Money Making Tips: এই নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও টাকার কমতি হবে না !
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- news18 bangla
Last Updated:
মাসিক খরচ গণনা করে জরুরি তহবিলের জন্য সঞ্চয় শুরু করতে হবে।
advertisement
1/8

অনেকেই বলেন, ‘ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, টাকার জন্যে যেন কারও কাছে হাত পাততে না হয়’। এর জন্যেই সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ। যাতে প্রয়োজনের সময় টাকার বন্দোবস্ত করা যায়। লক্ষ্য পূরণের জন্যে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে না হয়। এখন থেকেই প্রশ্ন ওঠে, বেতনের বা আয়ের কত টাকা সঞ্চয় করলে আর্থিক বিষয়ে অন্য কারও উপর নির্ভরশীল হতে হবে না? সবার আগে উপার্জনকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। যেমন –
advertisement
2/8
এমার্জেন্সি ফান্ড: অন্তত ৬ থেকে ১২ মাসের খরচ হাতে রাখা উচিত। অর্থাৎ চাকরি হারালেও যাতে কমপক্ষে এক বছর কোনও অসুবিধা না হয়। মাসিক ইএমআই থাকলে এমার্জেন্সি ফান্ডে সেটাও যোগ করতে হবে। এবার মাসিক খরচ গণনা করে জরুরি তহবিলের জন্য সঞ্চয় শুরু করতে হবে।
advertisement
3/8
টার্ম ইনস্যুরেন্স: এটা শুনতে কঠোর মনে হলেও বাস্তবোচিত। আজ যদি হঠাৎ করে কেউ মারা যান, তাহলে তাঁর পরিবারের কী হবে? এই জন্যেই টার্ম ইনস্যুরেন্স। বয়স কম হলে ১ কোটি টাকার টার্ম ইনস্যুরেন্স করা যায়। এতে বার্ষিক ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। পরিবার থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
advertisement
4/8
স্বাস্থ্য বিমা: পরিবারের হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল। আর বিল হল ১০ লাখ। এক লপ্তে এত টাকা বের করা সম্ভব? উত্তর না হলে বেস হেলথ ইনস্যুরেন্স পলিসি এবং সুপার টপ আপ পলিসির মিশ্রণ সহ ৩০ লাখের স্বাস্থ্য বিমা কভার নেওয়া উচিত। খরচ বার্ষিক ১৫ হাজার। মাসে ১,২০০ টাকা।
advertisement
5/8
সুতরাং টার্ম ইনস্যুরেন্স এবং স্বাস্থ্য বিমায় প্রতি মাসে খরচ প্রায় ২ হাজার টাকা। এবং টেনশন থেকে মুক্তি। এবার লক্ষ্য অনুযায়ী অবশিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগের পালা।
advertisement
6/8
বিনিয়োগ: বিনিয়োগের দুনিয়ায় সবাই সবাইকে জ্ঞান দিচ্ছে। প্রথমে বিনিয়োগ করুন, তারপর ব্যয় করুন, ব্যয় না করে বিনিয়োগ করুন ইত্যাদি। আদতে এসব কোনও কাজেই আসে না, যদি না বিনিয়োগকারীর স্পষ্ট লক্ষ্য থাকে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক। ধরা যাক, চাকরির বছরখানেকের মধ্যেই বাবা-মা বাড়ি কেনার জন্যে চাপ দিচ্ছেন। বাড়ির ডাউনপেমেন্টও তাঁরাই করবে বলে আশ্বাসও দিয়েছে। এটাকে বিনিয়োগ ভেবে কেউ বাড়িটা কিনে নিলেন। এখন বেতনের ৫০ শতাংশ ঋণ মেটাতে চলে যাচ্ছে।
advertisement
7/8
এরপর কি আর সঞ্চয় বা বিনিয়োগ করা যাবে? সন্দেহ আছে। বাড়ি কেনার সঙ্গে সঙ্গে কেরিয়ার আটকে যাচ্ছে। অন্য কোনও শহরে কেরিয়ার শুরু করার সম্ভাবনা থাকছে না। চাকরি ছেড়ে ব্যবসা বা অন্য কিছু শুরু করাও যাবে না কারণ ঋণ শোধ করতে হবে।
advertisement
8/8
আগে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে: সুতরাং আগে আর্থিক লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। তাহলেই বেতন থেকে কতটা সঞ্চয় করা উচিত সেটা বোঝা যাবে। মাসিক বেতন ৫০ হাজার টাকা হলে ২ বছর পর বিএমডব্লিউ নয়, স্যান্ট্রো কেনাই ভাল। পার্সোনাল ফিনান্স খুবই ব্যক্তিগত, বেতন থেকে কতটা সঞ্চয় করবেন সেটা ব্যক্তি নিজে ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারবেন না। ৩০ না কি ৪০ না কি ৫০ শতাংশ, সেটা ঠিক করতে হবে নিজেকে। আর্থিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে।