Israel Iran War: আমেরিকার উস্কানি, নাকি অন্য গল্প...কেন হচ্ছে ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ভয়ঙ্কর থ্রেট
- Published by:Satabdi Adhikary
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
এপ্রিল-জুন ২০২৫: ইজরায়েল ইরানকে পারমাণবিক সীমা অতিক্রম করার অভিযোগ করে। IAEA স্বচ্ছতা হ্রাসের কথা জানায়। ১৩ জুন, ২০২৫: ইজরায়েল অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ইরান হয়তো তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের হারিয়েছে। বিশ্ব তাকিয়ে আছে পরবর্তীতে কী হয় তা দেখার জন্য।
advertisement
1/10

যুদ্ধের জমি গত কয়েক মাস ধরেই তৈরি হচ্ছিল ৷ গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকানদের সরিয়ে বক্তব্যে যুদ্ধের আভাস স্পষ্ট হয়ে যায়৷ শুক্রবার ভোর রাত থেকেই ইরানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু কেন্দ্র,ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সেনা ঘাঁটিতে থাকা শীর্ষ সামরিক কর্তাদের লক্ষ্য করে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে ইজরায়েল৷ তারপর ঘোষণা করেছে, ইরানের বিরুদ্ধে তাদের এই ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ এখন চলবে৷ ইজরায়েলি হামলায় তছনছ ইজরায়েলের নানতানজ পরমাণু কেন্দ্র৷ এদিকে পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে ইরানও৷
advertisement
2/10
ভয়ঙ্কর শত্রু দুই দেশ৷ চিরশত্রু৷ কিন্তু, এখন হঠাৎ হামলা কেন? কয়েক মাস ধরেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল৷ ইজরায়েল দাবি করেছে, গোয়েন্দা সূত্রে তাদের দাবি ছিল ইরান একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত করেছে। একজন উর্ধ্বতন ইজরায়েলি সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে খবর আছে, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম জমা করেছে, তাতে ১৫টা পরমাণু বোমা তৈরি করা যায়৷ সেই কারণে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই এই হামলা বলে ইজরায়েলের দাবি৷
advertisement
3/10
অন্যদিকে, ইজলায়েল প্যালেস্তাইনের যুদ্ধেও হিজবুল্লাহ এবং হামাসের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সরাসরি ইরান সাহায্য করছে বলেও বারবার অভিযোগ এনেছিল ইজরায়েল৷ যার পাল্টা হিসাবে সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসেও হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েল৷ তবে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আগ্রাসন ও নাশকতার অভিযোগ এনেছে৷
advertisement
4/10
এই গোটা বিষয়ে আমেরিকার কী ভূমিকা আছে জানেন? ইজরায়েলের পরম বন্ধু হলেও আমেরিকা দাবি করেছে, ইরানে ইজরায়েলের সাম্প্রতিক এই হামলার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই৷ তবে মার্কিন বিদেশ সচিব জানিয়েছে দিয়েছেন, ইরান যদি ওই এলাকায় থাকা ইরাক বা অন্য দেশের কোনও মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় তাহলে প্রত্যাঘাত করবে আমেরিকাও৷ ইরানও অবশ্য জানিয়েছে, আমেরিকার সরাসরি মদত না থাকলে ইরানের পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সাহস পেত না ইজরায়েল৷
advertisement
5/10
কয়েক দশক ধরে চলছে এই ক্ষমতার লড়াই। ইরানের পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ হওয়ার চেষ্টা, ইজরায়েলের শত্রু প্যালেস্টাইনের হিজবুল্লাহ ও হামাসের মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে টানা সাহায্য, এবং ইজরায়েলকে সমানে টার্গেট করে যাওয়া এসবের কারণেই ইরানকে নিজের সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে ইজরায়েল৷ ইসলামিক রাষ্ট্র ইরান,ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলের অস্তিত্বের পক্ষে বিরাট হুমকি বলে মনে করে সেই দেশ৷ আর অন্যদিকে, ইরানের পরমাণু শক্তিধর হওয়া কখনওই মেনে নেয় না আরেক পরমাণু শক্তিধর দেশ আমেরিকা৷ তা নিয়ে দু দেশের নীরব সংঘাত সর্বজনবিদিত৷
advertisement
6/10
এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে- ৭ অক্টোবর, ২০২৩: ইরান সমর্থিত হামাস দক্ষিণ ইজরায়েলে একটি মারাত্মক আক্রমণ চালায়, যার ফলে ১,১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ইজরায়েল গাজায় একটি বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৩: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইজরায়েল তার অভিযান অব্যাহত রাখলে আরও বিস্তৃত আঞ্চলিক সংঘাতের জন্য সতর্ক করে দেন। হিজবুল্লাহ উত্তর ইজরায়েলে দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলে।
advertisement
7/10
ডিসেম্বর ২০২৩ - মার্চ ২০২৪: ইজরায়েল সিরিয়ায় আইআরজিসি কর্মীদের উপর হামলা করে, এতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হয়। ১ এপ্রিল, ২০২৪: দামাস্কাসে ইরানের কনস্যুলেট অ্যানেক্সে ইজরায়েল বোমা হামলা চালায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজা জাহেদি নিহত হন। ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
advertisement
8/10
১৩-১৪ এপ্রিল, ২০২৪: ইরান ইজরায়েলের উপর প্রথমবারের মতো সরাসরি আক্রমণ শুরু করে, ৩০০+ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। প্রায় সবগুলোই প্রতিহত করা হয়। ১৯ এপ্রিল, ২০২৪: ইজরায়েল ইসফাহানের কাছে একটি রাডার সাইটে বোমা হামলা চালিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। ৩১ জুলাই, ২০২৪: তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়।
advertisement
9/10
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর: বেইরুটে হাসান নাসরুল্লাহ সহ হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা এবং আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরৌশানকে ইজরায়েল হত্যা করে। ১ অক্টোবর, ২০২৪: ইরান ইজরায়েলে ২০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ২৬ অক্টোবর, ২০২৪: ইজরায়েল ইরান-সংশ্লিষ্ট ২০টিরও বেশি সাইটে হামলা চালায়। জানুয়ারি-মার্চ ২০২৫: লেবাননে হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনে হুতি এবং সিরিয়া/ইরাকে মিলিশিয়া - একাধিক প্রক্সি ফ্রন্টে লড়াই তীব্রতর হয়।
advertisement
10/10
এপ্রিল-জুন ২০২৫: ইজরায়েল ইরানকে পারমাণবিক সীমা অতিক্রম করার অভিযোগ করে। IAEA স্বচ্ছতা হ্রাসের কথা জানায়। ১৩ জুন, ২০২৫: ইজরায়েল অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ইরান হয়তো তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের হারিয়েছে। বিশ্ব তাকিয়ে আছে পরবর্তীতে কী হয় তা দেখার জন্য।