সোনালি চলে গেলেন বহু দূর, সামাজিক মাধ্যমে পড়ে রইল জীবনের জলছবির টুকরো

প্রেমে পড়েছিলেন পড়ুয়াজীবনে৷ বিয়ে করেছিলেন যখন দু’জনেই কেরিয়ারে নবাগত৷ শঙ্কর ও সোনালি চক্রবর্তীর প্রেম তথা দাম্পত্যের সুর শেষ পর্যন্ত ছিল ছন্দোবদ্ধ৷

দু’জনেই অভিনয় করেছেন বাংলা বিনোদন মাধ্যমে৷ ব্যক্তিগত জীবনে সব সময় একে অন্যের পরিপূরক ও ভরসার স্থলের ভূমিকায় উজ্জ্বল হয়ে ছিলেন৷

১৯৯০ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন শঙ্কর ও সোনালি৷ ইন্ডাস্ট্রিতে সে সময় দুজনেই মজবুত করছেন পায়ের নীচের জমি৷

কোনও এক সময় সোনালি তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলেন অভিনয়ের জগতে৷

পরে নিজেকে ধীরে ধীরে অভিনয় থেকে সরিয়ে নেন মেয়ে সাজির জন্য৷ সে কথা শঙ্কর চক্রবর্তী বলেছেন তাঁর স্মৃতিচারণে৷

শঙ্কর ও সোনালি চক্রবর্তীর একমাত্র মেয়ে সাজি এখন মুম্বইয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন৷

জীবনের জলছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী৷

তারকাসুলভ চমকের পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গযাপনের ছবিতে শুধুই নিটোল সংসার কোণ৷

রেস্তরাঁয় খাওয়া হোক বা শৈলশহরে ছুটি কাটানোর অন্য অন্তরঙ্গ মুহর্ত, শঙ্কর-সোনালির রসায়ন ছিল সেই ‘বরিশালের বর কলকাতার কনে’-এর দিনগুলির মতোই৷

জীবনের ওঠাপড়ার মাঝেই এগিয়েছে শঙ্কর-সোনালির দাম্পত্যের সাম্পান৷

কিছু দিন আগেই তাঁদের সুখী গৃহকোণে জ্বলে উঠেছিল দীপাবলির আলোকমালা৷

অসুস্থ, কৃশ শরীরেও পারিবারিক আনন্দ মুহূর্তের শরিক ছিলেন সোনালি৷ হাতে নিয়েছিলেন আতসবাজি৷

বহু দিন পর ফিরে এসেছিলেন ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে খড়ির জেঠিমা হয়ে৷ তার পর অসুস্থতার জেরে আবার বিরতি অভিনয়ে৷

চিকিৎসরা আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি আবার ফিরতে পারবেন অভিনয় জীবনে৷ গত ১৮ অগাস্ট শেষ বার শ্যুটিং ফ্লোরে গিয়েছিলেন সোনালি৷ তার পর আর ফিরতে পারেননি৷ বিদায় নিতে হল জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকেই৷

স্বামী শঙ্কর ও কন্যা সাজিকে নিয়ে সাজানো নিটোন সুখী গৃহকোণ পড়েই রইল৷ সোনালি চলে গেলেন বহু দূর৷