India Bangladesh Relations: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরাট মোড়! হঠাৎ ইউনূসকে চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদির, পাল্টা উত্তর দিলেন ইউনূসও! কী লিখলেন চিঠিতে?

হাসিনার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক প্রভাবিত হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই বিরাট খবর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি পাঠালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কী কথা হয়েছে দুজনের, সেই কথা এক্স হ্যান্ডলে জানালেন ইউনূসই। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঈদ-উল-আযহার উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুহাম্মদ ইউনুসকে একটি চিঠিতে।

৪ জুন, ২০২৫ তারিখের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি লিখেছেন, "ভারতীয় জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।"

তিনি উৎসবের সাংস্কৃতিক গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, এটি "ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের প্রতিফলন," এবং ইউনুসের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।

"এই পবিত্র উৎসবটি ভারতের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি দেশের কোটি কোটি ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ আনন্দ এবং উদ্দীপনার সঙ্গে পালন করেন। এটি আমাদের ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের চিরন্তন মূল্যবোধের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা শান্তিপূর্ণ এবং একত্রিত বিশ্বের জন্য অপরিহার্য," তিনি বলেন।

৬ জুন প্রতিক্রিয়ায়, ইউনুস প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তার চিন্তাশীল বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং ঈদের মাধ্যমে উদযাপিত শেয়ার্ড মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যের প্রশংসা করেছেন। তার চিঠিতে, ইউনুস বলেন, "ঈদ-উল-আযহা একটি প্রতিফলনের সময়, যা সম্প্রদায়গুলিকে একত্রিত করে... এবং আমাদের সকলকে বিশ্বের মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য একসাথে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।"

তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। সেই সঙ্গে বলেন, "আমি আত্মবিশ্বাসী যে পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া আমাদের দুই দেশকে জনগণের মঙ্গলের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সাহায্য করবে।"

চিঠিতে ইউনূস আরও লেখেন, "এই পবিত্র উপলক্ষে আমি আপনার উন্নতি, সুস্বাস্থ্য এবং সুখ কামনা করি এবং ভারতের জনগণের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি কামনা করি"। দুই দেশের রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় দুই দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করবে বলে অনুমান ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষের।