Fixed Deposit Return: এই ভাবে FD-তে বিনিয়োগ করলে মিলতে পারে ধামাকা রিটার্ন, যা আপনার ভাবনার বাইরে

যারা নিরাপদ বিনিয়োগ পছন্দ করে, তারা অবশ্যই তাদের পোর্টফোলিওতে FD অন্তর্ভুক্ত করে। FD-তে ৭ দিন থেকে ১০ বছর মেয়াদের বিকল্প পাওয়া যায়। বিভিন্ন মেয়াদের FD-তেও সুদ ভিন্নভাবে পাওয়া যায়। কিন্তু কেউ যদি FD-তে উচ্চ সুদের সুবিধা নিতে চায়, তাহলে একটি বিশেষ কৌশলের মাধ্যমে এতে বিনিয়োগ করতে হবে। এর মাধ্যমে, এফডি একটি 'রিটার্ন মেশিন' হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর এতে সুদের সুবিধা পাওয়া যাবে।

FD এই কৌশলের সঙ্গে একটি লাভজনক মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে -কেউ যদি FD থেকে বেশি মুনাফা চায় তাহলে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি FD করতে হবে এবং তাও বিভিন্ন মেয়াদ অনুসারে। উদাহরণস্বরূপ, কারও কাছে ৫ লাখ টাকা আছে। এমন পরিস্থিতিতে, ৫ লাখ টাকার একক FD করার পরিবর্তে, প্রতিটি ১ লাখ টাকার ৫টি FD করতে হবে এবং ১, ২, ৩, ৪ এবং ৫ বছরের জন্য এটি ঠিক করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, প্রথম FD ১ বছরে ম্যাচিওর হবে। দ্বিতীয় FD দ্বিতীয় বছরে ম্যাচিওর হবে। এইভাবে, FD প্রতি বছর এক এক করে ম্যাচিওর হবে।

এখন দেখা যাক কী করতে হবে -FD ম্যাচিওর হলে, পরবর্তী ৫ বছরের জন্য আবার নির্দিষ্ট সুদের সঙ্গে প্রতিটি FD-এর পরিমাণ হাতে আনতে হবে। প্রথম এফডি ম্যাচিওর হওয়ার পরে, কেউ যদি এটি পরবর্তী ৫ বছরের জন্য আবার করে, তবে এটি ষষ্ঠ বছরে ম্যাচিওর হবে। যদি দ্বিতীয় বছরে FD ৫ বছরের জন্য স্থির করা হয়, তাহলে এটি সপ্তম বছরে ম্যাচিওর হবে। এইভাবে, FD-এর ম্যাচিউরিটির ক্রম ১০ বছর ধরে চলতে থাকবে। এই কৌশলটিকে বলা হয় এফডি ল্যাডারিং টেকনিক।

কী লাভ হবে -এফডি ল্যাডারিং টেকনিকের সুবিধা হল, প্রতি বছর এফডিতে সুদের সুবিধা পাওয়া যায় এবং পর্যাপ্ত তারল্য বজায় থাকে। কারও প্রয়োজন হলে, নিজেদের খরচের জন্য ম্যাচিউরিটির পরিমাণ থেকে সুদের পরিমাণ ব্যবহার করা যেতে পারে এবং আবার FD ফিক্সড করতে পারে। অন্য দিকে, কেউ যদি FD থেকে ভাল অর্থ উপার্জন করতে চায়, তাহলে মেয়াদপূর্তির পরে, পরবর্তী ৫ বছরের জন্য সুদ সহ সম্পূর্ণ পরিমাণ ঠিক করে রাখতে হবে। যে কোনও সময়ের জন্য এই ক্রমটি চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে এবং বিপুল অর্থ তহবিলে যোগ করা যেতে পারে।

অবসরপ্রাপ্তদের জন্য এই প্রযুক্তি খুবই কার্যকর -এফডি ল্যাডারিং কৌশল অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই দরকারি। FD ম্যাচিওর হওয়ার পরে, তারা এর সুদের পরিমাণ ব্যবহার করতে পারে এবং অবশিষ্ট অর্থ আবার বিনিয়োগ করতে পারে। এইভাবে, তারা সহজেই তাদের অর্থের চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাদের জমাকৃত পরিমাণও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে এবং তারা এতে সুদ পেতে থাকে।

আরও একটা সুবিধা -কেউ যদি ৫ লাখ টাকার একক FD করে এবং ১ বা ২ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়, তবে সেই প্রয়োজন মেটাতে, যদি ৫ লাখ টাকার FD ভাঙে, তাহলে ব্যাঙ্কের ধার্য করা জরিমানা পুরো ৫ লাখ টাকার উপরে ধার্য হবে। কিন্তু, কেউ যদি ল্যাডারিং টেকনিক ব্যবহার করে বিনিয়োগ করে, তাহলে ১ বা ২ লাখ টাকার প্রয়োজন মেটাতে ১ বা ২টি FD ভাঙতে হবে, বাকি ৩টি এফডি স্পর্শ করতে হবে না। যে জরিমানা আরোপ করা হবে তা শুধুমাত্র এক বা দুটি এফডিতে দিতে হবে এবং এই জরিমানাটিও ৫ লাখ টাকার এফডির তুলনায় কম হবে।