Money Making Ideas: অন্যান্য কাজের পাশাপশি করতে পারেন এই কাজ ! স্বল্প পুঁজি ও স্বল্প সময়ে হতে পারেন মালামাল

সাবেকি পদ্ধতিতে গতানুগতিক চাষাবাদে বর্তমান সময়ে লাভ বেশি হয় না। এছাড়া খাটনি যেমনি হয় বেশি, তেমনি ঝুঁকিও থাকে অনেকটাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষক অধিক আর্থিক উপার্জন করতে সক্ষম হন না। তবে যদি কোনোও কৃষক বা ব্যক্তি স্বল্প সময়ে, স্বল্প আর্থিক বিনিয়োগে বেশি লাভের মুখ দেখতে চান। তবে এই চাষ করা লাভজনক। সাধারণ ভাবে মাশরুম বাজারে বিক্রি হয় অনেকটাই বেশি দামে। তাই এই মাশরুম বিক্রি করে ভাল টাকা উপার্জন করা সহজেই সম্ভব। তবে ওয়েস্টার্ন মাশরুম বেশিরভাগ মানুষ চাষ করতে পারবেন।

দীর্ঘ সময় ধরে মাশরুম চাষ করা এক ব্যক্তি টুবাই পাটোয়ারী জানান, "তিনি বেশ কিছুটা সময় ধরে এই মাশরুম চাষের সঙ্গে যুক্ত। অন্যান্য চাষ আবাদের পাশাপশি এই চাষ করা খুবই সহজ। এছাড়া রোদ, ঝড় কিংবা বৃষ্টিতে বাইরে কাজ করার ঝামেলা থাকে না একেবারেই।

অন্যান্য চাষের মতন বেশি খাটনির কাজও নেই এখানে। শুধুই মাশরুমের পরিচর্যা করতে যতটুকু সময় দেওয়া প্রয়োজন রয়েছে সেটুকু দিলেই হয়। তাহলেই এই ওয়েস্টার্ন মাশরুম চাষ করা থেকে ভাল টাকা রোজগার করা যায়। এই চাষে খরচও লাগে সামান্য।

তিনি আরোও জানান, "এই চাষ করতে একটি ঘর বানানো প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে পলিপ্যাকেটের বহু সিলিন্ডার ঝুলিয়ে করা হয়ে থাকে এই চাষ। এক একটি পলি প্যাকেটে মাশরুমের বীজ ও বাকি উপকরণ দিয়ে খরচ পড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তবে একটি সিলিন্ডার থেকে প্রতি কেজি মাশরুমে প্রায় ১০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দামে লাভ পাওয়া যায়। তাও আবার দুই মাস পর্যন্ত সেই পর্ব চলতেই থাকে। তবে খালি কিছু রোগের আক্রমণ থেকে গাছকে বাঁচাতে হয়। মূলত শীতের সময় এই গাছে গ্রিন মোল বা সবুজ ভাইরাস দেখা দেয়।"

আনুমানিক প্রায় ১৬,০০০ টাকা থেকে ১৭,০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা সম্ভব এই চাষ। যতটা বেশি চাষ করা যায়। লাভও হয় ততটা বেশি। তবে ভাইরাস বা রোগের বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখা অবশ্যই প্রয়োজন। নাহলে লাভের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এক্ষেত্রে জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা কৃষি দফতরের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তবে এই চাষ করে খুব সহজেই ভাল টাকা মুনাফা পাওয়া সম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যেই।