Post Office Superhit Scheme: মাসে ৬০০০ টাকা দিতে পারলেই পোস্ট অফিস ফিরিয়ে দেবে ১০ লাখেরও বেশি, এই স্কিমের কথা মাথায় রাখুন নতুন বছরে

নতুন বছর হাঁটতে শুরু করেছে টলোমলো পায়ে। ধীরে ধীরে সে পরিপক্ক হবে। আমাদের অনেকের বিনিয়োগের অবস্থাও ঠিক সে রকমই। টাকা খাটিয়েছি সাধ্য মতো, কিন্তু প্রত্যাশিত রিটার্ন আসেনি। ফলে, আর্থিক অবস্থাও টলোমলো।

তবে, নতুন বছরে এই আর্থিক দুরবস্থা শুধরে নেওয়া যেতে পারে। কোথাও টাকা হারানোর ভয় ছাড়াই, সরকারের উপরে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে।

কেন না, টাকা তো বিনিয়োগ করা হচ্ছে সুদিনের আশায়। ফলে, তা বিচক্ষণতার সঙ্গে এমন জায়গাতেই করা ভাল যেখানে ঠকে যাওয়ার কোনও ভয় নেই।

যেমন রেকারিং ডিপোজিট। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার আরডি-তে সুদের হার বাড়িয়েছে। তারপরই বিনিয়োগের ঢল নেমেছে রেকারিং ডিপোজিটে। টাকা থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ, সঙ্গে মেলে নিশ্চিত রিটার্ন। আর কি চাই! রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ পাঁচ বছর। সুদের হার ৬.৫ শতাংশ। এখন কেউ যদি প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে মেয়াদ শেষে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন?

পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটের মেয়াদ ৫ বছর। তবে ১০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগের বিকল্প খোলা রয়েছে। সামান্য টাকা সঞ্চয় করেও মোটা টাকা রিটার্নের নিশ্চয়তা রয়েছে এই স্কিমে। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যায় বা ১০ টাকার গুণিতকে। বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নেই। যত খুশি বিনিয়োগ করা যায়।

এখন ধরা যাক, ১০ বছর মেয়াদি রেকারিং ডিপোজিটে প্রতি মাসে কেউ ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেন। তাহলে ১০ বছরে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ৭,২০,০০০ টাকা। এর সঙ্গে মিলবে ৬.৫ শতাংশ হারে সুদ। অর্থাৎ ম্যাচিউরিটিতে তিনি ২,৯৩,৯২৮ টাকা সুদ পাবেন। এইভাবে প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ৬.৫ শতাংশ সুদের হারে ১০ বছর পর ১০,১৩,৯২৮ টাকা রিটার্ন মিলবে।

তাহলে কি এবার এগোনো যায়?