Retirement Planning: বেশিরভাগ ভারতীয়ের অবসরকালীন সঞ্চয় শূন্য হতে চলেছে বলে আশঙ্কা, পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করবেন?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Retirement Planning: গবেষণায় এক আশঙ্কাজনক তথ্য সামনে এসেছে—অধিকাংশ ভারতীয় অবসরের পর কোনও সঞ্চয় ছাড়াই জীবনের শেষ পর্বে পৌঁছবেন। ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে এখনই জেনে নিন কোন স্কিমে কত টাকা বিনিয়োগ করা উচিত।
advertisement
1/7

নিজেদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সঞ্চয় অথবা বিনিয়োগ করা অত্যন্ত জরুরি। আর এর প্রয়োজনীয়তা কোভিড অতিমারীর কালে মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গিয়েছেন। এদিকে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যার জেরে বাড়ছে উদ্বেগ। কিন্তু কী সেই ভবিষ্যদ্বাণী?
advertisement
2/7
আসলে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, আসন্ন সময়ে এক বড়সড় অবসরকালীন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণী। আরও সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলতে গেলে অবসর গ্রহণের পর ৮০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়ের সঞ্চয় ফুরিয়ে যাবে বলে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়ে আসছে।
advertisement
3/7
অ্যাসেট অ্যানালিস্ট মোহিত বেরিওয়ালা একটি লিঙ্কড-ইন পোস্টে দাবি করেছেন যে, এখানে শুধুমাত্র ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথাই বলা হচ্ছে না। কারণ এটা শুধুই ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক সঙ্কট নয়, এখন থেকেই এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে শুরু করেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণী আসলে কতটা সঞ্চয় করতে পারেন এবং চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর সেই সঞ্চয় দিয়ে কত দিন চলবে, এই বিষয়টাকেই খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন মোহিত বেরিওয়ালা। তাঁর মতে, ইএমআই-এর বোঝা টানতে গিয়েই বেড়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তদের অর্থনৈতিক সঙ্কটের ঝুঁকি।
advertisement
4/7
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রত্যেক ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের অর্থাৎ প্রায় ৮০ শতাংশেরই অবসর গ্রহণ করার অল্প সময়ের মধ্যেই সঞ্চয়ের ভাণ্ডার খালি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের অবসর গ্রহণের পরে আর কোনও পেনশনের ব্যবস্থা থাকে না। এমনকী এই অবসরকালীন সময়ের আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর কোনও পূর্ব পরিকল্পিত উপায়ও থাকে না।
advertisement
5/7
খুব কম সংখ্যক মানুষই রয়েছেন, যাঁরা জীবনের অবসরকালীন পর্বের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সঞ্চয়ের কৌশল অবলম্বন করেন। ফলে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর ক্ষেত্রেই ৬০ বছর বয়সের পরে দৈনন্দিন আর্থিক চাহিদা একটি আর্থিক সঙ্কটে পরিণত হয়। কারণ যে পরিমাণ অর্থ চাকরিজীবনে তিনি সঞ্চয় করে রাখেন, সেটা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনায়াসেই ফুরিয়ে যায়। বলে রাখা ভাল যে, ভারতে গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ।
advertisement
6/7
বিষয়টা সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলা যাক। এখন যদি কারও বার্ষিক ব্যয় ৫ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে এক দশকের মধ্যে সেই খরচ দ্বিগুণে পৌঁছে যেতে পারে। এই আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য মোহিত বেরিওয়ালা ১৫ শতাংশের এক নীতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ চাকরিজীবীদের নিজেদের মাসিক আয়ের ১৫ শতাংশ শুধুমাত্র অবসরকালীন সময়ের জন্য সঞ্চয় করে রাখা জরুরি। তিনি বিনিয়োগের ত্রিমুখী কৌশল মেনে চলার কথাও বলেছেন।
advertisement
7/7
মোহিতের পরামর্শ, দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয় বৃদ্ধি করার জন্য ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ এবং কর সাশ্রয় ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় জন্য কর্পোরেট এনপিএস-এ বিনিয়োগ করা জরুরি। তাঁর মতে, অবসরজীবনের কথা ভেবে চাকরিজীবনের প্রথম দিক থেকেই সঞ্চয়ের পরিকল্পনা ছকে ফেলতে হবে।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Retirement Planning: বেশিরভাগ ভারতীয়ের অবসরকালীন সঞ্চয় শূন্য হতে চলেছে বলে আশঙ্কা, পরিস্থিতির মোকাবিলায় কোথায় কত টাকা বিনিয়োগ করবেন?