আপনি LIC-তে বিনিয়োগ করেন, কিন্তু LIC আপনার টাকা নিয়ে কী করে জানেন কি?
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
গ্রাহক টাকা দিয়ে LIC-র থেকে পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, LIC সেই টাকা কোথায় খাটায়?
advertisement
1/8

জীবন বিমার কথা বললে সবার আগে মাথায় আসে এলআইসি-র নাম। দেশের সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৩০ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। ভারতে ৪টি জীবন বিমা বিক্রি হলে ৩টি থাকে এলআইসি পলিসি।
advertisement
2/8
গ্রাহক টাকা দিয়ে এলআইসি-র থেকে পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, এলআইসি সেই টাকা কোথায় খাটায়? এলআইসি টাকা পায় মূলত নন-লিঙ্কড পলিসি থেকে। বিমা কভার থেকে রিটার্ন দেওয়া হয় গ্রাহককে।
advertisement
3/8
মূলধন সুরক্ষা এলআইসি-র কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রাহককে টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই কারণেই তারা ২০ লক্ষ কোটি টাকা সরকারি সিকিউরিটিজে রেখেছে। প্রযুক্তিগতভাবে এটাই সবচেয়ে নিরাপদ বিকল্প।
advertisement
4/8
এরপর সামান্য ঝুঁকি নেয় এলআইসি। পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে। যেমন মালিকানাধীন স্টক। ২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে তাঁদের ৪.৩ লাখ কোটি টাকার শেয়ার ছিল। জুলাইয়ের শেষ নাগাদ তা বেড়ে ৫.৮ লক্ষ কোটি টাকা হয়। অর্থাৎ কয়েক মাসের মধ্যে ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি।
advertisement
5/8
এলআইসি-র চেয়ারম্যান মিঃ কুমারের বিনিয়োগ দর্শন হল, “বাজার যখন পড়ে, আমরা তখন কিনি। তবে পলিসি হোল্ডারের স্বার্থ সবসময় মাথায় থাকে”। যাইহোক, এলআইসি-র অধিকাংশ বিনিয়োগই ব্লু-চিপ কোম্পানিতে। যেমন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে ৫.৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে তাদের। জুলাই মাসে সেই শেয়ারের মূল্য বেড়ে হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।
advertisement
6/8
আবার আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কথা ভাবা যাক। টালমাটাল পরিস্থিতি চলছিল। ঠিক সেই সময় ২১,৬০০ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানির ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় এলআইসি। হইচই পড়ে গিয়েছিল। তবে এলআইসি বলেছিল, “কৌশলগত বিনিয়োগ”। তারা আশা করেছিল, আইডিবিআই-এর ৮০০ শাখা এলআইসি-কে বিমা পলিসি বিক্রি করতে সাহায্য করবে। যদিও অনেকে বলেন, এলআইসিকে কিনতে হয়েছিল কারণ সরকার চেয়েছিল যে কেউ ব্যাঙ্কটিকে বাঁচাক।
advertisement
7/8
যাইহোক, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে কিংবা দেউলিয়া হওয়ার মতো অবস্থা, এমন কিছু সংস্থাতেও বিনিয়োগ করেছে এলআইসি। ডিএইচএলএল, রিলায়েন্স ক্যাপিটাল, ইয়েস ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স হোম ফিনান্স, আইএল অ্যান্ড এফএস এবং জেপি ইনফ্রাটেক-এর কথাই ধরা যাক। এই সমস্ত নামী কোম্পানিতে এলআইসি-র বিনিয়োগ রয়েছে এবং সেই টাকা নাও মিলতে পারে।
advertisement
8/8
এখন প্রশ্ন হল, এরকম বিনিয়োগের পরিমাণ কত? ২০১৯-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। টাকার অঙ্কটা বিশাল মনে হলেও, মাথায় রাখতে হবে, এটা এলআইসি-র সম্পূর্ন পোর্টফোলিওর (৩০ লক্ষ কোটি) মাত্র ১ শতাংশ। মোদ্দা কথা হল, বড়, তার চেয়ে বড় এবং সবচেয়ে বড়র পর আসে এলআইসি।