সময়ে ITR ফাইল করেননি? ভয় পাবেন না, আপনাকে যা করতে হবে এখানে দেওয়া হল!

আইটিআর ফাইল করার শেষ তারিখ ছিল ৩১ জুলাই। এই সময়ের মধ্যে যাঁরা আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি, তাঁদের কী হবে? চিন্তা নেই। দ্বিতীয় পথ রয়েছে। জরিমানা দিয়ে এবং কিছু শর্ত মেনে বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করা যায়।

বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করার পদ্ধতি: ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪ মূল্যায়ন বছর) জন্য বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ তারিখ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তবে এর জন্য জরিমানা দিতে হবে।

বিলম্বিত আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময় ব্যক্তিদের আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা ২৩৪এফ-এর অধীনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।

মোট আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হলে, লেট ফাইলিং ফি কমিয়ে ১০০০ টাকা করা হবে। তবে মাথায় রাখতে হবে, বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করার কিছু অসুবিধা রয়েছে।

বিলম্বিত আইটিআর ফাইল করার অসুবিধা: ব্যবসা এবং মূলধন ক্ষতির মতো অনেক লোকসান পরবর্তী বছরগুলিতে সেট অফের জন্য পাওয়া যায় না। তবে বাড়ি বা সম্পত্তি ক্ষতির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

বিলম্বিত আয়কর রিটার্নে আয়কর আইনের কিছু ধারার অধীনে ছাড় পাওয়া যায় না। আবার কেউ সময়মতো ট্যাক্স পরিশোধ করলেন, কিন্তু আয়কর রিটার্ন দাখিল করলেন না, তিনি আর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না।

বিলম্বিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগও তাঁর কাছে থাকবে না। আয়কর বিভাগ আইটিআর ফাইল না করার জন্য ধারা ২৭১এফ-এর অধীনে নোটিস জারি করতে পারে।

সময়ে জমা না দেওয়ার জন্য করদাতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হতে পারে। তবে করদাতা যদি ফাইল করতে না পারার কারণ হিসেবে যথোপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে পারেন এবং আয়কর অফিসার যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলে জরিমানা মকুব করা হতে পারে।

যদি কেউ কম আয় রিপোর্ট করেন তাহলে প্রদেয় করের ২০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করতে পারে আয়কর বিভাগ। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। করদাতা যদি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সুদের সঙ্গে কর পরিশোধ করেন কিন্তু আয়ের রিপোর্ট করেন কম, সেক্ষেত্রে জরিমানা নাও হতে পারে।

আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পেলে অবশ্যই ই-ফাইলিং পোর্টালে তার জবাব দিতে হবে।