Moonmoon Sen: মা হওয়ার পর ছবিতে পা, মুনমুন সেনের 'গোপন ট্যালেন্টের' কথা জানা রয়েছে?

এমন একজন অভিনেত্রী যিনি অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মন কেড়েছেন, কিন্তু তাঁর আরও একটি বড় গুণ রয়েছেন, যা হয়ত অনেকেই জানেন না৷ তিনি একজন স্টার কিডও বটে!

মা হওয়ার পর ছবিতে পা, মুনমুন সেনের 'গোপন শিল্পকলার' কথা জানা রয়েছে? সুচিত্রা কন্যার 'এই' ট্যালেন্ট লা জবাব৷ অনেকেই বলেন যে মুনমুন তাঁর সময়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে৷ তাঁর চিন্তাভাবনা অনেক আধুনিক৷ এবং সুচিত্রা কন্যা বহু গুণের আধার৷ 

২৮ মার্চ ১৯৫৪ সালে সুচিত্রা সেন এবং দিবানাথ সেনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মা হওয়ার পর এই অভিনেত্রী বলিউডে অভিষেক করেছিলেন। প্রথম ছবিতেই সাহসী দৃশ্য দিয়ে তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।

তিনি কেবল একজন দক্ষ অভিনেত্রীই নন, একজন চমৎকার চিত্রশিল্পীও, যা তিনি যামিনী রায়ের কাছ থেকে আঁকা বা পেন্টিং শিখেছিলেন।

মুনমুন সেনের জন্ম মহানায়িকা অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন এবং দিবানাথ সেনের ঘরে। তার বাবা কলকাতার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। মুনমুনের শৈশব যতটা রাজকীয় ছিল, বিয়ের পর তা আরও রাজকীয় হয়ে ওঠে। কারণ তাঁর বিয়ে হয় রাজ পরিবারের ছেলের সঙ্গে৷

মুনমুন সেন অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন। তবে খুব কম লোকই জানেন যে মুনমুন একজন দুর্দান্ত চিত্রশিল্পীও এবং শৈশবে তিনি দেশের অন্যতম সেরা শিল্পী যামিনী রায়ের কাছ থেকে চিত্রকলা শিখেছিলেন।

মুনমুন ছবি আঁকা এবং প্রাচীন জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে ভালবাসেন৷ পর্দায় যেমন তিনি সাবলীল তেমনই ক্যানভাসে রং-তুলির খেলায় তিনি দুর্দান্ত!

যে অভিনেত্রী তাঁর বাড়িতে পুরনো জিনিস গুছিয়ে রাখেন৷ তিনি আজও তাঁর বাড়িতে অনেক ছবি সংরক্ষিত রেখেছেন। মুনমুন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইংরেজি বিষয়ের পাশাপাশি শিশুদের ছবি আঁকাও শেখাতেন। মা হওয়ার পর মুনমুন সেনের প্রথম ছবি।

তিনি ১৯৮৪ সালের 'অন্দর বাহার' ছবি দিয়ে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি সাহসী দৃশ্য দেওয়ার জন্য আলোচনার মুখে পড়েন। ছবিতে তাঁর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন অনিল কাপুর এবং জ্যাকি শ্রফ।

'অন্দর বাহার' অ্যাকশন ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজ এন. সিপ্পি এবং প্রযোজনা করেছিলেন রোমু সিপ্পি। এই ছবিটি ১৯৮২ সালের হলিউড ছবি '৪৮ আওয়ার্স'-এর রিমেক। মুনমুন সেন, অনিল কাপুর, জ্যাকি শ্রফের পাশাপাশি এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ড্যানি ডেনজংপা এবং গুলশান গ্রোভার। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আর.ডি. বর্মণ। গানের কথা লিখেছেন গুলশান বাওরা। গানগুলিতে কণ্ঠ দিয়েছেন শৈলেন্দ্র সিং, সুরেশ ওয়াদকার এবং আশা ভোঁসলে।

হিন্দি ছাড়াও, মুনমুন বাংলা, কন্নড়, তামিল, মালায়ালাম, মারাঠি সহ অন্যান্য ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি অনেক টিভি অনুষ্ঠানেও কাজ করেছেন।