Record Gold Price: রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে সোনার দাম; এর পিছনে কারণগুলো ঠিক কী কী? জানুন বিশদে

গত সপ্তাহে প্রতি ১০ গ্রাম ডোমেস্টিক গোল্ডের দাম পৌঁছেছে ৬৩৩৫০ টাকায়। সর্বকালের উচ্চতায় পৌঁছেছে সোনা। দৃঢ় বৈদেশিক মূল্য, দুর্বল ভারতীয় রুপি এবং ভারতে বিয়ের মরশুমে সোনার গয়নার চাহিদা বৃদ্ধি - এগুলোই এর কারণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতীয় বাণিজ্য বিভাগের প্রত্যাশা, আগামী তিন সপ্তাহে প্রায় ৩৮ লক্ষ বিবাহ থেকে আরও বেশি করে সোনার ব্যবসা হবে। আমাদের দেশের বার্ষিক সোনার চাহিদার প্রায় অর্ধেক পরিমাণই তৈরি হয় বিবাহের জন্য।

এমনকী চলতি বছরে বিয়ের গহনার চাহিদা তুঙ্গে পৌঁছতে পারে। আর সোনার গয়নার চাহিদা বৃদ্ধি পেলে ডোমেস্টিক গোল্ডের মূল্যও তরতরিয়ে উপরের দিকে উঠবে, এমনটাই পূর্বাভাস।

ভারতে মূলত বিয়ের মরশুম থাকে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। ফলে এই সময় সোনার চাহিদাও হয় উর্ধ্বমুখী। এমনকী সোনা ক্রয় এবং উপহার হিসেবে দেওয়াটাকে শুভ বলে গণ্য করা হয়।

আরও একটি কারণও অবশ্য রয়েছে। দেশে সোনার মূল্য বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে দুর্বল ভারতীয় রুপি। গত কয়েক মাস ধরে ভারতীয় রুপি দুর্বলতর স্তরের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ভারতীয় রুপি দুর্বল হওয়ায় সোনা আমদানির খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার জেরে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ডোমেস্টিক গোল্ডের মূল্য।

যেহেতু সোনার দাম আন্তর্জাতিক ভাবে মার্কিন ডলারে হয়, তাই সমপরিমাণ সোনা কেনার জন্য আরও বেশি টাকা লাগবে। এটাই হচ্ছে দুর্বল রুপি।

যেহেতু আন্তর্জাতিক মূল্যের সঙ্গে ভারতীয় সোনার দামের সম্পর্ক রয়েছে, তাই একটি দৃঢ় বৈদেশিক মূল্যও মূল্যবান ধাতুটিকে সহায়তা করবে। আন্তর্জাতিক সোনার দাম ভারত-সহ বিশ্বব্যাপী সোনার দামের মানদণ্ড হিসাবে কাজ করে।

এখানেই শেষ নয়, লন্ডন স্পট মার্কেটেও সোনার মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। গত শুক্রবার এক আউন্সে ২০৭৫ ডলারে পৌঁছেছে সোনা। ১২ মাসের মেয়াদে যা ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি মার্কিন সম্পদ থেকে বুলিয়নের মতো নিরাপদ সম্পদে বিনিয়োগকারীদের পছন্দের স্থানান্তরের কারণে হয়েছিল।