ব্যাঙ্কে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে? তাহলে এই কাজটি না করলেই হাওয়া হয়ে যাবে হাজার হাজার টাকা

বর্তমানে সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কিং ও ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্বন্ধে অনেক বেশি ওয়াকিবহাল ৷ এমনকি বিনিয়োগ ও সেভিংস নিয়েও অনেক বেশি সচেতন এখানকার মানুষ ৷ ভারতীয় জনসংখ্যার যে বিপুল অংশের ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের মধ্যে অধিকাংশই একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিক ৷

সাধারণত চাকুরীজীবীদের মধ্যে একাধিক অ্যাকাউন্টের প্রবণতা দেখা যায় ৷ কোম্পানির খুলে দেওয়া স্যালারি অ্যাকাউন্ট ছাড়া আলাদা করে অন্তত একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট প্রত্যেকেরই থাকে ৷

অধিকাংশ মানুষই সেভিংসের নেশায় আলাদা দুটি ব্যাঙ্কে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন, কিন্ত পরে তা বজায় রাখতে পারেন না ৷ সেভিংস অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স বজায় না রাখতে পেরে অনেক সময়ই জরিমানার মুখোমুখি হন অনেকে ৷ কোনও কোনও ব্যাঙ্কে সেভিংসে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা ব্যালান্স রাখা বাধ্যতামূলক ৷ সেক্ষেত্রে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে শুধু ২০ হাজার টাকা জমা করে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় ৷

একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে পারেন গ্রাহকেরা ৷ আয়করে প্রতিটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য দেওয়াটাও ঝামেলার ৷

একইসঙ্গে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মালিক হলে গ্রাহকদের প্রতিটা অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা আলাদা করে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে ৷ কারণ- ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্যেও ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের থেকে চার্জ নেয় ৷

একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বজায় রাখতে গিয়ে গ্রাহকদের বহু টাকা বেকার ব্যাঙ্কে জমা পড়ে থাকে ৷ প্রয়োজন হলেও ন্যূনতম ব্যালান্স বজায় রাখার জন্যে টাকা তোলা যায় না ৷ অন্যদিকে সেভিংস অ্যাকাউন্টে কোনও ব্যাঙ্কই ৪-৫ শতাংশের বেশি সুদ দেয় না ৷ ফলে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে লাভের চেয়ে লোকসানের খতিয়ানই বেশি ৷