Rajesh Khanna Bungalow: রাজেশ খান্নার বাংলো 'ভূতুড়ে', 'অভিশপ্ত'! সেখানে থাকলে কী পরিণতি হয়, শিউরে উঠবেন
- Published by:Sanchari Kar
- news18 bangla
Last Updated:
Rajesh Khanna Bungalow: রাজেশ খান্নার প্রাসাদোপম বাংলোর সঙ্গে জুড়ে আছে 'ভূতুড়ে', 'অভিশপ্ত'-র মতো তকমা। সেখানে থাকলেই নাকি জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কিন্তু কেন এরকম অভিযোগ সেই বাংলোকে নিয়ে? জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
1/8

রাজেশ খান্নার প্রাসাদোপম বাংলোর সঙ্গে জুড়ে আছে 'ভূতুড়ে', 'অভিশপ্ত'-র মতো তকমা। সেখানে থাকলেই নাকি জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কিন্তু কেন এরকম অভিযোগ সেই বাংলোকে নিয়ে? জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
2/8
এক সময় কথিত ছিল, বাংলোটি ভুতুড়ে। শুধু তাই নয়, বলা হত, যে সেটি তার মালিকের জন্য দুর্ভাগ্য ডেকে আন। সেই কারণেই 'অভিশপ্ত' তকমা পেয়েছিল।
advertisement
3/8
কার্টার রোডের এই বাংলোর প্রথম মালিক ছিলেন অভিনেতা ভারত ভূষণ। তিনি পাঁচের দশকে বৈজু বাওরা, মির্জা গালিব, গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, এবং বরসাত কি রাতের মতো ছবির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছিলেন।
advertisement
4/8
আচমকাই তাঁর ছবিগুলি বক্স অফিসে ফ্লপ হতে শুরু করে এবং তিনি প্রচুর ঋণে পড়ে যান। প্রচুর লোকসানের কারণে ভারত ভূষণকে এই বাংলোটি বিক্রি কর দিতে হয়েছিল।
advertisement
5/8
ভারতের এই পরিণতি কেউই সেই বাংলোটি কিনতে চাননি। এক বন্ধুর পরামর্শে অভিনেতা রাজেন্দ্র কুমার এটি কিনেছিলেন মাত্র ৬০ হাজার টাকায়। রাজেন্দ্রকে অভিনেতা মনোজ কুমার 'ভূতের বাংলো' গুজবে বিশ্বাস না করতে বলেছিলেন এবং সেখানে যাওয়ার আগে তাকে পূজা করার পরামর্শ দেন।
advertisement
6/8
রাজেন্দ্র কুমার তাঁর মেয়ের নামে বাংলোটির নাম রেখেছেন 'ডিম্পল'। সেই বাংলোয় থাকার পরেও তিনি সফল হতে থাকেন। কিন্তু ১৯৬৮-৬৯ সালের দিকে রাজেন্দ্র কুমারের ছবিগুলি ব্যর্থ হতে শুরু করে। এবং তিনি ক্ষতির সম্মুখীন হন। তিনিও সেই বাংলো বিক্রি করতে বাধ্য হন।
advertisement
7/8
রাজেশ খান্না যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তখন তিনি জানতে পারেন রাজেন্দ্র কুমার তাঁর বাংলো বিক্রি করতে চান। রাজেশ তাঁকে অনেক বোঝান এবং অবশেষে রাজেন্দ্র কুমার তাঁকে সাতের দশকে মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকায় বাংলোটি বিক্রি করেন। তিনি বাংলোটির নাম পরিবর্তন করে 'আশীর্বাদ' রাখেন।
advertisement
8/8
সেই সময়ে রাজেশ খান্না দেশের 'প্রথম সুপারস্টার'-এর শিরোপা পান। তিনি সাতের দশকের শুরুতে একটানা ১৭টি হিট দেন এবং কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। তবে সাতের দশকের শেষের দিকে রাজেশ নাটকীয়ভাবে কাজ বন্ধ করে দেন। তাঁর জায়গা নেন অমিতাভ বচ্চন। রাজেশ আর্থিক এবং ব্যক্তিগত উভয় ক্ষেত্রেই বিপর্যস্ত ছিলেন। তবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বাংলোতেই থাকতেন। ২০১৪ সালে একজন শিল্পপতি ৯০ কোটি টাকায় বাংলোটি কিনেছিলেন।