ব্যাঙ্ক উঠে গেলে আপনার টাকার কী হবে ? তাহলে ব্যাঙ্কে টাকা রাখা কতটা সুরক্ষিত

সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা রাখে। কষ্টার্জিত টাকা। এখন ব্যাঙ্ক যদি উঠে যায়, তাহলে টাকার কী হবে? সব তো জলে গেল! সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসবেন হাজার হাজার মানুষ।

আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি এবং সিগনেচার ব্যাঙ্কের পতন, এই প্রশ্নটিকেই ফের খুঁচিয়ে তুলেছে। আতঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ। উদ্বিগ্ন ভারতীয়রা। ঘুরে ফিরে আসছে একটাই প্রশ্ন, ব্যাঙ্ক উঠে গেলে টাকার কী হবে?

ভারতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহায়ক সংস্থা ডিআইসিজিসি বা ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন। এরা নির্ধারিত ব্যাঙ্কে খোলা ডিপোজিটে বিমা কভার দেয়।

ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্টে এই বিমা কভার পাওয়া যায়। ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে বা উঠে গেলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডার ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমা পান।

ধরা যাক, কারও অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা আছে এবং ব্যাঙ্ক উঠে গেল। সেক্ষেত্রেও তিনি ৫ লাখ টাকারই বিমা পাবেন। অর্থাৎ বাকি ৫ লাখ টাকা জলে গেল।

তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একাধিক ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট, সেভিংস, রেকারিং বা অন্যান্য অ্যাকাউন্ট খোলা উচিত। একটা ব্যাঙ্কে যেন ৫ লাখ টাকার বেশি আমানত না থাকে। এর ফলে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গ্রাহকের আমানত সম্পূর্ণ বিমার আওতায় থাকবে।

ডিআইসিজিসি কোন ব্যাঙ্কগুলতে বিমা করে: বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক - সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, ভারতে কাজ করা বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির শাখা, স্থানীয় ব্যাঙ্ক, এবং আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলি ডিআইসিজিসি দ্বারা বিমাকৃত।

সমবায় ব্যাঙ্ক - সমস্ত রাজ্য, কেন্দ্রীয় এবং প্রাথমিক সমবায় ব্যাঙ্কগুলি, যাকে শহুরে সমবায় ব্যাঙ্কও বলা হয়, যেগুলি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কাজ করে, স্থানীয় সমবায় সমিতি যার আইন সংশোধন করেছে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে (আরবিআই) রাজ্যের সমবায় সমিতির নিবন্ধককে আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা দেয়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লিখিত অনুমোদন ছাড়াই একটি সমবায় ব্যাঙ্কের ইকোনস্ট্রাকশন, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিমের আওতায় রয়েছে।

বর্তমানে, সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্কগুলি ডিআইসিজিসি-এর আওতাভুক্ত। তবে ডিআইসিজিসি–র ওয়েবসাইট অনুসারে, প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলিকে ডিআইসিজিসি দ্বারা বিমা করা হয় না।