'বউয়ের মুখ না দেখে ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন' মন্তব্যে আদার পুনাওয়ালার দাবি, ‘আমার স্ত্রীও...’
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
L&T Chief SN Subrahmanyan: এলঅ্যান্ডটি (Larsen & Toubro Chairman) চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যমের মন্তব্য, "রবিবার বাড়িব বসে বউয়ের মুখ না দেখে অফিসে আসুন।" যা শুনে দেশ জুড়ে বহু শিল্পপতি, বলিউড তারকা এবং রাজনীতিবিদরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
advertisement
1/10

সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সিইও আদার পুনাওয়ালা মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মহিন্দ্রার "কাজ ও জীবনের ভারসাম্য" বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। পুনাওয়ালা বলেন, “আমার স্ত্রীও রবিবার আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালবাসে।”
advertisement
2/10
এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বে টুইটার) তাঁর সাম্প্রতিক পোস্টটি এলঅ্যান্ডটি (Larsen & Toubro Chairman) চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যমের মন্তব্যের কয়েক দিন পর আসে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত এবং এমনকি রবিবারও কাজ করতে উৎসাহিত করা উচিত। তাঁর কথায়, "রবিবার বাড়িব বসে বউয়ের মুখ না দেখে অফিসে আসুন।" তাঁর এই বক্তব্যে বহু শিল্পপতি, বলিউড তারকা এবং রাজনীতিবিদরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
advertisement
3/10
পুনাওয়ালা জানান যে তিনি মহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সঙ্গে একমত, যাঁর বক্তব্য, “আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আছি কারণ এটি একটি চমৎকার ব্যবসায়িক মঞ্চ। আমার স্ত্রী দারুণ সুন্দরী, তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালই লাগে!”
advertisement
4/10
মহিন্দ্রার এই মন্তব্যটি এলঅ্যান্ডটি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে একটি সূক্ষ্ম সমালোচনা হিসাবে দেখা হয়েছে। এসএন সুব্রহ্মণ্যম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আপনি কতক্ষণ আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকবেন? বাড়িতে বসে কী করবেন?”
advertisement
5/10
এর আগে আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেছিলেন, “কাজ ও জীবনের ভারসাম্য ঐচ্ছিক নয়, এটি অপরিহার্য।” তিনি এক্স-এ লিখেছিলেন, “সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা? রবিবারের নাম বদলে ‘সান-ডিউটি’ রাখা যাক এবং ‘ছুটির দিন’ একটি মিথ কনসেপ্ট করে তোলা যাক! কঠোর ও বুদ্ধিমানভাবে কাজ করাই আমি বিশ্বাস করি, কিন্তু জীবনের প্রতিটি দিনকে একটি অফিস শিফটে পরিণত করা? এটি সাফল্যের নয়, বরং বার্নআউটের রেসিপি। কাজ ও জীবনের ভারসাম্য অপরিহার্য।”
advertisement
6/10
বাজাজ অটো-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব বাজাজ বলেন, “৯০ ঘণ্টা কাজ শুরু করা যাক শীর্ষ থেকে। কাজের সময়ের পরিমাণ নয়, কাজের গুণগত মান গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এখন আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে দয়ালু ও নরম মনোভাবের বিশ্ব প্রয়োজন।”
advertisement
7/10
শাদি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা অনুপম মিত্তল সুব্রহ্মণ্যমের “স্ত্রীর দিকে তাকানো” মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “কিন্তু স্যার, যদি স্বামী-স্ত্রী একে অপরের দিকে তাকাতে না পারেন, তাহলে আমরা কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে থাকব?”
advertisement
8/10
ডেনমার্কের কাজের সময়সূচি শেয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুব্রহ্মণ্যমকে ‘লাইফ এনজয়’ করার পরামর্শ দেন। তিনি লিখেছেন, “ডেনিশ ইঞ্জিনিয়ার লার্সেন এবং টুব্রো ১৯৩৮ সালে এলঅ্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। আজ ডেনমার্ক কাজ ও জীবনের ভারসাম্যে বিশ্বে তৃতীয়, মাথাপিছু আয়ে নবম এবং গড়ে সপ্তাহে ৩৪ ঘণ্টা কাজ করে। মিস্টার চেয়ারম্যান, জীবনকে উপভোগ করতে শিখুন।”
advertisement
9/10
অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন সুব্রহ্মণ্যমের মন্তব্য তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে লিখেছেন, “এই ধরনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের এমন মন্তব্য করতে দেখা সত্যিই অবাক করার মতো। #MentalHealthMatters।”
advertisement
10/10
সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার পর, এলঅ্যান্ডটি একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “জাতি গঠন আমাদের ম্যান্ডেটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে” এবং “চেয়ারম্যানের মন্তব্যে এই বৃহত্তর উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে।”
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
'বউয়ের মুখ না দেখে ৯০ ঘণ্টা কাজ করুন' মন্তব্যে আদার পুনাওয়ালার দাবি, ‘আমার স্ত্রীও...’