ওয়াশিংটন হোটেল থেকে ‘বিজয় ভাষণে’ ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানালেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Pakistan Army Chief Asim Munir Challenges India In 'Victory Speech': মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের ফোর সিজনস হোটেলে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির আহমেদ শাহের দেওয়া ভাষণটি CNN-News18 অ্যাক্সেস করেছে, যেখানে তিনি ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। যদিও, শুধু ভারতকে তাচ্ছিল্য করার মধ্যেই বিষয়টি সীমিত ছিল না, এসেছে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের কথাও।
advertisement
1/6

Author-Manoj Gupta: পাকিস্তানের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র বহু বছর ধরেই স্পষ্ট। তবে, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের রক্ত ঝরার পরে ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। প্রথমে কূটনৈতিক স্তরে কোণঠাসা করা হয় প্রতিবেশী দেশকে, আটারি ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, রদ করা হয় সিন্ধু জল চুক্তি। পরের ধাপে শুরু হয় অপারেশন সিঁদুর। এর অধীনে প্রথমে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি সমূলে উপড়ে ফেলা হয়। পাকিস্তান পাল্টা জবাব দিলে ভারত বিধ্বস্ত করে তার বিমানঘাঁটি। বাধ্য হয়ে যুদ্ধবিরতির পথ বেছে নিতে হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু, এই পরাজয়ের পরেও, সম্ভবত তা ঢাকার গ্লানি এড়াতেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। এর পর বিশ্বদরবারে সরাসরি ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানালেন তিনি। (File Photo)
advertisement
2/6
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের ফোর সিজনস হোটেলে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সৈয়দ আসিম মুনির আহমেদ শাহের দেওয়া ভাষণটি CNN-News18 অ্যাক্সেস করেছে, যেখানে তিনি ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। যদিও, শুধু ভারতকে তাচ্ছিল্য করার মধ্যেই বিষয়টি সীমিত ছিল না, এসেছে ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষের কথাও। এই প্রসঙ্গে মুনির বলেন যে তাঁর দেশ ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘাত কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। (File Photo)
advertisement
3/6
বস্তুত, পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ আব্দুল রাজাক রাজার স্লোগান এবং পাকিস্তানি ফিল্ড মার্শালের উচ্ছ্বসিত বক্তৃতা অনুষ্ঠানটিকে ভারতের উপর বিজয়-এর একটি জাল উদযাপনে পরিণত করেছে। নিজের পরাজয় ঢাকতে মুনির সেনা, রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ পাকিস্তানিদের ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আমেরিকান পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে একটি আবেগঘন এবং দীর্ঘ ভাষণ দেন। অবশ্য, শুধুই পাকিস্তানি ফিল্ড মার্শাল নন, একই আচরণ করেছেন অন্যরাও- মুনির যখন ভারতকে বার বার চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছিলেন, তখন তাঁর আত্মীয় এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মহসিন নকভিও তাঁকেই সমর্থন করেন। (Photo: AFP)
advertisement
4/6
অদ্ভুত বিষয় হল, ফিল্ড মার্শাল ১৯৭৯ সালের পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান, যখন মসজিদ এবং সিনেমা হল প্রতিবেশী দেশে একত্র সহাবস্থান করত। তিনি দাবি করেছেন যে ওই সময়ে না কি "ভারতের সমগ্র জীবন ব্যবস্থা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে ছিল"!
advertisement
5/6
এই সুযোগে মুনির পাকিস্তানের প্রশাসনকেও এক হাত নিয়েছেন। দুর্বল কূটনীতির সমালোচনা করে বলেন যে, ভারত "প্রতারণা থেকে লাভবান হয়েছে" এবং পাকিস্তান বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ঠিক পরের ধাপেই তিনি তিনি রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের ঐক্যের উপর জোর দেন, তাদের এক দেহ, এক আত্মা হিসেবে বর্ণনা করেন। জল্পনা জোরদার যে পাকিস্তানে সেনা শাসন ফিরে আসতে পারে, মুনিরের বক্তব্যে তারই ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
advertisement
6/6
অন্য দিকে, যুদ্ধবিরতি থেকে সরে এসে আবার সংঘর্ষের প্রসঙ্গ প্রকারান্তরে উল্লেখ করেছেন তিনি। বলেছেন, তিনি ভারতের মুখোমুখি হওয়ার জন্য পাকিস্তানি সৈন্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অধৈর্যতা লক্ষ্য করছেন। একই সঙ্গে, চিনের উল্লেখযোগ্য সমর্থন স্বীকার করে নিয়েছেন মুনির। তবে নিজের দেশকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতেও পিছ-পা হননি। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তানের নিজস্ব সম্পদ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন তিনি।