Money Making Tips: অধিক লাভের আশায় পেয়ারা চাষ বর্ধমানের এই ব্যক্তির 

প্রথম থেকেই ছিল নতুন নতুন চাষ করার নেশা। তাই বর্তমানে প্রথাগত ধান চাষ থেকে বেরিয়ে এসে পেয়ারা চাষ করছেন কাটোয়ার এই ব্যক্তি। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ১ ব্লকের মেরা গ্রামের বাসিন্দা মহাসীন মল্লিক। বেশ কিছুটা জায়গায় পেয়ারা চাষ করেই তিনি অর্থ উপার্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

পূর্ব বর্ধমান জেলাকে রাজ্যের ধানের গোলা বলা হয়। সম্পূর্ণ জেলা জুড়ে ব্যাপক ভাবে ধান চাষ হয়। সেরকমই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ব্লকেও ধান চাষিদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। কিন্তু ধান চাষ থেকে সরে এসেছেন মেরা গ্রামের বাসিন্দা মহাসীন মল্লিক।

তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "এটা আমাদের মেরা গ্রাম, এই চাষ আমি তিন বছর ধরে করছি। আমার প্রথম থেকেই নতুন নতুন চাষ করার নেশা বেশি। সেই হিসেবেই আমি এই নতুন নতুন চাষ করি। কলা চাষ করেছি, পটল লাগিয়েছি, রসুন চাষ করছি নতুন চাষের নেশা আমার বেশি।"

দেড় বিঘা জায়গায় পেয়ারা চাষ করেছেন মহাসীন মল্লিক। দেড় বিঘা জায়গায় প্রথম গাছ বসাতে তাঁর খরচ হয়েছিল প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী জেলা নদীয়া থেকে নিয়ে এসেছিলেন পেয়ারা গাছের চারা। সেই থেকেই চলছে এই পেয়ারা চাষ।

মহাসীন মল্লিকের কথায় বর্ষাকাল বাদ দিয়ে, সারাবছর পেয়ারার ভালো কদর থাকে। কিন্তু এই পেয়ারা চাষের জন্য যথেষ্ঠ পরিচর্যা করার প্রয়োজন রয়েছে। সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে সারাবছর প্রচুর পেয়ারা পাওয়া যাবে।

ধান চাষের তুলনায় এই চাষে লাভও তুলনামূলক অনেকটা বেশি।মহাসীন মল্লিক আরও জানিয়েছেন, "এখন ধান চাষ করে কোনও লাভ নেই। আগে আমিও ধান চাষ করতাম কিন্তু এখন আর ধান চাষে একটুও লাভ থাকেনা। ওই বাড়িতে খাওয়ার মত অল্প একটু জমিতে ধান চাষ করি। লাভের আশায় এখন পেয়ারা চাষ করছি।"

পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ব্লকের এখন অনেকেই পেয়ারা চাষ করছেন। গাছ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারণে অনেকেই শুরু করছেন পেয়ারা চাষ। সেরকমই এবার কাটোয়া ১ ব্লকেও প্রথাগত ধান চাষ থেকে বেরিয়ে এসে, পেয়ারা চাষ করছেন মেরা গ্রামের মহাসীন মল্লিক।