Bollywood Gossip: গায়িকা দিদি-র সেক্রেটারির বয়স ৩১, তিনি তখন ১৬, ছাড়লেন বাড়ি-পরিবার, তারপর ৩ সন্তান সহ ফেলে যান তারকা গায়িকার প্রেমিক স্বামী

হিন্দি সিনেমা নানা বিভাগে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে দেখা যায়৷ কখনও সেটা হয় বাবা-ছেলে, কখনও সেটা মা-মেয়ে আবার কখনও সেটা দুই বোনও হতে পারে৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একই পরিবারের দুই সদস্য যখন একসঙ্গে কাজ করে সেটা অভিনয় কিম্বা পরিচালনার ক্ষেত্র হয়৷ বলিউড সঙ্গীতের ক্ষেত্রে একই পরিবার থেকে দুই জনেই তারকা খুব বেশি একটা নেই৷ এখানে জেনে নেব দুই বোনের এক বোন কীভাবে দিদির সেক্রেটারির প্রেমে পড়ে ১৬ বছর বয়সেই বাড়ি ঘর সব ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন৷ Photo- Representative

বলিউড সঙ্গীত জগতের বহুমুখী এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ গায়িকা আশা ভোঁসলের কথা বলা হচ্ছে৷  তিনি  প্রায় আট দশক ধরে সিনেমার প্লে ব্যাক পাশাপাশি ব্যক্তিগত অ্যালবামের জন্য গেয়েছেন, তিনি ৯১ বছর হলেন৷ 

সঙ্গীতে অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ দিয়েছে। তিনি ২০ টিরও বেশি ভারতীয় এবং বিদেশি ভাষায় ১২,০০০ টিরও বেশি গান রেকর্ড করেছেন। Photo- File

তাঁর কাজের জীবন যেখানে এত সুউচ্চ সম্মানের জায়গায় সেখানেই ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার তিনি ভুল পথে চলে গিয়েছেন৷ প্রথম ভুল তাঁর ১৬ বছর বয়সে৷ যেখানে তিনি মাত্র ১৬ বছর বয়সে নিজের দিদি লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারির প্রেমে পড়ে ঘর-বাড়ি সব ছেড়েছিলেন৷ Photo- File

 তিনি ভুল ব্যক্তির প্রেমে পড়েছিলেন যে তাঁর জীবনে এমন খারাপ প্রভাব ফেলেছিল যা কেউ আশা করেনি। তিনি একটি সঙ্গীত পরিবার এবং পরিবেশে বেড়ে ওঠেন। তাঁর মাত্র ১৬ বছর বয়সে ৩১ বছরের গণপত ভোঁসলের প্রেমে পড়েন৷ Photo- File

এই প্রেমে এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যা কেউ আশা করেনি। বলিউডশাদি ডটকমের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি লতা মঙ্গেশকরের সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ Photo- File

আশা ভোঁসলে তার ৩১ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে থাকবেন বলে নিজের পরিবার ছেড়ে চলে যান এমনকি নিজের দিদি ও বোনদের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে৷ Photo- File

তাঁদের ছেলে হেমন্তের জন্মের পর, তাকে মঙ্গেশকর পরিবার মেনে নিয়েছিল কিন্তু তাঁর স্বামী তা চাননি। এর ফলে স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে , গণপতরাও ১৯৬০ সালে আশা ভোঁসলে এবং তাঁর তিন সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি আবার তাঁর কর্মজীবনে মনোনিবেশ করেন এবং একের পর এক হিট ছবি করেন। Photo- File

আশা ভোঁসলে পরদে মে রেহনে দো, চুরা লিয়া হ্যায় এবং উড়ে জব জব জুলফেঁ তেরি-র মতো জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। তিনি জনপ্রিয় গায়িকা লতা মঙ্গেশকরের ছোট বোন৷ তবে তিনি যখন  প্লেব্যাক সিঙ্গার হন তখন এটি শুধু একটি স্বপ্ন ছিল না বরং প্রয়োজন ছিল৷  এখন, তিনি সর্বাধিক সংখ্যক গান গেয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের মালকিন৷ Photo- File

আশা ভোঁসলে তখন আর ডি বর্মনের সান্নিধ্য পান, যিনি তাঁর থেকে ৬ বছরের ছোট ছিলেন। তাঁর প্রথম দুটি বিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল। আর ডি বর্মন তাঁকে প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু গায়িকা প্রথমে সেই প্রস্তাবে না বলে দিয়েছিলেন৷ 

আর ডি বর্মন তারপরেও তাঁকে ছেড়ে যাননি এবং  আশা ভোঁসলে ৮০- র দশকে তাঁকে বিয়ে করেন। দু'জনে বেশিদিন একসঙ্গে থাকতে পারেননি। আর ডি বর্মণ মারা যান  ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি৷ Photo- File

আশা ভোঁসলে রঙ্গিলা সিনেমায় গান গেয়ে এক মেগা কামব্যাক করেন৷ ৭৯ বছর বয়সে, তিনি ২০১৩ সালে মাই চলচ্চিত্রে একজন নেতৃস্থানীয় মহিলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি রান্না করতেও ভালোবাসেন। তিনি তাঁর এই শখকেও ব্যবসায় নিয়ে গেছেন৷ তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় শহরে রেস্তোঁরা চালান৷ Photo- File