Knowledge Story: ঘাড় মটকে, পিষে মেরে ফেলা হয়...ডিম ফুটে বেরনোর পরের দিনই! জানতেন এই বীভৎস কথা? কিন্তু কেন...
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
Wonder of Science - ইজরায়েলের ভলক্যানো ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা মুরগির জেনেটিক স্টাডি করে একটি পদ্ধতি তৈরি করেছেন৷ এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। ইউভাল সিনামন এই ইনস্টিটিউটের অন্যতম প্রধান পরিদর্শক।
advertisement
1/8

কোনও দয়া মায়া নয়৷ ডিম ফুটে বেরনোর পরের দিনই শ্বাসরোধ করে ফেলে হয় মুরগির পুরুষ ছানাদের৷ সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রয় ৭ বিলিয়ন মোরগকে এভাবে জন্মের শুরুতেই শেষ করে দেওয়া হয়৷ বহু দিন থেকেই চলে আসছে এই প্র্যাকটিস৷ তবে, এবার ছোট ছোট ছানাদের এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে নতুন উপায় বের করে ফেলেছেন গবেষকেরা৷ এই প্রতিবেদনে আমরা সেই কথা নিয়েই আলোচনা করব৷
advertisement
2/8
আসলে, মুরগির ডিম থেকে জন্মানো পুরুষ ছানা বড় হয়ে তো আর ডিম দেয় না৷ পোলট্রিতে নির্দিষ্ট সংখ্যাতেই মোরগ পালন করা হয়৷ বাকি, সবই থাকে মুরগি৷ তাই ডিম ফুটে মোরগ ছানা বেরলেই মাথায় হাত পড়ে ব্যবসায়ীদের৷ শুরু হয় নিধন যজ্ঞ৷ তবে শুধু, ডিম উৎপাদনই কি ফ্যাক্টর!
advertisement
3/8
মুরগিদের শরীরে মাংসও থাকে বেশি৷ তুলনায় মোরগের ব্রেস্ট পিস-এ মাংস তেমন মেলে না৷ তাছাড়া, মোরগের মাংস খাওয়ার রেওয়াজও তেমন নেই৷ তাই পোলট্রি ব্যবসায়ীদের কাছে পুরুষ ছানা পালন নেহাতই বাজে খরচ৷ পক্ষান্তরে, ব্যবসায় ক্ষতি৷
advertisement
4/8
ব্যবসায় ক্ষতি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নৃশংস পন্থা বেছে নিতে হয় ব্যবসায়ীদের৷ তবে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণায় একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যাতে অনায়াসেই এই নৃশংস প্র্যাকটিস বন্ধ করা যাবে৷
advertisement
5/8
গবেষণাগারে এমন একটি কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে যাতে, পুরুষ ছানার ডিমই আর ফুটবে না। যদি তারা ডিম থেকে বেরই না হয়, তাহলে বাচ্চাগুলোকে এভাবে মারাও বন্ধ হবে। এই কৌশলটি ইজরায়েলের বিজ্ঞানী ইউভাল সিনামনের গবেষণাগারে আবিষ্কৃত হয়েছে।
advertisement
6/8
ইজরায়েলের ভলক্যানো ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা মুরগির জেনেটিক স্টাডি করে একটি পদ্ধতি তৈরি করেছেন৷ এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে। ইউভাল সিনামন এই ইনস্টিটিউটের অন্যতম প্রধান পরিদর্শক। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বহু পোলট্রি ফার্ম পুরুষ ছানাদের মাত্র একদিন বয়সেই বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু পোল্ট্রি খামার তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। কোথাও মোরগ ছানাদের মেশিনে পিষে মারার পদ্ধতিও প্রচলিত আছে৷ কিছু দেশে, ছানাটি সম্পূর্ণভাবে মারা গেছে কি না তা-ও মানুষ নিশ্চিত করে না।
advertisement
7/8
ইউভাল সিনামনের মতে, তার দল মুরগি ছানাদের লিঙ্গের সঙ্গে সম্পর্কিত জিন খুঁজে পেয়েছে। এই জিনটি ডিম পাড়ার পরে পুরুষ ছানার ভ্রূণের বিকাশ বন্ধ করে দিতে পারে৷ রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁরা এই ডিমগুলি গ্রহণ করে এবং সেই জিনটিকে সক্রিয় করেন। এর জন্য উজ্জ্বল নীল আলো ব্যবহার করা হয়, যা পুরুষ ভ্রূণের বিকাশ বন্ধ করে দেয়। স্ত্রী ছানার এই জিন থাকে না। তাই তাদের বিকাশ এতে প্রভাবিত হয় না৷
advertisement
8/8
ডিম থেকে ছানা না ফুটলে সেগুলো পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পোল্ট্রি শিল্প নতুন এই প্রযুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। পোল্ট্রি বাই হ্যামিন নামের একটি কোম্পানির সিইও ইয়ারিট ওয়েইনবার্গ বাণিজ্যিকভাবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের সত্ত্ব কিনেছেন। গবেষকেরা সারা বিশ্বে এই পদ্ধতি ছড়িয়ে দিতে চান। ওয়েইনবার্গ বলেছেন, ‘‘আমরা বেশ কয়েকটি জেনেটিক কোম্পানির সাথে আলোচনা করছি। তারা আমাদের গবেষণা থেকে পাওয়া সমাধানগুলির সুবিধাগুলি বুঝতে পারছে৷ দুই বছরের মধ্যে বাজারে আনার প্রস্তুতি রয়েছে। এই প্রযুক্তি শিল্পের একটি বড় সমস্যার সমাধান দেবে।’’
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Knowledge Story: ঘাড় মটকে, পিষে মেরে ফেলা হয়...ডিম ফুটে বেরনোর পরের দিনই! জানতেন এই বীভৎস কথা? কিন্তু কেন...