Guess the Celebrity: 'আমি তখন গর্ভবতী, আর উনি অন্য মহিলার সঙ্গে...!', বউকে রেখে পরকীয়া-শারীরিক সম্পর্ক! বলি হিরোর নোংরা কেচ্ছা ফাঁস করলেন প্রথম স্ত্রী, শুনলে ঘুম উড়বে
- Published by:Riya Das
- news18 bangla
Last Updated:
Guess the Celebrity: বলিডডের বিখ্যাত অভিনেতা ওম পুরীর স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের প্রায় ২০ বছর পর এমন কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন, যা শুনলে রাতের ঘুম উড়বে।
advertisement
1/9

যেকোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ হল এমন একটি পরিস্থিতি যা, যতই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিচালনা করা হোক না কেন, হৃদয়ে ফাটল ধরে। তবে অনেকেরই ধারণা হল যে চলচ্চিত্র তারকাদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদ খুবই সহজ কারণ তাদের সাধারণ মানুষের মতো সামাজিক কলঙ্কের মুখোমুখি হতে হয় না।
advertisement
2/9
কিন্তু বলিডডের বিখ্যাত অভিনেতা ওম পুরীর স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের প্রায় ২০ বছর পর এমন কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন, যা শুনলে রাতের ঘুম উড়বে। সীমা তখন গর্ভবতী ছিল, বুঝতেও পারছিল না তার সঙ্গে কী হচ্ছে। ওম পুরীর সন্তান তখন সীমার গর্ভে৷ তখন তাঁর স্বামী ওম পুরি তাকে বলেছিলেন, 'আমার জীবনে এখন অন্য কেউ আছে।'
advertisement
3/9
লেখিকা-পরিচালক সীমা কাপুর সম্প্রতি তাঁর আত্মজীবনী 'ইউন হি গুজারি হ্যায় আব তক'-এ নিজের জীবনের গোপন তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই বইটিতে, সীমা কাপুর তার জীবনের সংগ্রাম ও অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ওম পুরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং তাঁর সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলি লিখেছেন।
advertisement
4/9
এই বইতেই সীমা ওম পুরীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অনেক জটিলতা নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেছেন। ওম পুরি এবং সীমার প্রথম দেখা হয় ১৯৭৯ সালে। সীমা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বোম্বে (বর্তমানে মুম্বই) চলে এসেছিলেন। সেই সময়, ওম পুরি পৃথ্বী থিয়েটারে 'বিছু' নাটকের মহড়া দিচ্ছিলেন। আমার বড় ভাই রঞ্জিত কাপুর নাটকটি পরিচালনা করছিলেন। সেই সময় পুরী সাহেব সংগ্রাম করছিলেন, আর আমার বড় ভাই একজন শীর্ষ নাট্য পরিচালক ছিলেন। সে তখন আমাকে পছন্দ করত, কিন্তু আমার দিক থেকে কিছুই ছিল না।
advertisement
5/9
সীমার লেখা বই থেকে জানা যায়, ওম পুরি এবং সীমা কাপুর ১৯৯০ সালে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু বিয়ের দেড় বছর পর, তিনি আমার থেকে আলাদা হতে চেয়েছিলেন। তার জীবনে আরেকজন নারী এসেছিলেন। ওম পুরী তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি তখন গর্ভবতী ছিলাম। সে আমাকে ডিভোর্সের কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয়। সেই চাপের কারণে, মাত্র ৫-৬ মাসের গর্ভাবস্থায় আমার সন্তানকে হারিয়েছিলাম। আমি আমার দুঃখ এতদিন কারোর সাথে ভাগ করে নিইনি। এমনকি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকেও না।
advertisement
6/9
সীমা আরও জানান, আমার বাবা-মা এমনিতেই দুঃখী ছিলেন, সে তাঁর দুঃখ ভাগ করে তাদের আর দুঃখিত করতে চাননি। পুরী সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনওই ভেঙে যায়নি। আমি সবসময় তাঁর সঙ্গে ছিলাম। আমি গর্ভবতী ছিলাম এবং সে অন্য মহিলার সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল, এবং এটা নিয়ে আমার কোনও ধারণা ছিল না।
advertisement
7/9
সীমা আরও বলেন, 'আমার দুর্বলতা হল আমি কখনওই লড়াই করতে পারিনি। আমি তাকে জিজ্ঞাসাও করতে পারিনি যে সে কী করে। সীমা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সে আমার সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নন্দিতার সঙ্গে ফোনে কথা বলত। আমি এটা এড়িয়ে চলতাম। তার কথা শুনে আমি দুঃখিত হতে চাইনি, কোনওভাবেই প্রতিক্রিয়া জানাতে চাইনি এবং ঝগড়া করতে চাইনি।
advertisement
8/9
সীমা জানান, ওম পুরী চেয়েছিলেন যে ঝগড়া হোক এবং সম্পর্ক ভেঙে যাক। সীমা বলেন, '১১ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর আমি বিয়ে করিনি কারণ আমি চাইনি যে সম্পর্কটি দেড় বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাক।' আমি বুঝতে পারছি না যে ১১ বছর ধরে সম্পর্কে থাকার পর, হঠাৎ কী এমন হল যে বিয়ের দেড় বছর পরই সম্পর্ক ভেঙে গেল।
advertisement
9/9
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার ওম পুরীর রঙিন জীবন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি৷ ছবির শ্যুটিং চলাকালীনও ঘনিষ্ঠতার কারণে কম চর্চা হয়নি অভিনেতাকে কেন্দ্র করে৷