১২ সপ্তাহ ধরে হলে কোনও দর্শক নেই, নায়কের এই কাজেই ছবি সুপারহিট হয়, কোন সিনেমা জানেন?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending-desk
Last Updated:
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ঘটনার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
advertisement
1/6

ভারতে প্রতি বছর হাজার খানেক সিনেমা রিলিজ করে। এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি ছবিই হিট হয়। বাকিগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রযোজকের পুরো টাকাই জলে যায়। কিন্তু ‘ফ্লপ’ সিনেমা কী হিট হতে পারে?
advertisement
2/6
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ঘটনার কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ৫৭ বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। কিন্তু শুরুতেই বেহাল দশা হয়। সিনেমা হল ফাঁকা। হল মালিকদের মাছি তাড়ানোর মতো অবস্থা। এই অবস্থা ছবির নায়ক এমন একটা কাজ করে বসেন, যাতে সেই সিনেমা শুধু হিট নয়, সুপারহিট হয়ে যায়।
advertisement
3/6
শুধু একটা কাজ। আর তাতেই সিনেমা হলের সামনে লম্বা লাইন। প্রযোজকের ঘরেও পুরো টাকা উঠে আসে। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই ছবি সেই নায়কের কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। ছবির নাম ‘ফর্জ’। নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিতেন্দ্র। এছাড়া ছিলেন ববিতা কাপুর, অরুনা ইরানি, কাঞ্চন সজ্জন, মনোহর দীপকের মতো নামী অভিনেতারা। ঢাকঢোল পিটিয়েই মুক্তি পেয়েছিল ‘ফর্জ’। কিন্তু প্রাথমিকভাবে দর্শকের মন জয় করতে পারেনি। (Photo: Collected)
advertisement
4/6
বক্স অফিস কালেকশনও হতাশাজনক। ছবিটিকে ‘ফ্লপ’ ঘোষণা করার উপক্রম হয়েছিল। ঠিক তখনও ছবিটিকে বাঁচানোর জবরদস্ত আইডিয়া দেন জিতেন্দ্র। শুধু আইডিয়া দিয়েই থামেননি তিনি। কাজটা নিজেই করেন।
advertisement
5/6
IMDb-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, টানা ১২ সপ্তাহ খুব খারাপ পারফরম্যান্স ছিল। প্রায় ৩ মাস হলে লোক আসেনি। ১২ তম সপ্তাহে জিতেন্দ্র নিজের টাকায় সব টিকিট কেনে নেন। সিনেমা হলেও মালিকরা যেন স্ক্রিন থেকে ছবিটা সরিয়ে না দেন এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এতে কী হবে?জিতেন্দ্র বিশ্বাস করতেন, কোনও সিনেমা যদি ১৫ সপ্তাহ হলে চলে, তাহলে সেটা হিট হবেই। এই বিশ্বাস থেকেই সব টিকিট কিনে নিয়েছিলেন তিনি। বলা যায়, একরকম জুয়াই খেলেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা কাজে লেগে যায়।
advertisement
6/6
কিছুদিনের মধ্যেই ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ব্লকবাস্টার হয়। ১৯৬৭ সালে রেকর্ড আয় করা তৃতীয় ছবি ছিল ফর্জ।এই ছবির সাফল্য জিতেন্দ্রর কেরিয়ারেও অক্সিজেন যোগায়। তাঁর অন্য রকমের নাচের স্টাইলের জন্য ‘জাম্পিং জ্যাক’ বলে ডাকা হতে থাকে তাঁকে। মজার বিষয় হল, এই ছবিতে নায়কের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথমে শশী কাপুর এবং তারপর মনোজ কুমারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দুজনেই ছবিটি ফিরিয়ে দেন।