ছবি মুখ থুবড়ে পড়তেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা মাধুরী দীক্ষিতের নায়কের ! এরপর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রীতিমতো জুয়া খেলে ফের ঘুরিয়ে দেন ভাগ্যের চাকা
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Bollywood Star Net worth: একের পর এক হিট ছবি ভক্তদের উপহার হিসেবে দিয়ে গিয়েছেন। আর ভক্তদের মনও জয় করে নিয়েছেন অচিরেই।
advertisement
1/7

আশির দশকে স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ের বস্তি এলাকা থেকে বি-টাউনে পদার্পণ করেছিলেন এক তরুণ। আর রাতারাতিই খ্যাতি লাভ করে নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের নামকরা তারকা। আর স্বাভাবিক ভাবেই সেই খ্যাতির সঙ্গে সঙ্গে জীবনে এসেছিল অর্থের প্রাচুর্যও। ব্যস! আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট ছবি ভক্তদের উপহার হিসেবে দিয়ে গিয়েছেন। আর ভক্তদের মনও জয় করে নিয়েছেন অচিরেই। কিন্তু নব্বইয়ের দশকে শাহরুখ খান এবং সলমন খানের মতো নবাগত অভিনেতাদের আগমন ঘটে বলিউডে। আর শাহরুখ-সলমন এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন যে, এক সময়ের বিখ্যাত অভিনেতা তখন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে বাধ্য হন। সেই কারণে চিত্র প্রযোজনায় হাত পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে একটি ছবি ফ্লপ হওয়ার পরেই নিজেকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন।
advertisement
2/7
শুধু তা-ই নয়, ‘কর্মা’ এবং ‘ত্রিদেব’-এর মতো হিট ছবি দিয়েছিলেন ওই অভিনেতা। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ‘রাম লক্ষ্মণ’ এবং ‘সাজন’-এর মতো ছবিও করেছেন। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি বলিউডের ধনী তারকাদের তালিকায় একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের প্রযোজনা সংস্থার ছবি ‘বুম’ ফ্লপ করার পর দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে ধনী তারকাদের দলেই নাম রয়েছে তাঁর। তবে শুধু অভিনয়ের কারণেই এটা হয়নি। আসলে বুদ্ধি খাটিয়ে বিনিয়োগের মাধ্যমেই আজকের এই জায়গা অর্জন করেছেন সেই অভিনেতা।
advertisement
3/7
এখানে কথা হচ্ছে, জ্যাকি শ্রফের। আজও তিনি ছবির দুনিয়ায় সক্রিয়। হামেশাই তাঁকে পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায়। নিজের ছবি ‘বুম’-এর ব্যর্থতার পরে দারিদ্র নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তবে সেই খারাপ সময় কিন্তু নিজের বুদ্ধির জোরেই কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। আসলে ১৯৯৪ সালে একটি নতুন আর্থিক নীতির কথা ঘোষণা করেছিল ভারত সরকার। যার জেরে ভারতীয় টেলিভিশনের বাজারে প্রবেশ করতে পেরেছিল বিদেশি সংস্থাগুলি। আর সরকারের এই নীতিরই সুবিধা নিয়েছিলেন জ্যাকি এবং তাঁর স্ত্রী আয়েষা। আর তাঁদের কারণেই ভারতে কাজ শুরু করতে পেরেছিল Sony Entertainment Television। Zero1 Hustle-এর কাছে একটি সাক্ষাৎকারে জ্যাকি-পত্নী বলেছিলেন যে, তিনি নব্বইয়ের দশকে Sony Entertainment Television-এ বিনিয়োগ করেছিলেন।
advertisement
4/7
স্মৃতিচারণ করে আয়েষা বলেছিলেন যে, “কর্পোরেট পরিকাঠামোয় ওটাই ছিল আমার প্রথম কাজ। আর সেটাও Sony-র সঙ্গে। আমাদের ৭ জনের একটি দল ছিল। আমার স্বামী জ্যাকির ভাবমূর্তির কারণেই আমি খ্যাতি পেয়েছিলেন। আমাদের দলে ছিলেন একজন ব্যাঙ্কার, একজন টেলিভিশনের মানুষ এবং একজন কম্পিউটারে দক্ষ সদস্য। আসলে এক-এক জনের নিজস্ব বিশেষত্ব এবং দক্ষতা ছিল।” যদিও প্রথম দিকে জ্যাকি শ্রফ এবং তাঁর দলকে বোর্ডে নিতে চায়নি Sony Entertainment Television। কারণ তারা বড়সড় লগ্নি চেয়েছিল। কিন্তু Sony-র লিডারের জন্য একটি বড়সড় পার্টির ব্যবস্থা করেছিলেন জ্যাকি। আর এভাবেই বিষয়টিকে নিজের পক্ষে এনেছিলেন অভিনেতা। আর সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের নামীদামি ব্যক্তিত্বরা।
advertisement
5/7
জ্যাকি-পত্নী আরও বলে চলেন যে, “ওই পার্টি শেষ হয়েছিল ভোর ৬টা নাগাদ। সুদূর লস অ্যাঞ্জেলস থেকে আসা বস বলেছিলেন যে, এই দলটির সঙ্গে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করছি। এরপরের দিনই আমাদের চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে যায়। আর এই চুক্তি থেকে প্রচুর মুনাফা করেছিলেন জ্যাকি।”
advertisement
6/7
এরপর ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেতার স্ত্রী আয়েষা শ্রফকে প্রশ্ন করা হয় যে, কতটা মুনাফা তাঁরা করতে পেরেছিলেন সেই চুক্তিটি থেকে? জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, “আমি যদি ওই চুক্তিটিকে একটি কনসেপ্টের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করি, তাহলে অঙ্কটা অনেকটা এই রকম দাঁড়াবে যে, সেই সময় ১ লক্ষ টাকার বিনিয়োগে রিটার্ন এসেছিল ১০০ কোটি টাকা। আর তাই জ্যাকি শ্রফের ছবির পাশাপাশি এই রিটার্নের অঙ্ক দিয়েই একটা ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পেরেছিল শ্রফ পরিবার।”
advertisement
7/7
হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে জ্যাকি শ্রফের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা। স্পোর্টস লিগ এবং হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি তিনি আরও নানা জায়গায় বিনিয়োগ করে রেখেছেন অভিনেতা। সাম্প্রতিক অতীতে তাঁকে দেখা গিয়েছে ‘হাউজফুল ৫’ ছবিতে। এর পাশাপাশি ‘গুড ব্যাড আগলি’ এবং ‘তনভি দ্য গ্রেট’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর জ্যাকি শ্রফকে দেখা যাবে ‘তু মেরি ম্যায় তেরা ম্যায় তেরা তু মেরি’ ছবিতে। আর আগামী বছর মুক্তি পেতে চলেছে অভিনেতার আসন্ন এই ছবিটি।