Bollywood Gossip: বাবা-মা যখন এক, তখন কী করে এত পার্থক্য হয় দুই ছেলের মধ্যে! সইফের কাছে নেই উত্তর
- Published by:Pooja Basu
- trending-desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Saif Ali Khan Sons: গত ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে ছোট ছেলে জেহ-র ঘরে প্রবেশ করেছিল আততায়ী। শুধু পরিচারকদের উপরেই নয়, সইফ হস্তক্ষেপ করলেও তাঁর উপরেও ছুরি নিয়ে একাধিক কোপ মারে অভিযুক্ত।
advertisement
1/8

গত মাসে বান্দ্রায় নিজের বাসভবনে ভয়ঙ্কর হামলার বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা সইফ আলি খান। গত ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে ছোট ছেলে জেহ-র ঘরে প্রবেশ করেছিল আততায়ী। শুধু পরিচারকদের উপরেই নয়, সইফ হস্তক্ষেপ করলেও তাঁর উপরেও ছুরি নিয়ে একাধিক কোপ মারে অভিযুক্ত।
advertisement
2/8
সেই ঘটনার উপর আলোকপাত করে হামলার প্রসঙ্গে নিজের মতামত ভাগ করে নিয়ে দিল্লি টাইমস-এর কাছে সইফ তাঁর পরিবারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ওই আততায়ীর বিষয়ে এখন কী অনুভব করছেন, সেটাও জানান তিনি। সইফের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে তৈমুরের মনে হয়েছিল হামলাকারীকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। আসলে ও ভেবেছিল যে, ওই আততায়ী ক্ষুধার্ত ছিল। যদিও সইফ স্বীকার করে নিয়েছেন যে, প্রথমে তাঁরও সহানুভূতি ছিল। কিন্তু ওই হামলা যে কতটা গুরুতর ছিল, সেটা বুঝতে পেরেই তাঁর মত বদলেছে।
advertisement
3/8
অভিনেতার কথায়, “তৈমুর বলেছিল যে, ওই লোকটাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। কারণ ওর মনে হয়েছিল যে, মানুষটা ক্ষুধার্ত ছিল। আমারও বিশ্বাস ছিল, আমি ওকে ক্ষমা করে দিতে পারতাম। আমার ওর জন্য খারাপ লেগেছে। কিন্তু যখনই ছুরি আর আমার শিরদাঁড়াটা এল, আর বুঝলাম যে, আমাকে খুন করার চেষ্টা হচ্ছে, তখনই আমার ওর জন্য খারাপ লাগাটা বন্ধ হয়ে গেল। আমি বুঝি কেন সে এটা ঘটিয়েছে।
advertisement
4/8
কিন্তু সীমাটা পার করেছে সে-ই। আমার উপর এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। আমি সমাজকে দোষ দিচ্ছি না। আমি কাউকে কিংবা মুম্বই পুলিশকে দোষ দিচ্ছি না। ওই জায়গাটা সঠিক ভাবে লক না করার জন্য আমি নিজেকেই দোষারোপ করছি। কিন্তু আমি ভাবতে পারিনি যে, এমনটা ঘটতে পারে। আসলে আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এটা যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারত।
advertisement
5/8
একেবারে ছুরিকাহত না হওয়া ছাড়াও এটাই সেরা সম্ভাব্য ফলাফল। আমার কাছে একটা বন্দুকও থাকত। সৌভাগ্যবশত আমার কাছে এখন সেটা নেই। কী হতে পারত, আমি সেটা জানি না।”
advertisement
6/8
হাসপাতালে যাওয়ার পথে তৈমুর সঙ্গী হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন সইফ। তাঁর কথায়, “ওর মাথা খুবই ঠান্ডা। একদম ঠিক ছিল ও। বলেছিল, আমি তোমার সঙ্গে আসছি। আর আমি ভেবেছি, যদি কিছু ঘটে... আর সেই সময় ওর মুখের দিকে চেয়েই আমার আরাম হচ্ছিল। আর আমি একা যেতেও চাইনি।
advertisement
7/8
আমার স্ত্রী-ও এটা ভেবেই ওকে পাঠিয়েছিল যে, ও আমার জন্য করতে পারবে। হয়তো এটা ছিল না... এই মুহূর্তে এটি করা সঠিক জিনিস ছিল। আমার এর জন্য ভাল লেগেছিল। আর আমি এটাও ভেবেছিলাম যে, যদি ঈশ্বর না করেন, এমন কিছু ঘটে, আমি চাই, সে ওখানে থাকুক। এবং ও নিজেও ওখানে থাকতে চেয়েছিল।”
advertisement
8/8
সইফ আরও বলেন যে, “বাচ্চাগুলো ঠিক আছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। জেহ আমায় একটি প্লাস্টিকের তরোয়াল দিয়ে বলেছে যে, এরপর থেকে বিছানার পাশে এটা রেখে দিও, যদি চোর আসে। জেহ বলেছে যে, গীতা আব্বাকে বাঁচিয়েছে আর আব্বা আমায়। তৈমুর নিরাপত্তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। সারাও বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল, এমনকী স্বাভাবিকের তুলনায় ইব্রাহিমও আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। ইব্রাহিমও আমার সঙ্গে ছিল, আমার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছে। পরিবারের জন্য একসঙ্গে আসা সত্যিই যেন এক ধরনের চমৎকার হয়েছে (হাসি), তবে স্পষ্টতই, সবার জন্যই এটা কিছুটা ধাক্কা।”