Income Tax Notice: ভুলেও এই ৫ লেনদেন করবেন না, বাড়িতে নোটিস পাঠাতে পারে আয়কর দফতর

ইনকাম ট্যাক্স বাঁচাতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে বসেন। তার খেসারতও দিতে হয়। বাড়িতে সরাসরি নোটিস পাঠিয়ে দেয় আয়কর দফতর। তাই ইনকাম ট্যাক্সের সমস্ত নিয়ম ভালভাবে পড়ে বুঝে নেওয়া খুব জরুরি। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, সহজেই ইনকাম ট্যাক্সের নজরে চলে আসে এমন কোনও লেনদেন করা উচিত নয়।

ট্যাক্স বাঁচাতে যাঁরা নানা ফন্দিফিকির আঁটেন, তাঁরা সর্বদা ইনকাম ট্যাক্সের স্ক্যানারে থাকেন। এঁদের ব্যাঙ্কিং লেনদেনের খুঁটিনাটি যাচাই করা হয়। বিশেষ করে, এক অর্থবর্ষে যদি কেউ এই ৫টি লেনদেন করেন, তাহলে ইনকাম ট্যাক্সের নজরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। দেখে নেওয়া যাক, কোন ৫টি বড় লেনদেন থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

ফিক্সড ডিপোজিট: সবচেয়ে নিরাপদ ও জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম হল ফিক্সড ডিপোজিট। এখানে বিনিয়োগকারীর কষ্টের টাকা নিরাপদে থাকে। মেয়াদ শেষে মেলে নিশ্চিত রিটার্ন। কিন্তু কেউ যদি এক অর্থবর্ষে ১০ লাখ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পাঠাতে পারে।

সেভিংস অ্যাকাউন্টে লেনদেন: সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকেই লেনদেন করা হয়। অনেকের একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টও থাকে। কিন্তু এই সব অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করারও নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এক অর্থবর্ষে যদি কেউ একাধিক অ্যাকাউন্টে মোট ১০ লাখ টাকা জমা করেন, তাহলেও আয়কর দফতর নোটিস পাঠাতে পারে।

স্থাবর সম্পত্তি: ইদানীং রিয়েল এস্টেট ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকেই বিনিয়োগ করেন। মুনাফাও ভাল পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে প্রপার্টি ডিপার্টমেন্ট ট্যাক্স অথরিটিকে না জানিয়ে রাখে। এক্ষেত্রেও আয়কর দফতর থেকে নোটিস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড, ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ: শেয়ার বাজারে টালমাটাল চললেও মিউচুয়াল ফান্ডের চাহিদা খুব একটা কমেনি। এর কারণ দীর্ঘমেয়াদে ভাল রিটার্ন। বন্ড বা ডিবেঞ্চারেও একই ছবি। কিন্তু এক অর্থবর্ষে ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি যদি কেউ মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করেন, তাহলে আয়কর দফতর নোটিস পাঠাতে পারে।

বিদেশি সম্পত্তির ক্ষেত্রে: বিদেশি মুদ্রা কেনার সীমা রয়েছে। সীমার বেশি হলে আয়কর দফতর নোটিস পাঠাতে পারে। এতে ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি বিদেশী মুদ্রা ক্রয়, যাতে ট্রাভেলার চেক, বিদেশী মুদ্রা কার্ড, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।