Vastu Tips: ঋণ থেকে মুক্তি পেতে এইভাবে ঘর সাজান, জীবনে টাকার অভাব হবে না!

ব্যক্তিগত বাসস্থান আমাদের জীবনধারণ ও জীবন পরিচর্যার অন্যতম অঙ্গ। পরিবারে সুখ-শান্তি, সন্তানের ভবিষ্যৎ থেকে শুরু করে অর্থ উপার্জন সবেতেই গৃহের প্রভাব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র আমাদের এই বিষয়ে সবচেয়ে ভাল সাহায্য করতে পারে। প্রাচীন এই গ্রন্থে এমন কিছু নির্দেশ দেওয়া রয়েছে যা আমাদের গৃহের জন্য আদর্শ।

এবারে জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী!

১. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ভগবান শিবের বাস, তাই বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখা উচিত। এই কোণটি যত বেশি পবিত্র থাকবে তত তা বাড়ির জন্য ভাল। এতে খুব তাড়াতাড়ি আর্থিক সমস্যার অবসান ঘটানো সম্ভব।

২. দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে টয়লেট, বাথরুম বা সিঙ্ক থাকা উচিত নয়। এই অংশে জল জমা অশুভ লক্ষণ। বরং জন সরবরাহ হয় এমন কোনও ব্যবস্থা করা উচিত। এতে ঘরে অর্থের প্রবাহ বাড়বে।

৩. বাড়ির কেন্দ্রীয় অংশকে বলা হয় ব্রহ্মস্থান। এই স্থানটি উঁচু, গভীর বা আবদ্ধ থাকা উচিত নয়।

৪. ঘর নির্মাণে বাড়ির প্রধান দরজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের দরজা নিশ্ছিদ্র হওয়া দরকার। এতে ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা বাড়ে।

ওয়ার্ড্রোব দক্ষিণ দিকে হলে অসুবিধে নেই। তবে তা উত্তর দিকে মুখ করে রাখাই ভাল।

ঘুমানোর সময় মাথা সবসময় দক্ষিণ দিকে মুখ করে রাখা উচিত। কোনও অবস্থাতেই বিছানার উলটো দিকে আয়না রাখা উচিত নয়। এতে মনের শান্তি, আত্মবিশ্বাস কমে যায়, সমস্যা বাড়তে থাকে। দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমোলে শত্রু, রোগ ও ঋণ কমে যায়।

দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের পাশাপাশি বাড়ির উত্তর দিকটিও পরিষ্কার এবং ত্রুটিমুক্ত রাখা অপরিহার্য। এতে ঋণের সমস্যা খুব দ্রুত মিটে যাবে এবং সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। উত্তর দিককে বলা হয় কুবের স্থান। তাই এই স্থানটি যত বেশি পরিষ্কার হবে ততই ভাল।

দক্ষিণ-পূর্ব কোণকে অগ্নিস্থান বলা হয়। এই স্থানে আগুনের বদলে অন্য কিছু রাখলে বাসিন্দাদের আর্থিক ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। ভুল করেও এই কোণে বাতাস বা জল সংক্রান্ত কিছু রাখা উচিত নয়।