‘এই’ ভাবে পেয়ে যাবেন ৪১ লাখ টাকা, তারপর প্রতি মাসে মিলবে ২৪ হাজার টাকা !

অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কিম পিপিএফ। পোস্ট অফিসের যে কোনও শাখায় পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এটা মূলত ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিম। মেয়াদপূর্তির পরে অ্যাকাউন্টের মেয়াদ পাঁচ বছর করে মোট দু’বার বাড়াতে পারেন গ্রাহক। টাকা তোলারও নিয়ম রয়েছে। এই বিশেষ নিয়মের সুবিধা নিয়েই প্রতি মাসে ২৪ হাজার টাকা করমুক্ত আয় করা যায়।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ-এর মেয়াদ ১৫ বছর। সুদ দেওয়া হয় বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে। গ্রাহক এক বছরে সর্বাধিক ১.৫ লাখ টাকা জমা করতে পারেন। ১৫ বছর পর ৫ বছর করে মোট দু’বার মেয়াদ বাড়ানো হয়। গ্রাহক এই সময় বিনিয়োগ করতে পারেন বা নাও করতে পারেন। বিনিয়োগ চালিয়ে গেলে সুদ এবং আসল দুটোই বাড়বে। আর না করলে জমা টাকার উপর শুধু সুদ মিলবে।

মেয়াদপূর্তিতে ৪১ লাখ:এক অর্থবর্ষে জমা পড়ছে ১.৫ লাখ টাকা। বার্ষিক সুদ মিলছে ৭.১ শতাংশ হারে। মেয়াদপূর্তির সময়কাল ১৫ বছর। মেয়াদপূর্তিতে রিটার্ন মিলবে ৪০,৬৮,২০৯ টাকা।

কীভাবে ১ কোটি টাকা রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে: ১৫ বছর পর পিপিএফ স্কিম যদি ৫ বছর করে আরও ২ বার বাড়ানো হয় তাহলে –এক অর্থবর্ষে মোট জমা পড়ছে ১.৫ লাখ টাকা। বার্ষিক সুদ মিলছে ৭.১ শতাংশ হারে। মেয়াদপূর্তির সময়কাল ২৫ বছর। মেয়াদপূর্তিতে রিটার্ন মিলবে ১.০২ কোটি টাকা।

১৫ বছরে ৪০,৬৮,২০৯ টাকা রিটার্ন পাওয়ার পর যদি আরও পাঁচ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে ব্যালেন্সের উপর ৭.১ শতাংশ হারে সুদ আসতে থাকবে। এর মধ্যে বছরে একবার টাকা তোলা যায়। এখন যদি কেউ বছরে যে টাকা সুদ হিসাবে মিলছে সেটা তোলার কথা ভাবেন, তাহলে তিনি ২,৮৮,৮৪৩ টাকা পাচ্ছেন। এই টাকা ১২ মাসে ভাগ করলে ২৪ হাজার হচ্ছে। এর উপর কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না।

এখন যদি কেউ ২৫ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যান এবং এইভাবে বছরে একবার সুদের টাকা তোলেন, তাহলে তিনি এক বছরে ৭,৩১,৩০০ টাকা তুলতে পারেন। ১২ দিয়ে ভাগ করলে প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা করে পাবেন তিনি।