Ali Khamenei Iran: ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল, কিন্তু আছে অসীম এক ক্ষমতা! আমেরিকা-ইজরায়েলের প্রধান শত্রু খামেইনি আসলে কে জানেন? পরিচয় শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Ali Khamenei Iran: আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন।
advertisement
1/8

চলমান ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা শুরুর পর থেকেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে তা হচ্ছে—আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দুজনেই ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতাকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
advertisement
2/8
আয়াতুল্লাহ আলি খামেইনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি। প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন। এ সময়ে তিনি আমেরিকা ও ইজরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আন্দোলন দমন করেছেন।
advertisement
3/8
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেইনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন।
advertisement
4/8
খোমেনি ১৯৩৯ সালে ইরানে মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেইনির শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
advertisement
5/8
১৯৮১ সালে খামেইনি একটি হামলার শিকার হন, যাতে তার ডান হাত স্থায়ীভাবে বিকল হয়ে যায়। রুহুল্লাহ খোমেইনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
advertisement
6/8
সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার পর থেকে খামেইনি ইরানের সীমান্ত ছাড়িয়ে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারে মনোযোগ দেন। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স নামে পরিচিত একাধিক মিত্র গোষ্ঠী গড়ে তোলেন যা লেবানন থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত বিস্তৃত। এই দীর্ঘ সময় ইরান সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও, সব কিছু বদলে যায় যখন ৭ অক্টোবর ২০২৩-এ হামাস ইজরায়েলের হামলা চালায়।
advertisement
7/8
এর পর গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসন, লেবাননের হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ ও এবং ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও শীর্ষ সামরিক নেতাদের ওপর ইসরাইলের বিমান হামলা ইরানের অজেয় ভাবমূর্তি ভেঙে দেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প খামেইনিকে ‘সহজ লক্ষ্যবস্তু’ বলে অভিহিত করেছেন। এই মন্তব্য কেবল কূটনৈতিক উত্তেজনা নয়, বরং একটি সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের সংকেতও বহন করে।
advertisement
8/8
একজন সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত যে কতটা অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, তা কল্পনা করাও কঠিন। এই মুহূর্তে আয়াতুল্লাহ আলী খামেইনি রয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতির কেন্দ্রে।