কলকাতায় ব্যবসা করতে চান? এই আইডিয়া ট্রাই করে আয় করতে পারবেন বিপুল টাকা

চাকরির পরিবর্তে ব্যবসার প্রতি ক্রমাগত বাড়ছে আগ্রহ। নতুন প্রজন্ম এখন স্বাধীন ব্যবসা করতে চাইছে। সরকারও এই বিষয়ে উৎসাহ দিতে প্রস্তুত। তাই নানা ধরনের ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন অনেকেই।

যাঁরা কলকাতা বা তার আশেপাশে থাকেন, তাঁরা কয়েকটি বিশেষ স্টার্ট-আপ ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। এক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পাওয়া যেতে পারে—

ফিটনেস ট্রেনার: এই সময় সকলেই সুস্থতা নিয়ে বেশ ভাবিত। সকলেই চান একটা ছিপছিপে সুস্থ শরীর। এই জন্য অনেকেই টাকা খরচ করতে পিছ-পা নন। তাই ক্রমশ বাড়ছে প্রশিক্ষকের চাহিদাও। কলকাতাও পিছিয়ে নেই। তাই এই শহরেও ফিটনেস ট্রেনার একটি বড় পেশা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।

চা ব্যবসা: পশ্চিমবঙ্গ হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদক। বিশ্বখ্যাত দার্জিলিং চা এখানেই উৎপন্ন হয়। তাই কলকাতা থেকে খুব সহজেই কাঁচামাল পাওয়া যেতে পারে। পাওয়া যায় সুলভ কর্মীও। নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরির ক্ষেত্রে এগুলি খুবই প্রয়োজনীয়। ফলে কলকাতা থেকে খুবই লাভজনক ব্যবসা করা যেতে পারে।

ফাস্টফুড ক্লাউড কিচেন: যদি রেস্তোরাঁ খোলার কথা ভাবেন কেউ, অথচ, তেমন বিনিয়োগের সামর্থ্য না থাকে তাহলে বরং ভাবা যেতে পারে ফাস্ট ফুড ক্লাউড কিচেন-এর কথা। রান্নার শখ এবং ভাল রান্নার হাত থাকলে এই ব্যবসায় যথেষ্ট ভাল লাভ পাওয়া যেতে পারে।

নিজের তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে। আবার এমন কিছু কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে যারা ডেলিভারি করে দিতে পারে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী খাবার পৌঁছে দিতে পারলে ব্যবসা ফুলে ফেঁপে উঠবে।

বাঙালি মিষ্টির ব্যবসা: আজকাল সকলেই বাড়িতে বসে খাবার পেতে পছন্দ করেন। বাংলার মিষ্টি অবশ্যই বিশেষ। তাই সেই মিষ্টি নিয়ে ব্যবসা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে একটি অনলাইন স্টোর খুলে ফেলা যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতে পারলে সারা দেশেই ব্যবসা করা যেতে পারে সহজে। কলকাতার ব্যবসা মানচিত্রে অবশ্যই এটি একটি দারুন পরিকল্পনা হতে পারে।

টেক্সটাইল ব্যবসা: বাংলার মিষ্টির মতো বাংলার শাড়িও আকর্ষণীয় বিষয়। ফলে কলকাতায় এই ব্যবসাও লাভজনক হতে পারে। তবে শুধু শাড়ি নয়। যে কোনও রকম ঐতিহ্যবাহী পোশাকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সেসবই নিজের ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া যেতে পারে।