বিশ্বাস হচ্ছে না তো? অনুর্বর জমিতে চাষ হচ্ছে আম, প্রতি কেজির দাম আড়াই লক্ষ টাকা!
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
কোটার আম বাগানে মিয়াজাকি আমের মাদার প্ল্যান্ট লাগানো হয়েছে। এই মাদার প্লান্ট থেকে মিয়াজাকি আমের জাতের চারা তৈরি করা হচ্ছে।
advertisement
1/8

রাজস্থানের অনুর্বর জমি, যেখানে সাধারণ ফসল ফলানোই খুব কঠিন, সেখানকার কৃষকরাই এক বিস্ময়কর কাজ করেছেন। কোটা শহরের এই চাষি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম উৎপাদন করেছেন।
advertisement
2/8
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের বাগান তৈরি করেছেন রাজস্থানের কৃষক। জাপানি জাতের এই 'মিয়াজাকি' আম সবচেয়ে দামি ফলগুলোর মধ্যে একটি। জাপানে এই আম প্রতি কেজি প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অন্য দিকে, মধ্যপ্রদেশে এই আম বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ একটি আমের দাম প্রায় চার হাজার টাকা।
advertisement
3/8
চার বছর আগে এই বিশেষ জাতের আম চাষ শুরু করেন এই চাষি, এখন সেই গাছ থেকে ফল আসতে শুরু করেছে। শ্রীকিষণ সুমন নামের এই কৃষকের বাগানের আম দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন।
advertisement
4/8
সুমন জানান, কোটার আম বাগানে মিয়াজাকি আমের মাদার প্ল্যান্ট লাগানো হয়েছে। এই মাদার প্লান্ট থেকে মিয়াজাকি আমের জাতের চারা তৈরি করা হচ্ছে। গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে মিয়াজাকি আমের জাত নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এই গাছে তিন বছর ধরে ফল আসছে। এখনও পর্যন্ত তিনি ৫০টিরও বেশি গাছ বিক্রি করেছেন। তবে তাঁর কাছে শতাধিক গাছের অর্ডার রয়েছে।
advertisement
5/8
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে এক পরিচিতের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ওই ব্যক্তিই তাঁকে তিনটি মিয়াজাকি আমের চারা উপহার দেন। জাপানি জাতের ওই গাছের বয়স ছিল আড়াই থেকে তিন বছর। তিনি তার নার্সারিতে তিনটি গাছই রোপণ করেন এবং তারপর থেকেই ফল দেওয়া শুরু হয়। এক বছর পরই ওই তিনটি গাছে ফল ধরতে শুরু করে। একটি ফলের ওজন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রামের মধ্যে।
advertisement
6/8
সুমন বলেছিলেন যে মিয়াজাকির আমের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক এবং জলের প্রয়োজন হয়। মিয়াজাকি আমের বিশেষত্ব হল এর পুষ্টিগুণ সাধারণত অন্যান্য আমের তুলনায় অনেক বেশি।
advertisement
7/8
এছাড়াও এতে ফলিক অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিনের মতো নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এই আমের খোসাও সহজেই খাওয়া যায়। এই আম ওপর থেকে লাল এবং ভেতর থেকে হলুদ রঙের দেখতে হয়।
advertisement
8/8
এখন যেসব আম ফলছে তার সবগুলোই ঘরের আত্মীয়-স্বজনরা খাচ্ছেন। এখনই তিনি বাজারে ফল বিক্রি করার কথা ভাবছেন না। সব গাছে ফল আসার পর তারপরে বাজারে বিক্রি করবেন।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
বিশ্বাস হচ্ছে না তো? অনুর্বর জমিতে চাষ হচ্ছে আম, প্রতি কেজির দাম আড়াই লক্ষ টাকা!