Indian Idol 15 Manasi Ghosh: ইন্ডিয়ান আইডলে শ্রেয়ার 'বাজি' বাঙালি মানসী, কোথায় বাড়ি-কোথায় পড়াশোনা? বিজয় কি সময়ের অপেক্ষা?

এবারের ইন্ডিয়ান আইডল ১৫-তে বাঙালির জয়জয়কার। সেরা ৬ ফাইনাল প্রতিযোগীর মধ্যে তিনজনই পশ্চিমবঙ্গের। গানের রিয়ালিটি শো-এর ফাইনাল ২৯-৩০ মার্চের সপ্তাহে। তবে কি এবার বাঙালির মাথায় উঠবে সেরার শিরোপা?

ইন্ডিয়ান আইডলের ফাইনালে উঠেছেন ৬ জন। তাঁদের মধ্য়ে রয়েছে তিন বাঙালি, কলকাতার মানসী ঘোষ, খড়গপুরের শুভজিৎ চক্রবর্তী ও কলকাতার ছেলে প্রিয়াংশু দত্ত।

ইন্ডিয়ান আইডলের বিচারকের আসনে থাকা শ্রেয়া ঘোষালের বাজি অবশ্য় মানসী ঘোষ। ২৪ বছরের মানসী ইতিমধ্য়েই নজর কেড়েছে তাঁর পারফরম্যান্সে।

ইন্ডিয়ান আইডল দিয়ে দর্শক মনে ঝড় তুলেছেন বাংলার মেয়ে মানসী ঘোষ। তিন বিচারক রীতিমতো মুগ্ধ তাঁর গানে। এগিয়ে এসেছে গ্র্যান্ড ফিনালে। আর দর্শকদের বিচারে তিনিই হবেন এবারের বিজেতা! কলকাতার কোথায় বাড়ি মানসীর? কোন স্কুলে করেছেন লেখাপড়া?

অবশ্য ইন্ডিয়ান আইডল প্রথম নয়, এর আগে মানসী অংশ নিয়েছিলেন সুপার সিঙ্গার সিজন ৩-এ। আর সেবারে ফাইনালে পৌঁছলেও জিততে পারেননি ট্রফি। বিজেতার মুকুট ওঠে সুচিস্মিতা চক্রবর্তীর মাথায়। দ্বিতীয় স্থানে আসেন মানসী।

দমদমের পাইকপাড়ার বাসিন্দা মানসী। পড়াশোনা করেন ক্রাইস্টচার্চ গার্লস স্কুলে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ২০১৮ সালে। এরপর ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক। বাড়িতে আদর করে ডাকা হয় মানু।

সুপারসিঙ্গারে থাকাকালীনই কলেজের ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দিয়েছিলেন মানসী। একসঙ্গে করেছিলেন গান আর পড়াশোনা। তবে সেই সময়, করোনাকাল হওয়ায়, পরীক্ষা দিতে হয়েছিল অনলাইনে। এমনকী, সেই রিয়ালিটি শো-র ফাইনালের পর, ইংরেজি নিয়ে মাস্টার্স করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন মানসী।

শুনলে হয়তো অবাক হবেন, গানের পাশাপাশি মানসী ছোটবেলা নাচও শিখেছিলেন। তবে পরবর্তীতে, গানের প্রতিই মন দেন।

এই নিয়ে তাঁর যুক্তি, ‘আমার মনে হয়েছে, আমি গানটাকে একটু বেশিই ভালবেসে ফেলেছি। তাই গানটাই কন্টিনিউ করেছি। তারপর মায়ের ধারণা ছিল, আমি তো একটু মোটা, বেশিদিন নাচটা করতে পারব না। এভাবে গানটাতেই ফোকাস করি। তারপর আর ভাবিনি। গানই গেয়ে গিয়েছি।’

ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান আইডলের সেরা ৬-এ জায়গা করে নিয়েছেন মানসী।

বাংলার এই গুণী মেয়ে ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে থাকতে থাকতেই প্লেব্যাক করে ফেলেছেন। ললিত পন্ডিতের আসন্ন ছবিটি মান্নু কেয়া কারোগেতে প্লেব্যাক করেছেন। শোনা যাচ্ছে, শানের সঙ্গে যুগলবন্দি করেছেন মানসী।

এখন দেখার হাজার হাজার ভক্তের প্রার্থনায় কতটা ফল হয়! মানসী ঘোষের হাত ধরে আদৌ ট্রফি আসে নাকি বাংলায়। মানসীর পরেও ট্রফির দাবিদার রয়েছে আরও দুই বাঙালি, শুভজিৎ ও প্রিয়াংশু।