গর্বে মাটিতে পা পড়ত না, আজ একটা ছবিও হাতে নেই, বিয়ে থেকে কেরিয়ার এক ধাক্কায় জীবন বরবাদ এই পরিচালকের
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
আজ আমরা বলিউডের এমন একজন প্রযোজক-পরিচালকের কথা বলব যিনি একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই অহঙ্কারী মানুষরূপে পরিচিত ছিলেন। খুব অল্প সময়ে অত্যধিক সাফল্যই তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
1/7

বিশ্বের অন্যতম বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউডে সাফল্য অর্জন করা খুব সহজ নয় এ কথা সকলেই জানেন। আবার যাঁরা সাফল্য অর্জন করেছেন তাঁদের পক্ষেও সেই সাফল্যকে ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। জীবনের কোনও ছোট্ট একটি ভুলই আমাদের কেরিয়ারে বিশাল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এই বিষয়ে সঞ্জয় দত্ত বা সলমন খানের সঙ্গে অনেকেই মিল খুঁজে পাবেন। মুহূর্তের কিছু ভুলের কারণে তাঁদের বছরের বছর ধরে আদালতে ঘুরপাক খেতে হয়েছে। কিন্তু আজ আমরা বলিউডের এমন একজন প্রযোজক-পরিচালকের কথা বলব যিনি একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই অহঙ্কারী মানুষরূপে পরিচিত ছিলেন। খুব অল্প সময়ে অত্যধিক সাফল্যই তাঁর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ায়।
advertisement
2/7
আমরা যাঁর কথা বলছি তিনি হলেন সাজিদ খান। সাজিদ একসময় বলিউডের সেরা পরিচালক হিসেবে বিবেচিত হতেন। সাজিদ খান পরিচালক এবং কোরিওগ্রাফার ফারাহ খানের ভাই।
advertisement
3/7
২০০৬ সালে তিনি তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। সাজিদ খানের কেরিয়ার শুরু হয় একটি টিভি শো 'ম্যায় হুঁ ডিটেকটিভ'-এর উপস্থাপক হিসাবে, তারপরে ২০০৬ সালেই তিনি তাঁর বোন ফারাহ খানের মতো চলচ্চিত্রের পরিচালনায় নামেন। তাঁর পরিচালনায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘ডরনা ভি জরুরি হ্যায়’। এরপর তিনি একের পর এক অনেক চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
advertisement
4/7
এই সময়ে তাঁর জীবনে ৮-১০ জন অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে যায়। জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গেও বেশ কিছুদিন তিনি সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু এই সম্পর্কও বেশিদিন স্থায়ী হতে পারেনি এবং ২০১৩ সালে তাঁদের বিচ্ছেদের খবর মিডিয়াতেও প্রকাশ পায়।
advertisement
5/7
তাঁর কেরিয়ারে সবচেয়ে বড় ছন্দপতন ঘটে ২০১৮ সালে, যখন একের পর এক অনেক অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ‘MeToo’ হ্যাশট্যাগে হেনস্তার অভিযোগ আনেন। তাঁর নিজের সহকারী সালোনি চোপড়া তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, শার্লিন চোপড়া, মন্দানা করিমি, ডিম্পল পল, অহনা কুমরা, সিমরান সুরি, করিশমা উপাধ্যায়, র্যাশেল হোয়াইট, করিশমা খান এবং জিয়া খানও তাঁর বিরুদ্ধে শারীরিক লাঞ্ছনাক গুরুতর অভিযোগ করেছেন।
advertisement
6/7
চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে যাওয়ায় তাঁর কেরিয়ারের গ্রাফ নিচের দিকে নামতে থাকে। ‘MeToo’ বিতর্কের কারণে তাঁকে রাতারাতি 'হাউসফুল ৪' ফিল্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অপসারণের পর এই ছবিটি পরিচালনা করেন ফরহাদ সামজি।
advertisement
7/7
পরে বিগ বসে অংশগ্রহণ করলেও তাঁর কেরিয়ারে উন্নতি আসেনি, ভাবমূর্তি শুদ্ধ হয়নি। বিগ বস-এর সিজন ১৬-তে অংশ নিয়েছিলেন সাজিদ, কিন্তু সেখানে তাঁকে নিয়ে বিতর্ক এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তাঁকে শোয়ের মাঝখানে বাদ দিয়ে হয়। আজ সাজিদ খান অজ্ঞাতসারেই জীবনযাপন করছেন এবং কার্যত একটি চলচ্চিত্রের জন্য আকুল হয়ে রয়েছেন, অথচ তাঁকে নিয়ে কারও কোনও আগ্রহ নেই।