১০০, ২০০, ৫০০...! ভারতীয় 'টাকার' ছাপানো সবচেয়ে বড় 'নোট' কোনটি বলুন তো? অধিকাংশ মানুষই জানেন 'ভুল'! আপনি?

সাধারণ জ্ঞানের গণ্ডিতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যা বড় বড় জ্ঞানী গুণী মানুষেরও জানার পরিধির বাইরে। প্রশ্ন শুনলে চট করে উত্তর তো দিয়ে দেন অনেকেই কিন্তু সঠিক উত্তর বেশিরভাগেরই নাগালের বাইরে থাকে। আর সেই উত্তরেই থাকে বিরাট চমক।

আজ এই প্রতিবেদনে চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই এক প্রশ্নের উত্তর যা আমাদের দেশের যে কোনও নাগরিকের জানা উচিত। আচ্ছা বলুন তো, ভারতে সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যের মুদ্রিত নোট কোনটি? উত্তর কিন্তু চমকে দেবে আপনাকেও।

আপনারও নিশ্চই মনে আছে নোটবন্দির সময় বিরাট লম্বা লম্বা লাইন পরে গিয়েছিল এটিএম-এর সামনে। প্রথমবার নোটবন্দির পর ২০০০ টাকার নোট চালু হয়। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দেখা এটিই সবচেয়ে বড় নোট।

১৯ মে, ২০২৩-এ, ভারত সরকার বাজার থেকে নোটটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। ধীরে ধীরে নোটটি দেখা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে আমরা ২,০০০ টাকার চেয়েও বড় নোটের কথা বলতে চলেছি যার সম্পর্কে অনেকেই জানেন না।

ভারতের স্বাধীনতারও আগের ঘটনা এটি। জানলে অবাক হবেন, ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশরা একটি দশ হাজারের নোট জারি করে। শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারাই ছাপা হয়েছিল সেই নোট। আর ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় নোট।

আপনি কি জানেন, ভারতে ২০০০ টাকার চেয়ে বড় নোট ছিল? আপনি জেনে অবাক হবেন যে ভারতে একসময় ১০,০০০ টাকার নোটও প্রচলিত ছিল।

ঘটনাটি স্বাধীনতার আগের। এই নোটটি ১৯৩৮ সালে ব্রিটিশরা চালু করেছিল এই নোট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া দ্বারা মুদ্রিত হয় এই নোটটি। ভারতীয় মুদ্রার ইতিহাসে বড় শিল্পপতিদের জন্য ছাপানো সবচেয়ে বড় নোট কিন্তু এটিই।

১০ হাজার টাকার নোট মাত্র ৮ বছর স্থায়ী হয়: ব্রিটিশরা মূলত বড় লেনদেন ও ব্যবসায়ীদের জন্য ১০,০০০ টাকার নোট ছাপিয়েছিল। কিন্তু এর ফলে কালোবাজারি বেড়ে যায়।

এটি প্রতিরোধ করার জন্য, ব্রিটিশ সরকার ১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে বাজার থেকে এই নোটগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই নোটটি মাত্র ৮ বছর ধরে বাজারে প্রচলিত ছিল।

ভারতের স্বাধীনতার পর ফের একবার বাজারে আসে ১০,০০০ টাকার নোট। ১৯৫৪ সালে, ১০০০০ টাকার নোটের সঙ্গে ৫০০০ টাকার নোটও প্রচলনে এসেছিল। তবে এই দুটি নোট সাধারণ মানুষের কোনও উপকারে আসেনি।

উপরন্ত আবারও বেড়ে যায় কালোবাজারি ও মজুতদারি। কারণ দুটি নোটই খুব কম কাজে লাগে। শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ীরাই এই নোট ব্যবহার করেন। এমন পরিস্থিতিতে ১৯৭৮ সালে মোরারজি দেশাই সরকার ১০০০০ টাকার নোটের সঙ্গে ৫০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ৩১ মার্চ, ১৯৭৬ পর্যন্ত, মোট ৭,১৪৪ কোটি টাকা প্রচলন হয়েছিল।

এর মধ্যে ২২.৯০ কোটি টাকা মূল্যের ৫০০০ টাকার মাত্র ১২৬০টি এবং ১.২৬ কোটি টাকা মূল্যের ১০০০০ টাকার নোট প্রচলিত ছিল৷ যদিও তখন বাজারের মুদ্রায় এসব নোটের শেয়ার ছিল মাত্র ২ শতাংশ।