্টার, আর ভাল নাম, ম্যাসিভ অর্ডান্স পেনিট্রেটরস (MOPS)৷ এই বোমা একেবার নির্দিষ্ট টার্গেটে মাটি, পাথর, কংক্রিট ভেদ করে লক্ষ্যের বাঙ্কারে হামলা চালাতে পারে৷ বোমার বিস্ফোরণও হয় মাটির নীচেই৷ প্রায় ৫০০০ কেজি বোমা বওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই অস্ত্রের৷
advertisement
5/8
আমেরিকা যদি সত্যি সত্যিই ইজরায়েল ইরানের যুদ্ধে সরাসরি জড়াতে যায়, তাহলে তাদের মূল উদ্দেশ্য হবে ইরানের পরমাণু অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির গবেষণাগারগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া৷ বিশেষ করে মাটির নীচে থাকা সেই সমস্ত বাঙ্কার, যেখানে ইরান বিপুল পরিমাণে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত ইউরেনিয়াম লুকিয়ে রেখেছে৷ ইরানের মধ্য ভাগে থাকা নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রই তেমন একটা কেন্দ্র, যুদ্ধের প্রথম দিনেই যেখানে হামলা করেছিল ইজরায়েলের বায়ুসেনা৷
advertisement
6/8
মনে করা হচ্ছে, যদি ইরান ইজরায়েলের যুদ্ধে ট্রাম্প ঢোকে, তাহলে সর্বাধুনিক বাঙ্কার বাস্টার GBU-57A/B বোমা ব্যবহারে অনুমতি দিতে পারে ট্রাম্প৷ স্টিল অ্যালয়ের তৈরি এই বোমা বিমান থেকে ড্রপ করা হয়৷ এতে থাকা GPS একে পৌঁছে দেয় নির্দিষ্ট টার্গেটে৷ মাটির যত কাছাকাছি যায়, ততই বাড়ে তার গতিবেগ৷ ফলে মাটি ছোঁয়া মাত্র বিরাট বড় দৈত্যাকার পেরেকের মতো পাথুরে জমি, কংক্রিটের দেওয়াল ফুঁড়ে পৌঁছে যায় লক্ষ্যের বাঙ্কারে৷ তারপর বিস্ফোরণ ঘটায়৷
advertisement
7/8
নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রের মতোই ইরানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র ফরডো৷ তেহরান থেকে ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে থাকা এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রও লুকিয়ে রয়েছে পাহাড়ে পাথুরে জমির ৮০ মিটার নীচে তৈরি করা বাঙ্কারে৷
advertisement
8/8
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ফরডো পরমাণু কেন্দ্রকে ভেঙে তছনছ করে দিতে পারে আমেরিকার এই বাঙ্কার বাস্টার৷ কিন্তু, আমেরিকা সেটা ব্যবহার করবে কি না সেই প্রশ্ন৷ কারণ, এই অস্ত্র ব্যবহার করার অর্থ, রাশিয়া, চিনের মতো দেশকে ডেকে এনে বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে ফেলা৷ কারণ, এই হামলায় যুদ্ধের ‘রেডিয়েশন’ ছড়িয়ে যাবে বহুদূর পর্যন্ত৷