India's Highest Paid Actress: ভয়ঙ্কর মৃ*ত্যু...! বিয়ের আগেই গর্ভবতী! 'ইনি'ই ছিলেন ভারতের সবচেয়ে 'দামি' নায়িকা, জীবনটাই শেষ অকালে...! চিনতে পারলেন?

বলিউডের অন্দরের কেচ্ছা নিয়ে সর্বদাই সরগরম টিনসেল টাউন৷ বলিউড সিনেমায় লিঙ্গ বেতন বৈষম্যের বিষয়টি একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। এটা আজ থেকে ঘটছে না, বরং বহুদিন আগে থেকেই ঘটে চলেছে। কিন্তু এখন সময় অনেক বদলেছে৷ অভিনেত্রীরা খোলাখুলিভাবে এই বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেন।

কিন্তু নব্বইয়ের দশকে, একজন নায়িকা ছিলেন যিনি এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রমাণিত হন। তিনি এমনকি সুপারস্টারদেরও পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন। তিনি হলেন বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রী শ্রীদেবী৷ যাকে ভারতের প্রথম প্যান-ইন্ডিয়া তারকাদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে ছবিতে নেওয়ার জন্য রীতিমতো একটা প্রতিযোগিতা চলত। এমনকী তারিখ নিয়ে অনেক ঝামেলা হত। কারণ তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত তারকাদের মধ্যে একজন।

শ্রীদেবীই প্রথম মহিলা অভিনেত্রী হিসেবে একটি ছবির জন্য ১ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেওয়ার রেকর্ড করেছেন। ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'রূপ কি রানি চোরো কা রাজা' ছবির জন্য তিনি এই পরিমাণ অর্থ আয় করেছিলেন। যা ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভারতীয় ছবিগুলির মধ্যে একটি।

শ্রীদেবীর এই পারিশ্রমিক কেবল অভিনেত্রীদের জন্যই নয়, অভিনেতাদের জন্যও বোঝা ছিল। সেই সময় কেবল চিরঞ্জীবীই একটি ছবির জন্য তার চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিচ্ছিলেন। তারপর শীঘ্রই শ্রীদেবী তার পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেন। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে, যখন কমল হাসান এবং অমিতাভ বচ্চন ১ কোটি টাকার ক্লাবে যোগ দেন, তখন শ্রীদেবী তাদের চেয়ে অনেক বেশি পারিশ্রমিক নিচ্ছিলেন। এই রেকর্ডটি করা তখন একটি বড় ব্যাপার ছিল।

বলিউডের তিন খানই ১৯৯২-৯৭ সালের মধ্যে বলিউডে প্রবেশ করেছিলেন। শাহরুখ, সলমন এবং আমির খান, সানি দেওল এবং সঞ্জয় দত্তের মতো তারকারা এসে ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেন। তবুও,তারা সেই সময় ৫০-৭৫ লক্ষ টাকার মধ্যে চার্জ করছিল। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে, যখন শ্রীদেবী চলচ্চিত্র থেকে অবসর নিয়েছিলেন। শ্রীদেবী যখন সিনেমা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন, তখনই তিন খানের আয় ১ কোটি টাকার গণ্ডি অতিক্রম করে। অর্থাৎ শ্রীদেবী তাদেরর থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন। শ্রীদেবী যখন বিরতি নিয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর।

শ্রীদেবী যেমন সুন্দরী ছিলেন, তেমনি প্রতিভাও ছিল বিশেষ। তিনি কেবল বলিউডেই নন,তামিল ও তেলেগু ছবিতেও একজন শীর্ষ তারকা ছিলেন। নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীদেবী তার তারকাখ্যাতির শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু ১৯৯৬ সালে যখন কেরিয়ার তুঙ্গে থাকাকালীন চলচ্চিত্র থেকে বিরতির ঘোষণা করেন, তখন সকলেই হতবাক হয়ে যান।

৩৩ বছর বয়সে কেন অবসর নিয়েছিলেন শ্রীদেবী? জানা যায়, সেসময় শ্রীদেবী গর্ভবতী ছিলেন। জাহ্নবী কাপুর অভিনেত্রীর গর্ভে। এমন পরিস্থিতিতে, তিনি তার কেরিয়ার থেকে বিরতি নিয়ে পরিবারের জন্য সময় বের করতে চেয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'জুদাই' ছিল তার শেষ ছবি। তিনি যখন অবসর গ্রহণ করেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর। তারপর তিনি বহু বছর ধরে তার মেয়ে খুশি এবং জাহ্নবীকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।

২০০৪-০৫ সালে, শ্রীদেবী টিভি শো 'মালিনী আইয়ার' দিয়ে কামব্যাক করেন। কিন্তু ২০১২ সালে 'ইংলিশ ভিংলিশ' ছবির মাধ্যমে তিনি বড় পর্দায় মুখ্য ভূমিকায় ফের আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তাকে 'পুলি' (২০১৫) এবং 'মম' (২০১৭) ছবিতেও কাজ করতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য,২০১৮ সালে ৫৪ বছর বয়সে মারা যান বলিউডের চাঁদনি।