ব্যাঙ্ক লকার থেকে সোনার গয়না খোয়া গেলে দায় নেবে কে? জেনে নিন নিয়ম

গুরুত্বপূর্ণ নথি হোক বা স্বর্ণালঙ্কার, নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে না রেখে ব্যাঙ্কের লকারে রাখাই ভাল বলে মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এই বিষয়টি নিয়ে কোনও দ্বন্দ্বও থাকার কথা নয়। কারণ, ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকলে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। কিন্তু অনেকের মনেই এই দ্বন্দ্ব থাকে, যদি ব্যাঙ্ক ডাকাতি হয়, তখন কী ভাবে ওই সম্পদ নিরাপদ থাকতে পারে! ব্যাঙ্ক ডাকাতির মতো ক্ষেত্রেও যথেষ্ট নিরাপত্তা রয়েছে, সে কথা বলতেই হয়।

২০২২ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র নির্দেশিকা অনুসারে, ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কোনও সম্পদের কোনও ক্ষতি ব্যাঙ্কের তরফে হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক। সেই ক্ষতিপূরণ বেশ মোটা অঙ্কের।

আরবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, গ্রাহকের কোনও সম্পদ যদি ব্যাঙ্কের লকার থেকে খোয়া যায়, ব্যাঙ্কের গাফিলতিতে, তবে তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন। ব্যাঙ্কের তরফে লকার ভাড়ার ১০০ গুণ অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে গ্রাহককে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার—

নিরাপত্তা: ব্যাঙ্ক ডাকাতির মতো কিছু ঘটনা ঘটলেও, এখনও সোনা বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ করার জন্য ব্যাঙ্কের লকারই নিরাপদ।

দায়: ব্যাঙ্কের লকারে কোনও সম্পত্তি গচ্ছিত রাখলে তা রক্ষণাবেক্ষণের দায় সম্পূর্ণ ভাবে ব্যাঙ্কের। সেকারণেই লকার থেকে কিছু খোয়া গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য ব্যাঙ্ক। যদি কোনও রকম জালিয়াতি, ডাকাতির মতো ঘটে তবে, লকাররে জন্য গ্রাহক যে বার্ষিক ভাড়া দিয়ে থাকেন, তার ১০০ গুণ টাকা গুণতে হবে ব্যাঙ্ককে। এই পরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে অন্য বেশ কিছু কারণেও। কোনও ভাবে যদি ব্যাঙ্কে আগুন লাগে, বন্যা হয় বা বাড়ি ধসে পড়ে লকারের ক্ষতি হয়, তাহলেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে।

লকার ভাড়া: গ্রাহক যে পরিমাণ ভাড়া গোনেন তার উপর ভিত্তি করেই জরিমানার অর্থ পাওয়া যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে কোনও ভাবে যদি দীর্ঘদিন লকারের ভাড়া গ্রাহক না দেন, তা হলে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে লকার ভাঙা হতে পারে।