'চারদিন সময় দিলাম...' ব্রেকআপের আগে শত্রুঘ্ন সিনহাকে বড় শর্ত দিয়েছিলেন রীনা রায়! কী সেই শর্ত?

প্রবীণ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এবং রীনা রায়কে ১৯৭৬ সালে 'কালীচরণ' ছবিতে প্রথম একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়। এই ছবির মাধ্যমেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে যায় এবং বলিউডের ষ্টুডিও এলাকাতেই দুজনের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অল্প সময়েই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। বিচ অ্যাফেয়ারের খবর চাউর হতে শুরু করে। কিন্তু এই ছবির পরিচালক সুভাষ ঘাই একবার একটি সাক্ষাত্কারে একটি বড় তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।

'কালীচরণ' ছবির পরিচালক সুভাষ ঘাই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে শত্রুঘ্ন সিনহা এই ছবিতে রীনা রায়ের সঙ্গে কাজ করতে চাননি, তারপর কোনওরকমে তিনি রীনার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হন এবং তারপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। এরপর দুজনের প্রেম সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসে।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শত্রুঘ্ন সিনহা এবং রীনা রায় প্রায় ৭ বছর ধরে একে অপরকে ডেট করেছিলেন এবং দুজনেই একে অপরকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় যখন শত্রুঘ্ন সিনহা অভিনেত্রী পুনম সিনহাকে বিয়ে করেন।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত একটি খবর অনুসারে, রীনা যখন জানতে পারেন যে শত্রুঘ্ন সিনহা পুনম সিনহার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তাঁর প্রতিই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন, রীনা তাকে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তিনি পুনমের সঙ্গে কাজ করবেন না, কিন্তু ততক্ষণে শত্রুঘ্ন পুনম খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, 'হাতকরি' ছবির প্রযোজক পহলাজ নিহালানির কাছে শত্রুঘ্ন সিনহা এবং পুনম সিনহার সম্পর্কের বিষয়ে সবটাই জানতেন, কারণ তিনি অভিনেতার বিশেষ বন্ধু ছিলেন। তাই তিনি যখন রীনা রায় এবং শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে 'আন্ধি তুফান' ছবিটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন, তখন রীনা নাকি তাঁকে বলেন, "আপনার বন্ধুকে আগে তাঁর মন তৈরি করতে বলুন।" তিনি একইসঙ্গে বলেন, তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যদি শত্রুঘ্ন সিনহ তাঁকে বিয়ে না করেন, তবে 8 দিনের মধ্যেই যে কোনও কাউকে বিয়ে করে নেবেন রীনা।

এর পরপরই রীনা পহলাজকেও এমনও বলেছিলেন যে শত্রুঘ্ন সিনহা যদি তার উত্তর দেন তবেই তিনি তার 'আন্ধি তুফান' ছবিতে কাজ করবেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি এবং শত্রুঘ্ন সিনহা রীনার পরিবর্তে পুনম সিনহাকে বিয়ে করেছিলেন। ফলে শত্রুঘ্ন সিনহা পহলাজের 'আন্ধি তুফান' ছবিতে কাজ করলেও রীনা সে ছবিতে কাজ করেননি।