EPFO Pension Calculator: ৩০ বছর বেসরকারি চাকরি করছেন ? দেখে নিন কত টাকা পেনশন পাবেন...

অনেক বেসরকারি কর্মীই প্রায়ই ভাবেন, তাদের পেনশন সরকারি চাকরিজীবীদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি খাতে কাজ করা যেসব কর্মী কর্মচারী ভবিষ্যনিধি (EPF) স্কিমে যুক্ত, তারা কর্মচারী পেনশন স্কিম (EPS)–এর আওতায় পেনশনের সুবিধা পান।

প্রতি মাসে কর্মচারীর বেতনের একটি অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার EPF অ্যাকাউন্টে জমা হয়, এবং নিয়োগকর্তাও সমপরিমাণ অর্থ জমা করেন। বিশেষভাবে, নিয়োগকর্তা কর্মচারীর বেসিক বেতন ও মহার্ঘ ভাতা (DA)–এর ৮.৩৩% EPS–এ জমা করেন, তবে এর সর্বোচ্চ সীমা ১৫,০০০ টাকা বেতন পর্যন্ত নির্ধারিত।

পেনশন পাওয়ার জন্য দশ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা আবশ্যক-পেনশনের জন্য যোগ্য হতে, কর্মচারীদের কমপক্ষে ১০ বছর কাজ করতে হবে। অবসর গ্রহণের সময়, EPS অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া পরিমাণ ব্যবহার করে মাসিক পেনশন প্রদান করা হয়, যা পরিচালনা করে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা (EPFO)।

পেনশন গ্রহনের ন্যূনতম বয়স হল ৫৮ বছর, এবং এর জন্য কমপক্ষে ১০ বছরের চাকরি প্রয়োজন। কর্মচারীরা চাইলে ৫০ বছর বয়সে কম পরিমানের পেনশন গ্রহণ করতে পারেন।যদি কোনও কর্মচারী ১০ বছর পূর্ণ করার আগে চাকরি ত্যাগ করেন, তারা মাসিক পেনশন পাবেন না। তবে অবসরের সময় পুরো EPS পরিমাণ এককালীন হিসেবে প্রদান করা হবে।

৩০ বছরের চাকরির পর আপনার মাসিক পেনশন কেমন হবে -পেনশন পরিমাণ নির্ধারণ করা হয় একটি সরল সূত্র ব্যবহার করে। শেষ ৬০ মাসের গড় বেসিক বেতনকে মোট চাকরির বছর দ্বারা গুণ করা হয় এবং তারপর ৭০ দ্বারা ভাগ করা হয়।অতএব, একজন কর্মচারী যত দীর্ঘ সময় কাজ করবেন এবং তার শেষ বেতন যত বেশি হবে, পেনশন তত বড় হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও কর্মচারীর পেনশনযোগ্য বেতন ২৫,০০০ টাকা হয় এবং তার ৩০ বছরের সেবা থাকে, তবে মাসিক পেনশন হবে:(১৫,০০০ × ৩০)/৭০=৬,৪২৮ টাকা প্রতি মাসে

যদি কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হয়, তাহলে কারা সুবিধা পাবেন?যদি কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হয়, তাহলে তাদের পরিবার মাসিক পারিবারিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হয়। এই পেনশন স্বামী/স্ত্রী, সন্তান বা অনাথদের দ্বারা দাবি করা যেতে পারে।

EPFO–র নিয়ম অনুযায়ী, পরিবার বা মনোনীত ব্যক্তি ফর্ম ১০ডি বা কম্পোজিট ক্লেইম ফর্ম শেষ নিয়োগকর্তার মাধ্যমে পূরণ করে সমস্ত প্রয়োজনীয় দলিল EPFO অফিসে জমা দিয়ে পেনশন দাবি করতে হবে।