Shoulder Surfing থেকে সাবধান! না হলে জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে খালি হতে পারে অ্যাকাউন্ট!
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- trending desk
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
শোল্ডার সার্ফিং হল গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির এক অভিনব পন্থা। এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাঁধের দিকে তাকানোর ভান করে সমস্ত তথ্য চুরি করে নেওয়া হয়।
advertisement
1/9

যেখানে টাকা, সেখানেই ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। যেনতেন প্রকারেণ তারা গ্রাহকদের জরুরি তথ্য চুরি করার চেষ্টা করে থাকে। আর একবার তাতে সফল হলে নিমেষে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেয় জালিয়াতরা। মূলত অনলাইনেই এই ফাঁদ পাতে তারা।
advertisement
2/9
ফলে বহু গ্রাহকই মনে করেন যে, এটিএম থেকে টাকা তোলা সবথেকে বেশি নিরাপদ। আদতে বিষয়টা অতটাও সুরক্ষিত নয়। কারণ এটিএম-এও ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। সবথেকে সাধারণ এটিএম প্রতারণার তালিকায় অন্যতম হল শোল্ডার সার্ফিং। সেটা আবার কী। তাহলে আজ এই বিষয়টাই আলোচনা করা যাক।
advertisement
3/9
শোল্ডার সার্ফিং হল গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির এক অভিনব পন্থা। এর মাধ্যমে গ্রাহকের কাঁধের দিকে তাকানোর ভান করে সমস্ত তথ্য চুরি করে নেওয়া হয়। ধরা যাক একজন গ্রাহক এটিএম কিংবা ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করছেন। সেই সময়ই জালিয়াতরা পিছন থেকে কিংবা পাশ থেকে জরুরি তথ্য চুরি করে নেয়।
advertisement
4/9
শোল্ডার সার্ফিং কী? ধরা যাক, কেউ এক জন আর্থিক লেনদেন করছেন। জালিয়াতরা এই সময় ওই ব্যক্তির আশপাশেই থাকে এবং তাঁর উপর নজর রাখে। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে বিষয়টা। চোর বা জালিয়াতরা গ্রাহকের কাঁধের ঠিক উপরের অংশ দিয়ে চোখ রাখে তাঁর এটিএম কিংবা ফোনের উপর। যাতে তথ্য চুরি করা সহজ হয়ে যায়।
advertisement
5/9
আসলে এভাবে প্রতারকরা পাসওয়ার্ড, পিন নম্বরের মতো ব্যক্তিগত তথ্য লক্ষ্য করার চেষ্টা করে। একবার সেটা করে ফেলতে পারলে চুরি করা সহজ হয়ে যায়।
advertisement
6/9
সাধারণত জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়। এটিএম-এ পিন দেওয়ার সময় কিংবা কোনও ফর্ম পূরণ করার সময় জালিয়াতরা তাঁর কাছে কাছে থাকেন। আবার অনেক সময় ট্রেন-বাস কিংবা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে গ্রাহকের ক্রেডিট কার্ডের নম্বর দেখে নিয়ে জালিয়াতি করে প্রতারকরা।
advertisement
7/9
বিপদের শেষ এখানেই নয়, আজকাল শোনা যাচ্ছে যে, প্রতারকরা এক ধরনের বাইনোকুলার ব্যবহার করেও মানুষের পিন অথবা পাসওয়ার্ড হাতানোর চেষ্টা করছে।
advertisement
8/9
প্রতিরোধের উপায়: এটিএম-এ কোনও অপরিচিত ব্যক্তির থেকে সাহায্য নেওয়া উচিত নয়। ফোন বা এটিএম ব্যবহারের সময় আশপাশে কেউ আছে কি না, সেই বিষয়ে সতর্ক হওয়া আবশ্যক। এটিএম-এ পিন দেওয়ার সময় স্ক্রিন এবং কি-প্যাডটি হাত দিয়ে আড়াল করতে হবে। সন্দেহজনক ক্যামেরা আছে কি না, তা লেনদেনের আগে দেখে নিতে হবে। আসলে অনেক সময় এটিএম স্ক্রিনের আশপাশেই এভাবেই জাল বিছিয়ে রাখে।
advertisement
9/9
ট্রানজ্যাকশন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততক্ষণ এটিএম-এ থাকতে হবে। সেটা না হলে লাইনে পরে থাকা মানুষটি কিন্তু আগের জনের অ্যাকাউন্ট অ্যাকসেস করতে পারবে। ব্যালেন্স এবং ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টের জন্য নিয়মিত নিজের অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখা আবশ্যক। যদি কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
বাংলা খবর/ছবি/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Shoulder Surfing থেকে সাবধান! না হলে জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে খালি হতে পারে অ্যাকাউন্ট!