হাতে আর মাত্র ৩ দিন, তার পরেও যদি কারোর কাছে ২০০০ টাকা পাওয়া যায়, তখন কি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- local18
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
চলতি বছরে ২০০০ টাকার নোট ফের বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার।
advertisement
1/10

প্রায় বছর সাতেক আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সময় ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তার পরিবর্তে নতুন ৫০০ টাকা এবং ২০০০ টাকার নোট চালু করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)।
advertisement
2/10
এরপর চলতি বছরে ২০০০ টাকার নোট ফের বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। তাতে বলা হয়েছিল যে, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত ব্যাঙ্কে ২০০০ টাকার নোট জমা কিংবা বিনিময় করার সুবিধা পাওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী এর জন্য হাতে আর মাত্র ৩ দিন বাকি।
advertisement
3/10
এখন জনসাধারণের মনে প্রশ্ন জাগছে, এরপর থেকে ২০০০ টাকার নোট রাখলে কি তা অপরাধের আওতায় আসবে? এর পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আরও নানা প্রশ্নও উঠছে। আজ সেই সব উত্তরই জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
4/10
আরবিআই-এর নীতি: পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার নোট বাজার থেকে ফেরত আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে যে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের পরে এই ২০০০ টাকার নোটগুলির কী হবে?
advertisement
5/10
একজন সাধারণ মানুষ যদি নিজের ব্যাগে ২০০০ টাকার নোট বহন করে, তবে পুলিশ কি তাকে গ্রেফতার করতে পারে? আরবিআই কি ২০০০ টাকার নোট জমা করার সময়সীমা বাড়াতে পারে?
advertisement
6/10
২০১৬ সালে নোটবন্দির পরের নিয়মগুলি: বলে রাখা ভাল যে, ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার পরে সেই নোটগুলি বাড়িতে রাখা কিংবা এ-দিক-সে-দিক নিয়ে যাওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধের আওতায় পড়ত। আরবিআই এই নোটগুলি পরিবর্তন করার জন্য বেশ কয়েক বার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্ত নোট ফেরত আসেনি।
advertisement
7/10
এই পরিস্থিতিতে ২০০০ টাকার নোট বিনিময় বা জমা করার সময়সীমা বাড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট এখনও বাজারে রয়েছে।
advertisement
8/10
৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোটের আইন কী? ২০১৬ সালে নোটবন্দি ঘোষণা হওয়ার কিছু সময় পরে কেন্দ্রীয় সরকার একটি আইন অনুমোদন করেছিল। ওই আইনের আওতায় ১০টিরও বেশি ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট রাখার জন্য ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হত। এমনকী কারাদণ্ডেরও কথাও বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে স্পেসিফায়েড ব্যাঙ্ক নোট আইন ২০১৭ সংসদে পাশ হয়েছিল। ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট ব্যবহার করে ‘একটি সমান্তরাল অর্থনীতি চালানোর সম্ভাবনা’ দূর করার লক্ষ্যে আইনটি পাশ করা হয়েছিল।
advertisement
9/10
২০১৭ সালে সংসদে পাশ হওয়া আইনটি ডিমানিটাইজড কারেন্সি নোটের উপর ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং সরকারের দায়ও দূর করে। ২০১৬ সালে আর্থিক ব্যবস্থা থেকে বে-হিসেবি অর্থ এবং জাল নোট নির্মূল করার জন্য আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে নোটবন্দিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। আইনটিতে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখের পরে পুরনো নোটের দখল, স্থানান্তর বা প্রাপ্তি নিষিদ্ধ করা হয়।
advertisement
10/10
এহেন পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে যে, ২০০০ টাকার নোট একেবারে বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সংসদ এই বিষয়ে একটি আইন আনতে পারে কিংবা ২০১৭ সালে আনা আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার দিতে পারে।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
হাতে আর মাত্র ৩ দিন, তার পরেও যদি কারোর কাছে ২০০০ টাকা পাওয়া যায়, তখন কি তাঁকে গ্রেফতার করা হবে?