Bollywood Gossip: বিয়ে না করেই প্রেগন্যান্ট, ৩০-এ কুমারী মা, ক্রিকেটারের প্রেমে কেরিয়ার বরবাদ

মুম্বই: বলিউডের সাহসী অভিনেত্রীদের নাম এলে তাঁর নাম আসবেই৷ না শুধু পর্দায় নয় নিজের জীবনযাপনেও  নীনা গুপ্তা খোলামেলা, সাহসী জীবনযাপন করেছেন৷ ৬৪ বছরের নীনা আজও এমন সব পোশাক পরেন যা দেখে সকলেরই আজও হৃদয়ে সামাণ্য ঝটকা লাগে৷ নীনা গুপ্তা তাঁর কন্যা মাসাবা গুপ্তাকে এমন এক সময়ে জন্ম দিয়েছিলেন এবং লালন-পালন করেছিলেন যখন বিবাহের বহির্ভূত সম্পর্কে মা হওয়ার জন্য সারা দুনিয়া অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছিল৷ এমন সময়ে এই ধরণের মহিলাদের সমাজ আলাদা করে রেখে দিয়েছিল। (Photo Courtesy- @FilmHistoryPic)

কিন্তু, সমাজের চারজনের কথা না ভেবে, তিনি নিজের এবং তাঁর  ভবিষ্যত সন্তানের কথা ভেবেছিলেন এবং ১৯৮৯ সালে মাসাবার জন্ম দেন এবং তাকে সিঙ্গল পেরেন্ট হিসাবে বড় করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডের সঙ্গে নীনা গুপ্তার সম্পর্ক ছিল ৷ যা কোনওদিন গোপন করেননি নীনা ও ভিভ৷ কিন্তু বিয়ের সম্পর্কেও কোনওদিন বাঁধা পড়েননি৷

কিন্তু, ভিভিয়ান আগেই বিবাহিত ছিলেন, তাই তিনি নীনাকে বিয়ে করা সম্ভব ছিল না৷  কিন্তু, ভিভিয়ান রিচার্ড বিয়ে না করলেও, নীনা  তিনি অ্যাবরশান বা গর্ভপাত করার কথা না ভেবে সিঙ্গল মাদার হওয়ার পথ বেছে নেন৷

নীনা গুপ্তা  একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, যখন তিনি জানতে পারলেন যে তিনি ভিভিয়ানের সন্তানের মা হতে চলেছেন, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই খবরটি ক্রিকেটারকে জানিয়েছিলেন। তারপর ভিভিয়ান নীনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তাঁর প্রেগন্যান্সি জারি রাখতে। অভিনেত্রীও তাঁর  এই  ‘লাভ চাইল্ড’কে চেয়েছিলেন, তাই তিনি তাঁর গর্ভাবস্থা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

কিন্তু, তাঁর পরিবার তাঁর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিল। যদিও পরে তাঁর বাবা তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। এর পরে নীনা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। গর্ভাবস্থার কঠিন দিনগুলিতে, নীনার বাবাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন করেছিলেন।

হিউম্যানস অফ বম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীনা গুপ্তা বলেছিলেন- '‘আমি এটা জেনে খুশিতে ডগমগ তো হইনি, কিন্তু আমি খুশি যে আমি ভিভিয়ানকে ভালোবাসি। আমি জানতে পেরে ভিভিয়ানকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম সে এই সন্তান চায় কি না? আমি না চাইলে আমার এই সন্তান হবে না। ভিভিয়ান বলল, রাখলে ভালো লাগবে।’’

'সবাই আমাকে বলেছে না, তুমি একা এই সব করতে পারবে না। যেহেতু ভিভিয়ান ইতিমধ্যে বিবাহিত ছিল, আমি তাঁকে বিয়ে করতে পারিনি বা অ্যান্টিগায় থাকতে পারিনি। কিন্তু, যৌবনে তুমি অন্ধ। প্রেমে পড়লে কারো কথা শোনে না।'’